আল্লামা আহমদ শফীকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করে একদল স্বার্থান্বেষী তাদের ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানবী। তিনি বলেন, আমরা আর বিলম্ব চাই না। পনের দিনের মধ্যেই স্বীকৃতি চাই। জলঘোলা করার হীন চক্রান্তে যারা লিপ্ত তাদের তো স্বীকৃতির কোনো ইচ্ছাই নেই। সময় ক্ষেপণ করার জন্যই যাচাই-বাছাই কমিটিকে সহ্য করতে পারছে না রাজনৈতিক কুচক্রীমহল।
কোটি লাশের ঘোষণা দিয়েও আর স্বীকৃতির গাড়িকে মহাসড়ক থেকে নামানো যাবে না উল্লেখ করে মাওলানা উজানবী বলেন, শুধু আলিয়ার নয় স্কুল-কলেজ থেকে কওমী মাদরাসায় শিক্ষার্থী বাড়বে।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের অগ্রসর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্বীকৃতি পরিষদের এই উপদেষ্টা বলেন, ময়দানের টেনডেনসি নিয়ে একটি পিঁপড়া কাজ করলেও আল্লাহর মদদ তার সঙ্গে থাকে। ফরীদ মাসঊদ সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
রবিবার (২ অক্টোবর) রাতে বারিধারার ইসলাহুল মুসলিমীন মিলনায়তনে কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত পরামর্শসভায় রুহুল আমীন খান উজানবী এসব কথা বলেন।
মুফতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে পরামর্শসভায় স্বীকৃতি পরিষদের সদস্যসচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, সারাদেশে স্বীকৃতির পক্ষের আলেম-ওলামা আমাদের কাজের স্পৃহা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা নিশ্চুপ বেফাককে অকস্মাৎ নড়েচড়ে উঠতে দেখে বিস্মিত। বেফাকের আড়ালে একটা মহল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে প্রকম্পিত। তাদের উদ্দেশ্য কেবল সরকারকে বিরক্ত করা। পরিবেশকে নষ্ট করা। তিনি জামাতের দুরভিসন্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বীকৃতি হয়ে গেলে ধর্মীয় সেক্টরে জামাত তাদের শাসনক্ষমতা হারাবে।
স্বীকৃতি পরিষদের এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নরসিংদীর মাওলানা শরকত সরকার, রংপুরের মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, দিনাজপুরের প্রতিনিধি মাওলানা শামসুল হুদা খান, মুফতি ইবরাহিম শিলাস্তানী, খুলনার প্রতিনিধি মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাদরাসা উসমানের প্রিন্সিপাল মাওলানা শরফউদ্দীন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি মুফতি আবদুল কাইউম খান, শাইখুল হাদিস মাওলানা আসআদ আল হোসাইনী, প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, দিনাজপুরের মাওলানা আইয়ুব আনসারী, নোয়াখালী প্রতিনিধি মাওলানা মুহাম্মদ জুনাইদ, আফতাবনগরের শাইখুল হাদিস মুফতি মুহাম্মদ আলী, শাইখুল হাদিস হাম্মাদুল্লাহ রাহমানী, শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, সিলেট প্রতিনিধি মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলী ও মাওলানা আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়জী, বাড্ডা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ গুলজার, দাওয়াতুস সুন্নাহর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান আরিফী, ঢাবির সহকারী অধ্যাপক মাওলানা হোসাইনুল বান্না, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মাওলানা মাসউদুল কাদির, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি মাওলানা বশীর আহমাদ ও মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মাওলানা হুমায়ুন কবির, যশোর প্রতিনিধি আহমাদ আবসার হুসাইন।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আনওয়ার আবদুল্লাহ, মাওলানা যুলফিকার মাহমুদী, প্রিন্সিপাল মাওলানা আইনুল ইসলাম কান্ধলবী, মাওলানা নুরুল আহাদ, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাঈদ নিজামী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমী, মাওলানা আতাউর রহমান আফেন্দি, মাওলানা আলীম উদ্দীন, মাওলানা ইসহাক হামদুল্লাহ, মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা ইমরান আমির, মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ প্রমুখ।
QNS