শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৪:০৫
Home / অনুসন্ধান / বেফাককে অচিরেই মূলধারায় ফিরিয়ে আনার দৃঢ়সংকল্প আল্লামা আনোয়ার শাহ’র

বেফাককে অচিরেই মূলধারায় ফিরিয়ে আনার দৃঢ়সংকল্প আল্লামা আনোয়ার শাহ’র

anwar-shahবাংলাদেশের সর্বস্তরের কওমী আলেম-ওলামা ও শিক্ষার্থীদের প্রিয় সংস্থা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া। এই বেফাক আজ মুষ্ঠিমেয় লোকের ভুল কর্মপন্থার ফলে ধ্বংসের পথে। সর্বজনমান্য বেফাক সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর ইমেজও এসব লোকের ভুল কর্মতৎপরতায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খুব দ্রুত এমনকি এক-দুই মাসের মধ্যে শূরা ও আমেলা ডেকে বেফাককে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর আম্বরশাহ মাদরাসা কমপ্লেক্সে কওমী মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আইন (খসড়া) সুপারিশ উপকমিটির বৈঠক শেষে কমিটির অন্যতম সদস্য, বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ এসব কথা বলেন।

বৈঠকের আলোচনায়ও তিনি বেফাকের কিছু লোকের ভুল সিদ্ধান্ত, হঠকারিতা, রাখডাক ও ঘুরঘুর নীতির ফলে বেফাকের যে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এ নিয়ে কঠোর উষ্মা প্রকাশ করে অবিলম্বে বেফাককে সঠিক পথে নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকের পর বেফাকের অনেক মুরব্বিই তাকে ফোন করেন বলে জানা যায়। জবাবে শাহ সাহেব নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, আমি আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করেছি। কথা বলেছি। তার চিন্তা-ভাবনা ও বেফাকের দায়িত্বশীল কতিপয় লোকের আচরণে মিল খোঁজে পাইনি। অন্যান্য বোর্ডও বেফাকের সংকীর্ণমনা এসব লোকের অসদাচরণের ফলে বিচ্ছিন্ন। বারবার উদ্যোগ নিয়েও বাহিরের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি কেবল বেফাকের ওই মুষ্ঠিমেয় সংকীর্ণমনা লোকদের জন্য। এখন আমি সরকার গঠিত কমিটিতে যোগ দিয়েছি সরকারের সঙ্গে কওমী অঙ্গনের বিরোধী হওয়ার সম্ভাবনা দূর করার জন্য। কওমী ছাত্ররাও সনদ স্বীকৃতির জন্য উতলা হয়ে আছে।

আমি বেফাকের সকল মুরব্বিকে খোলামনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিরসন করতে বলবো। বাস্তবকে মোকাবেলা না করে একগুয়েমি ও অতিচালাকির ফল ভালো হয় না। চোখ বুঝে থাকলেও প্রলয় থেমে থাকে না।

বৈঠক শেষে তার টেলি আলাপন ও নিজস্ব মহলে বিবৃত কথাবার্তা থেকে যতটুকু জানা গেছে তিনি বেফাকের সমস্যা দূরিকরণের আশু পদক্ষেপ নেবেন।

আনোয়ার শাহ ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

অপর একটি সূত্র কওমী নিউজকে জানায়, বেফাকের আরেক সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুসকে বৈঠকে যোগদানের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজনমন্ত্রী ফোন করেন। কিন্তু তিনি শারিরিক অসুস্থতার জন্য বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি।

অবশ্য আল্লামা আনোয়ার শাহ কিছুদিন আগেই বেফাক মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আপনাদের সিদ্ধান্তহীনতার চক্করে আমি আর পড়ে থাকতে চাই না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। নয়তো আমি স্বীকৃতির পক্ষে যেভাবেই হোক এগিয়ে যাবো।

QNS

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...