কমাশিসা অনুসন্ধান: কিছু কিছু বেআদব পোলাপাইন বলছে, ফরীদ উদ্দীন মাসউদ দালাল। আমরাতো মনে করি খাঁটি আওয়ামী লীগার হলেও তো সমস্যা ছিল না কওমি সনদের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে। ২০০৮ বা ০৯-এ প্রথম প্রথম যখন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল তখন আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের মাধ্যমে মাঠের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। আজকে মাসউদ সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছে, অথচ সেদিন মন্ত্রী ড. হাসানকে মঞ্চে তশরীফ আনিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। খাঁটি লীগারের মাধ্যমে অনুমতি জায়েয হলে কথিত সহযোগীর মারফত স্বীকৃতি নিলে অসুবিধা কোথায়? এই মুহূর্তে সরকারের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখেন এমন একজন শক্তিশালী প্রতিনিধি হচ্ছেন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাবে কওমিকর্তৃপক্ষ ঠিক যে শর্তে চায় সেই শর্তেই সরকার স্বীকৃতি দিতে রাজি। এমপিওভুক্ত হওয়া লাগবে না, সরকার হস্তক্ষেপ করবে না, সনদ যে নিতে চায় সে নিতে পারবে, না নিতে চাইলে বাধ্যবাধকতাও নেই, সিলেবাসেও কোনো পরিবর্তনের চাপ থাকবে না। তাহলে সমস্যা কোথায়? না। আওয়ামী লীগ থেকে নেওয়া যাবে না। বিএনপি দেবে? বিএনপি কিভাবে দেবে? ওদের সাথে তো জামায়াত আছে, জামায়াতিদের নীতি-আদর্শ সম্পর্কে কি আমাদের সচেতন ধারণা আছে কি? ওরা চায় মাদরাসাগুলো আধুনিক হবে; ওই আধুনিক করতে গিয়েই তো ওরা আলিয়াগুলো স্কুল-কলেজে পরিণত করেছে। জামাত তার প্রয়োজনে আওয়ামীলীগের সাথে মিলেমিশে বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করেছে।
সেই জামায়াতী জোটের সঙ্গে যখন কওমি স্বীকৃতির প্রশ্ন ওঠবে তখন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে এই জামায়াত। তারাই প্রথম বলবে, এই সিলেবাসে স্বীকৃতি হবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা এটাই। অতএব বিএনপির জন্য বসে থাকা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা ছাড়া কিছুই নয়। আমি মনে করি, বিশ্ব ইজতিমার জন্য মাঠ বরাদ্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা এবং কাকরাইল মসজিদের জায়গাসহ বেশ কিছু বড় বড় ধর্মীয় পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগ করেছে। এখন কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে তারা একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে চায়, হয়তো এটা তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য। ওরা ওদের সুবিধার জন্য করুক আর আমরা আমাদের প্রয়োজন মেটাবো সমস্যা কোথায়? মুন্নি সাহা আর প্রথম আলো গ্রুপ মাঠে নেমেছে যাতে সরকার কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি না দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বলে সাহারা সুবিধা করতে পারছে না তবে বিএনপি শাসন শুরু হলে এই বিএনপি সাহা-আলোদের কাছে একেবারে অসহায় হয়ে রইবে, তখন স্বীকৃতিও যাবে, আমও যাবে ছালাও যাবে।
সুত্র-অনলাইন মিডিয়া