যুবাইর বিন আরমান:
এক। স্থানীয় জানাশোনা হকপন্থী আলেমদের অনুসরণ করুন। দ্বীনের সকল বিষয়ে তাঁদের মতামতের গুরুত্ব দিন।
দুই। আলেমদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন -দলাদলি পরিহার করে মানুষকে নম্র ও শান্ত ভাষায় আল্লাহর পথে ডাকুন।
তিন। চার মাযহাবই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে একই সাথে একাধিক মাজহাবের অনুসরণ বিধি সম্মত নয়। কোনো এক মাজহাবের অনুসরণ একান্ত কর্তব্য।
চার। সালাফি ও আহলে হাদীস ফিতনার ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
পাঁচ। কথায় কথায় মুসলমানদেরে কাফের আখ্যায়িত করা থেকে সাবধান থাকুন।
চার। আল্লাহ ওয়ালাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের সমালোচনা করে নিজের মুখকে নাপাক করবেন না।
পাঁচ। ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রচার করুন।
ছয়। ইমামগণের মতানৈক্যপূর্ণ চলমান ফতুয়ার একটির স্থানে অন্য ইমামের মতামত প্রচার থেকে বিরত থাকুন। সাবধান! এটিই মারাত্মক ফিতনার সৃষ্টিকারী।
সাত। উগ্রপন্হা পরিহার করুন। প্রচলিত জঙ্গিপনা তথা নিরপরাধ সাধারণ মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থিত নয়। তাই এসব থেকে যুব সমাজকেই সচেতন থাকতে হবে।
আট। মসজিদুল আকসা বন্দি থাকতে পারে না। মসজিদুল আকসার মুক্তির ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
নয়। স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে জনমত তৈরী করুন। মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলুন।
দশ। হিংসা বিবেদ ভুলে আন্তরিকভাবে এক অপরকে সত্যের পথে আহবান করুন।
—-
শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস (হাফিযাহুল্লাহ) পবিত্র কাবা ঘরের সম্মানিত প্রধান ইমাম। বর্তমান দুনিয়ার সবোর্চ্চ সম্মানি আলেমদের অন্যতম তিনি।
দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে রয়েছে সম্মানিত এ ইমামেরে বিশেষ সখ্যতা। নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্তেও কয়েকবার তাঁকে দেওবন্দে আসতে দেখা গেছে। একই সাথে তাবলীগের প্রতিও রয়েছে এই মহা পুরুষের গভীর হৃদ্যতা। তাবলীগের দাওয়াতে তিনি পাকিস্থানেও আগমন করেছিলেন। হানবলী মাজহাবের অনুসারী এই ইমাম মাজহাব নিয়ে ফিতনা সৃষ্টির বিষয়টাকে আঁচ করতে পেরেছিলেন অনেক আগে থেকেই। তাই তিনি ভিবিন্ন সেমিনার , বিশ্যবিদ্যালয়গুলোর ভিবিন্ন সেমিষ্টারে এবিষয়ে ছাত্রদেরে সচেতন করতেন।
এখানে একটা ধুম্রজাল হলো -আহলে হাদীস বা সালাফিরা ভারতবর্ষ সহ সমস্ত দুনিয়ায় যেমন ফিতনাচার করে তেমনটা তাঁরা আরবে করে না। আরবে তাঁরা এমন ভাব দেখায় ‘যেন তাঁরা সকল মাযহাবকেই সত্য বলে জানে ও মানে। তাঁরা কেবল ইসলামের মৌলিক বিষয়ের প্রচার ও শিরক বিদাতের মোকাবেলা করছে।’ এক্ষেত্রে তাঁরা ভারতবর্ষের ভিবিন্ন মাজারের পরিস্থিতি দেখিয়ে তার সংশোধন কল্পে কোটি কোটি রিয়াল হাতিয়ে নিচ্ছে! সাথে সাথে আরবদের কাছে বিশ্বস্ত হিসাবেও আবির্ভূত হচ্ছে।
কিন্তু আরবারা যদি জানতো সমস্ত দুনিয়ায় তাঁরা কেমনভাবে মাজহাবি ফিতনার আগুন ছড়িয়েছে!? কেমনভাবে মসজিদে মসজিদে ধন্ধ পাকিয়েছে!? তাহলে কত আগেই নিষিদ্ধ হতো এই সম্প্রদায়ের ফিতনাবাজগুলো।
সত্য লুকায়িত থাকে না। তাই আস্তে আস্তে হলেও মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে সকল অশুভ শক্তির।
কাবা শরীফের সম্মানিত ইমামের এই সচেতনতা মানুষকে আরো জাগিয়ে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ সমঝ দিন।
পুনশ্চঃ
কাবার সম্মানিত এই ইমামের আহবান দলমত নির্বিশেষে সকলেই সাদরে গ্রহণ করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। তবুও যদি কারো আপত্তি থাকে তবে সাবধান! কাবার সম্মানিত এ মহা ইমামকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করবেন না। যা বলার যত খুশি বলার কেবল আমাকেই বলুন।
আল্লাহ তায়ালার পবিত্র ঘরের পবিত্র ইমামের সমালোচনা করে আল্লাহর ক্রুদ্ধকে ত্বরান্বিত করবেন না প্লিজ!
Komashisha