কমাশিসা বিশেস ডেস্ক: মহান আল্লাহর দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহীদ সাহেবকে প্রণঢালা মোবারকবাদ। মন্ত্রীমহুদয় খুব আগ্রহভরে কমাশিসার ২১ দফা কওমি সনদের স্বীকৃতিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিবচনায় এনেছেন। আমরা মাননীয মন্ত্রীমহুদয়কে বর্তমান ও ভবিষ্যতে যেকোন প্রকার সহযোগিতা প্রদানের জন্য আশ্বাস প্রদান করছি। কওমি অংগনের উন্নতি এবং দেশ ও জাতির মংগলের খাতিরে কমাশিসা পরিবার সবসময় নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ যাবে বলে কমাশিসার কর্ণধার খতিব তাজুল ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায় একথা জানান।
যা আছে ২১ দফায়ঃ
কমাশিসার ২১দফা
১ম দফাঃ একক কওমি শিক্ষাবোর্ড বাস্তবায়ন করুন।
২য় দফাঃ আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধিত সিলেবাস প্রণয়ন করুন।
৩য় দফাঃ ইসলামিশিক্ষা (মাদরাসাশিক্ষা) ও জাগতিকশিক্ষা (স্কুলশিক্ষা)কে ১০ম’র পর আলাদা করুন। ইবতেদায়িয়াহ ও মুতাওয়াস্সিতা তথা প্রাইমারি ও নিম্নমাধ্যমিক বিভাগকে অধিক গুরুত্বদিন।
৪র্থ দফাঃ আধুনিক আরবি ভাষাশিক্ষা ব্যবস্থা চালু করুন।
৫ম দফাঃ মানসিক ও শারিরিক টর্চার মুক্ত সৌহার্দপূর্ণ পাঠদান ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ইসলামী তাহজিব ও তামাদ্দুনে প্রত্যক্ষ ভাবে আগ্রহী করে গড়ে তুলুন।
৭ম দফাঃ বিভাগীয় রিপোর্টিং পদ্ধতি চালু করুন। নোটের প্রতি অনুৎসাহী করতঃ শিক্ষকদারস্থের পথ সুগম করুন। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি আইন কানুন নিয়ম পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করুন এবং নিয়মিত আপডেট করে রাখুন।
৮ম দফাঃ প্রতিটি মাদরাসায় গবেষণা বিভাগ চালূ করুন। ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ তৈরী করেদিন। নিজস্ব আধুনিক প্রয়োজনীয় বই পুস্তক রচনা ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করুন।পাশাপাশি সমৃদ্ধ আধুনিক কুতুবখানা বা লাইব্রেরি স্থাপন করুন।
৯ম দফাঃ শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আবশ্যকীয়।শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রশিক্ষণের এই কর্মসুচী কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডর মাধ্যমেই আঞ্জাম পাওয়া উচিত।তাক্বওয়া ও পরহেজগারীর দিকটাও বিবেচনায় রাখা চাই।
১০ম দফাঃ পাড়ায় পাড়ায় নয়, জেলা পর্যায়ে মানসম্মত একটি টাইটেল মাদরাসা কায়েম করুন।যুগোপযুগি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা তথা প্রাইমারি মক্তব গ্রামে গ্রামে প্রতিষ্ঠা করুন।
১১ম দফাঃ যত্রতত্র এলোমেলো ভাবে ক্লাস খোলা বন্ধ করুন। বোর্ডের সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে ক্লাসের স্তর বিন্যাস ও নাম করণ করুন। কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের জোনাল অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে পরবর্তি ক্লাস চালু করুন।
১২ম দফাঃ আবাসিকের চেয়ে অনাবাসিক স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের আকৃষ্ট করুন।অভিভাবক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করুন।
১৩ম দফাঃ মুহতামিম শিক্ষা সচিবগণ বহির্বিশ্ব সফর করুন।প্রয়োজনে বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণও দেশের নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলো ভিজিট করে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান।
১৪ম দফাঃ মাদরাসা মাদরাসায় বন্ধুত্বের সেতু মজবুত করুন। প্রতিটি মাদরাসার আসাতেজা স্টাফ ও ছাত্রগণ অন্য মাদরাসার সাথে শিক্ষা সংস্কৃতি সহ সকল গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে একে অপরের সাথে শেয়ার করুন।
১৫ম দফাঃ নিজের মনকে বড় করুন অপর ভাইয়ের উন্নতি নিজের উন্নতি ভাবতে শিখুন। মেধাবী ছাত্রদেরকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষথেকে উচ্চশিক্ষার জন্য মদীনা আল-আজহার দেওবন্দ মালেশিয়া করাচি অক্সফোর্ড হাভার্ডে প্রেরণ করুন।
১৬ম দফাঃ মানসম্মত বেতন ভাতার আয়োজন করুন। পেনশন স্কীম চালূ করুন।প্রয়োজনে কওমি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করুন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ মুল্যায়ন করুন।
১৭ম দফাঃ কর্মময় জীবনের জন্য কর্মসংস্থানের ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ অত্যাবশকীয়।কম্পিউটার গ্রাফিক্স প্রিন্টিং দর্জি বিজ্ঞান ইলেকট্রিসিটি সৌরবিদ্যুৎ ড্রাইভিং নার্সারি খামার পশুপালন মৎস চাষ সহ যে কোন কারিগরি বিষয়ে খন্ডকালীন সময়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করুন।
১৮ম দফাঃ শরির চর্চা স্বাস্থ্য সচেতনতা খেলাধুলা প্যারেড ইত্যাদির আয়োজন করুন।সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে ভুমিকা রাখুন। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কেন্টিনের ব্যবস্থা করুন।
১৯ম দফাঃ গথবাঁধা হাদিসের দারস নয় বিষয় ভিত্তিক সেমিস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ছাত্রদের নোট লেখার অভ্যাস গড়েতুলুন।
২০ম দফাঃ আসাবিয়্যাতের ভিত্তিতে নয় যোগ্যতা এবং তাক্বওয়ার ভিত্তিতে মুহতামিম নাজিম পরিচালক শিক্ষক বিভাগীয় দায়িত্বশীল বা স্টাফ নিয়োগ প্রদান করুন।প্রয়োজনে ইন্টা্রভিউর ব্যবস্থা করুন।
২১ম দফাঃ শুধু যাকাত ফিতরা কাফ্ফারা নয় নিজের অর্জিত সম্পদ থেকে মুসলমানরা যাতে ইসলামি শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যয় করে সে মতে তাদের উদ্বুদ্ধ করুন।
বিস্তারিত জানার জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুন-