
বিরাট্ সংখ্যক উলামা শাপলার অবস্থানে নারাজ হয়ে হেফাজত বিমূখ হলেন। অনিবার্য্য পরিণতি যা হবার তাই হলো। শাপলার হত্যাকান্ডের পর গোলাপি বেগম কোথায় গেলেন? জামাতি বন্ধুদের কি হয়েছিলো? যারা মঞ্চে নাচানাচি করলো তারা গেলো কই? একজনতো টিকেট পাসপোর্ট হাতে নিয়ে সমান রাতেই ফ্লাইট! একমাত্র বাবুনগরি হুজুর ছাড়া আর কেউই দাড়ায়ে থাকলোনা।
তারপরের কাহিনী কি? ১৩ দফার কি হলো? এই রক্তের পরিণাম কি হলো? তলে তলে আওয়ামী নেতাদের কাছে লবিং করে মামালা মুকাদ্দামা সামলাইতে লাগলেন। শহীদদের রক্তামাখা ছবি নিয়ে দেশ-বিদেশে কারবার খুব জমে উঠলো। কাড়ি কাড়ি ডলার পাউন্ড কালেকশন হতে থাকলো! এই টাকা গুলো গেল কোথায়? একটা কানাকড়ি টাকা পয়সা সেই সব এতীম অসহায় শিশু কিংবা বিধবাদের হাতে যায়নি। না তাদের লিস্ট হলো না বিশ্ববাসি জানতে পারলো কতজন প্রাণ হারালো? বিকিকিনি কি কম হয়েছিলো তখন? এইসব নামধারি কারবারি আলেমরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন। তারা চায় কওমির ছেলেপেলে গুলোর মেধা তেমন শানিত যেন না হয় যাতে তারা তাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে কোন অসুবিধা হয়না।
কিন্তু তিনির যখন বর্তমান সরকারের সাথে ভাল একটা সুসম্পর্ক আছে তা কাজে লাগিয়ে কওমির একটা উপকার হলে অসুবিধা কি? কারবারি আলেমরা গোলাপির পিছনে দৌড়ে ঘোড়ার ডিম এনে দিয়েছেন। এখন আবার কিসিম কিসিম টালবাহানা।আমরা মনে করি এইসমস্ত কারবারি আলেমদের কথায় কর্ণপাত না করে সত্যিকার ঈমানদার নিষ্ঠাবান দরবারি আলেমের দ্বারা যদি কওমির ফায়দা হয়ে যায় তাহলে আমরা নিবো। হজরত আসাদ মদনী রাহঃ’র খলীফা, আরসাদ মদনী দামাত বারাকাতুহুমের ফয়েজ ইয়াফতা মওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ কওমির গর্ব। তিনির ভাল কাজের প্রতি আমাদের জোর সমর্থন আছে থাকবে। শুধু তিনি নয় যেকেউ কওমি দেশ জাতির জন্য ভাল কিছু করলে আমরা তার পাশে।