বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১২:১৯
Home / অনুসন্ধান / হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অাসল চরিত্রঃ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে তারা খুব সচেষ্ট

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অাসল চরিত্রঃ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে তারা খুব সচেষ্ট

মুফতি সাঈদ:

kasmirডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, “নামাজ ও আযানের সময় পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না।” এই কথা শোনার পর Repan Ghosh নামক চট্টগ্রামের এক হিন্দু কমেন্ট করেছে-
পুজোর সময় আজান দিলে তো পুজায় বিঘ্ন সৃস্টি হয় তবে পুজার সময়টায় অন্তত আজান মাইকে না দিয়ে মাইক ছাড়া আজান দিলে কোন ক্ষতি হবেনা। কমিশনার সাহেব আমাদের পুজোতো প্রতিদিন হয়না তাই বছরে দু একবার পুজোর সময় আজান মাইকে না দেয়ার আইন করুন তো দেখি?”

আসলে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- আসলেই কি হিন্দু ধর্মে পূজার সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানোর নিয়ম আছে ?? আসুন দেখি হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো কি বলে-

সুশীলদা(বসু)-একবার উত্তর ভারত ভ্রমণ শেষ করে এসে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বলেছিলেন, আগ্রা সৎসঙ্গে দেখলাম, প্রার্থনার সময় নানা রকম বাদ্যযন্ত্রব্যবহার করা হচ্ছে ।সে কথা শুনে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন- ওভাল না । প্রার্থনার সময় কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করলে মনে বিক্ষেপ আসে । (যুগ-প্রহরী,পৌষ ১৩৮৩)
–দেবতার পূজা আরাধনার অব্যবহিত পূর্ব্বে বা সময়ে গান বাজনা করতে যেও না; তা’ তোমার মনন প্রেরনাকে বিক্ষিপ্ত ও ব্যতিক্রম দুষ্ট করে তুলতে পারে।
– পূজা অর্চনার সময় যেমনতর সন্ধ্যা-প্রার্থনা ও ইষ্ট আরাধনার বেলাও তাই-ই । (ধৃতি-বিধায়না, ২য় খন্ড,পৃ:২৮০)
– ঢাকে ঢোলে করলে পূজা অহংকার আসে তায়, শ্রদ্ধাভক্তি অনুরাগেই পূজা সিদ্ধ হয় (অনুশ্রুতি)
বই- অনুকূল-মননে সংকট নিরসন
সংকলন ও গ্রন্থনায়ঃ
শ্রীসুখেন্দু কুমার বিশ্বাষ(সহ-প্রতি-ঋত্বিক)
————————————–
তারমানে হিন্দু ধর্মমতে পূজার সময় বাদ্যবাজনা ব্যবহার করার নিয়মই নেই। তাহলে হিন্দুরা এমন কেন করে ?? আসুন দেখি-

ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার্ একটি মূল কারণ ছিলো, মসজিদের সামনে হিন্দুদের বাজনা বাজানো। এই বাজনা বাজানোর কাজটি হিন্দুরা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই পরিকল্পনা করে করতো, যেন মুসলমানরা উত্যক্ত হয়ে তার প্রতিবাদ করে এবং এই সুযোগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের লেখা ‘ভারত কী করে ভাগ হলো’ বইয়ের ১০৭ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বর্ণিত রয়েছে। ১৯২৩ সালে কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাশ ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামক একটি চুক্তি করে, যেখানে মুসলমানদের চাকরি ও বিভিন্ন ধর্মীয় অধিকার দেয়ার কথা উল্লেখ ছিলো। চুক্তিতে উল্লেখ করা ছিলো, হিন্দুরা মুসলমানদের মসজিদের সামনে বাজনা বাজাতে পারবে না।
কিন্তু কংগ্রেসের উগ্র হিন্দুরা এই চুক্তির পক্ষে ছিলো না। তারা এই চুক্তির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। বিশেষ করে বরিশাল কংগ্রেসের নেতা সতীন সেন প্রতিদিন তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মসজিদের সামনে নিয়ম করে বাজনা বাজাতো, উদ্দেশ্য ছিলো মসজিদের সামনে বাজনা নিষেধের ধারাটিকে অকেজো করে দেয়া। এর নাম তারা দিয়েছিল ‘সত্যাগ্রহ’। কংগ্রেসের যেসব হিন্দু কর্মীরা মসজিদের সামনে বাজনা বাজাত, তাদেরকে বলা হতো ‘সত্যাগ্রহী’।
মসজিদের সামনে বাজনা বাজানোর এই কাজটি করা হতো পটুয়াখালী জেলায়। এর ফলে সারা ভারতে সাম্প্রদায়িকতার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পটুয়াখালীর পোনাবালিয়ার মুসলমানরা হিন্দুদের এই কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে চাইলে ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট ব্ল্যান্ডির নির্দেশে ২১ জন মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এই ঘটনার দ্বারা একটি বিষয় প্রমাণিত হয়, বর্তমানে হিন্দুদের ধর্ম বলে আসলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। যেটাকে তারা হিন্দুধর্ম বলে চালাচ্ছে সেটা আসলে ‘কিছুই নয়, শুধু্‌ই মুসলিম বিদ্বেষ।

Noyon Chatterjee 4

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

সিলেটের পবিত্র মাটি আবারও কলংকিত হলো রায়হানের রক্তে!

পুলিশ ফাড়িতে যুবক হত্যা: সিলেটজোড়ে চলছে রহস্য! এলাকাবাসীর প্রতিবাদ!! সিলেট নগরীতে রায়হান নামক এক যুবকের ...