বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ১০:২৫
Home / আকাবির-আসলাফ / ওমরে ছালিছ বা তৃতীয় ওমর !

ওমরে ছালিছ বা তৃতীয় ওমর !

সম্পাদনায়: কুতায়বা আহসান

11412147_375851582605019_2293739903647080416_n

নুওয়াইদ মাসউদ হাশিমী,

মোল্লা ওমরকে তৃতীয় ওমর হিসেবেও ডাকা হতো। এই সেই ওমর, যার হুকুমতের সূর্য কান্দাহার থেকে উদয় হয়ে কাবুল পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছিল। তাঁর বৈশিষ্ট ছিল যখনই কোনো এলাকা বিজয় করতেন তখন সর্বপ্রথম সেখানে শান্তি ও নিরাপত্বা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোর দিতেন। অলিতে গলিতে এক এক কমান্ডারের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের যে অরাজক রীতি চলে আসছিল তা গুঁড়িয়ে দিতেন। জায়গায় জায়গায় টেক্সের নামে চাঁদাবাজির যে সব আস্তানা ছিল তা ধ্বংস করে দিতেন। বিজয়ের পরপরই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের কে এক জায়গায় অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিতেন। এভাবে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা দূর হয়ে যেত। বিজিত এলাকার ভেঙে পড়া অবকাটামো যথাসাধ্য পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করতেন। সড়ক, বিদ্যুৎ এবং টেলিফোন ব্যবস্থা সংস্কারে খুবই জোর দিতেন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করতেন মসজিদ মাদরাসা এবং স্কুল কলেজের মেরামত কাজে। প্রত্যেক বিজিত এলাকায় তালেবানরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে নিরাপত্বা ব্যবস্থা জোরদার করতেন। শরয়ী আদালত স্থাপন করে বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর আফগান জনগণকে আর বিচারের অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকতে হয়নি।
তাঁর শাসনাধীন অঞ্চলের জনগণ তাঁর উপর ছিল অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণের এই ভালোবাসাই তাকে এগিয়ে নিয়েছিল। শাসনাধীন অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিও তাঁর শাসনকে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত স্বরূপ মনে করতো।
১৯৯৫এর শুরুর দিকে পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠতম উলামায়ে কেরামের একটি প্রতিনিধিদল করাচি থেকে কোয়েটা হয়ে কান্দাহারে প্রবেশ করেছিলেন। সাংবাদিকতার সূত্রে এ অধীনও ছিল সেই প্রতিনিধিদলের একজন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে মাওলানা কারী সাঈদুর রহমান মরহুম রাওয়ালপিন্ডি এবং শায়খুল হাদীস মাওলানা শাব্বির আলী শাহ আকুড়াখটক।
সেবারই রুশ ও আমেরিকার ত্রাস ওমরে ছালিছের সাথে প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল।
একটা ভিনদেশী প্রতিনিধিদলের সাথে একটা রাষ্ট্রীয় স্বাক্ষাতের অনুষ্ঠান যে এতো সাদামাটা অথচ গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ হতে পারে তা এ যুগে যে দেখেনি কেউ বিশ্বাসও করতে পারবে না। তিনি আসলেন, এসেই আমাদের পাশে ফ্লোরে বিছানো সাদা কাপড়ে ঢাকা ফরাশের উপর বসে পড়লেন। কোনো প্রটোকল ছিল না। ছিল না কোনো শোরগোল।
ছয় বৎসরের মতো দেশ শাসন করেছিলেন মোল্লা ওমর। তাঁর শাসনকালে বৃটেন, আমেরিকা এমনকি জাতিসংঘেরও বেশ ক’টা প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানে এসেছিল, কিন্তু মোল্লা ওমর একটা প্রতিনিধদলের সাথেও বসেননি। বরং তাঁর প্রতিনিধারাই এগুলো ডিল করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সহ যে কোনো দেশ থেকে যখনই কোনো উলামায়ে কেরাম গিয়েছেন মোল্লা ওমর পাগলের মতো তাঁদের কাছে গিয়েছেন। ছাত্রের মতো তাঁদের সাথে বসেছেন। গলা মিলিয়েছেন। দোয়া চেয়েছেন। নিজে তাদের মেহমানদারির তত্বাবধান করেছেন।Mullah_Omar

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

মিথ্যা বললে আল্লাহ নারাজ হন : প্রধানমন্ত্রী

কমাশিসা ডেস্ক:: আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৩ টায় ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা স্কুল বড় মাঠের সমাবেশে ...