দেশের মাটিতে যারা চুড়ি পরে বসে থাকে তারাই বিদেশের মাটিতে বসে দেশের রাজনীতি নিয়ে মারামারি কাটাকাটি করে। দেশের মান সম্মান নিয়ে এভাবে আর কত খেলা হবে? বিদেশের মাটিতে দেশীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হউক প্রবাসীরা নিরাপদে থাকুক।
বিলেত নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ এবার যে মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুভের সাথেই প্রকাশ করলেন। লন্ডনের মোট শহরে এই সংগঠনটি ভালো একটি হোটেলেও বুকিং দিতে পারেনি।
সূত্রমতে ২টি ৫ষ্টার হোটেলে বুকিং দেয়ার পরও বুকিং রাখেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। কারণ এর আগে প্রধানমন্ত্রী যতবারই লন্ডনে এসেছেন ব্যাপক বাধার মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি হাসিনার হোটেলের সামনে দিনের পর দিন অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ফলে হাসিনার হোটেলে প্রবেশ কিংবা বের হওয়া রীতিমত বিপদজনক ছিল। এমনকি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে এসে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনার করা নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিএনপির মোকাবেলায় নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়নি আওয়ামীলীগ। এতে তাদেরকে শেখ হাসিনার ক্ষোভ ও কটুবাক্য শুনতে হয়েছে।
এবার লন্ডনে আসার আগেই কয়েকজনকে দায়িত্বটি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। বলেছিলেন বিএনপির মোকাবেলা করতে হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক সভাও হয়েছে। সভা শেষে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আওয়ামীলীগের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় যুক্তরাজ্যের এ নেতা বেশ কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ সোহো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপিকে। বলেছিলেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এবার মালিক সহ বিএনপির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। কিন্তু তাঁর ঢাকে সারা দেয়নি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীগণ।
দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপি ও আজ সকাল থেকে নির্ধারিত হোটেলের সামনে বার্কিংহামশায়ারস্থ স্টোক পার্কে বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেনা ।
সুত্র-শীর্ষবিন্দুনিউজ
ঝাড়ু, কালো পতাকা প্রদর্শন ও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল স্টোক পার্ক হোটেলের আশেপাশের অলিগলি। বিপরীতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সংখ্যা খুবই নগন্য। ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী সাথে নিয়ে বিক্ষোভের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আনোয়ারুজ্জামান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নেতাকর্মীদের এরকম নগন্য উপস্থিতি দেখে মানসম্মান নিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা বের হতে না পেরে অতিরিক্ত পুলিশের সাহায্য নিয়ে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ির গার্ডেন দিয়ে পালিয়ে বের হবার সুযোগ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, লন্ডনে হোটেল না পেয়ে স্লাউ এলাকার কাছে গ্রামের একটি স্পা হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য রুম ভাড়া করা হয়। অত্যন্ত সরু রাস্তার পাশে হোটেলটির প্রবেশ এবং বের হবার রাস্তা ছিল মাত্র একটি। এ যেন ইচ্ছে করেই খাঁচায় বন্দি করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার জন্য বিএনপির বিক্ষোভ অবস্থান ডিঙ্গিয়ে এই রাস্থা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ কিংবা বের হওয়া ছিল অনেকটা অসম্ভব। যদি না বাড়ির গার্ডেন ব্যবহার করা যেত তাহলে হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে কে উদ্ধার করতে হেলিকপ্টারের প্রয়োজন পড়তো।