কমাশিসা সিলেট ডেস্ক: স্বীকৃতি নিয়ে টানাটানি, পদের লোভ কুরশি আশক্তির কারণে বৃহত্তর সিলেট ব্যাপী বিভিন্ন কওমি মাদরাসার ভিতর ঘটছে ক্ষোভের বিস্তার। প্রবাস অধ্যুষিত সিলেটের অধিকাংশ তরুণ দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবারের কেউনা কেউ অবস্থান করছেন। পরিবারের একজন বিদেশ হলে একে একে সকলকে ধারাবাহিক ভাবে স্পা্উজ ভিসায় যাওয়ার নিয়ম চালু আছে।কিন্তু কওমি সনদের স্বীকৃতি না থাকায় হাজার হাজার আলেমগণ সনদের চিপায় পড়ে আটকে আছেন। যারা ইতিমধ্যে পাড়ি দিয়েছেন ভিন্ন পথ অনুসরণ করে। অতএব সমকালীন তরুণরা চায় আর বাঁকা পথ ধরে নয় কওমি অংগনেই হউক সনদের স্বীকৃতির আয়োজন। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় তাদের মাঝে আশার আলোর ঝিলিক মারার সাথে সাথে আবার পদ ও পদবীর কারণে থমকে দাঁড়ানো দেখে অবাক বিষ্ময়ে সবাই হতবাক। প্রয়োজনে ‘বেফাককে তালাক’ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য জোর চাপ কর্তৃপক্ষের উপর আসতে শুরু করেছে।
স্রেফ রাজনৈতিক অভিলাষের কারণে স্বীকৃতি নিয়ে আজ ছিনিমিনি খেলা। কিন্তু তরুণদের দৃপ্ত শপথ হলো কোন বাঁধাই আর স্বীকৃতির পথকে আটকে রাখতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। অনেকে দুঃখ করে বলেন যে, যারা বড় বড় মাদরাসা গুলোকে নিজেদের জমিদারি বানিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের হাতে পায়ে জিঞ্জুড় পরিয়ে রেখে কান ধরে ঘুরাচ্ছেন উল্টো স্বীকৃতি হলেপর শেকল পরার ভয় দেখান। আসলে ছাত্র শিক্ষকদের শেকল পরার দিন শেষ হয়ে যাবে বলেই কায়েমী স্বার্থবাদীরা ভুয়া মায়া কান্না দেখাচ্ছে।
যদি তাদের নিয়ত সহীহ হতো তাহলে কেন পতিত সিলেবাসকে উন্নত করণের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়ায় হাত দেয়না তারা? একমাত্র স্বার্থ তাদের গদি জমিদারি, আর রাজত্ব খোয়ানোর ভয়। কিন্তু শেষ রক্ষা যে হবেনা একথা তারা ভাল করে জেনে রাখুক। যারাই ষড়যন্ত্র করছেন তাদের কপাল খুব খারাপ হবে। শাপলার গাদ্দাররা অসহায় আলেম উলামাদের গুলীর মুখে রেখে পালিয়ে যাবার কথা জাতি ভুলে যায়নি। সেখানে অনেক লেনদেন করেছেন এবার থামুন।