বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ১০:২০
Home / প্রতিদিন / ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ : এগিয়ে আসার আহ্বান

ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ : এগিয়ে আসার আহ্বান

bonna4বাংলাদেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে৷ গত ১০ দিনে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেই চলেছে৷

নিহত ২১ না ৪২?

উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা দেখা দিয়েছে৷ মধ্য জুলাই থেকে বন্যায় দেশের ১৬ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যাতে এ পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে মৃতের সংখ্যা ৪২ জন৷

নদীগর্ভে বিলীন আট হাজার বাড়ি

সরকারি হিসাবে, এ পর্যন্ত বন্যায় ১৬ জেলার ৭২ উপজেলার ৩৭৮ ইউনিয়নের ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে ৮ হাজার ১৪০টি ঘরবাড়ি৷

কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি

ভয়েস অব অ্যামেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে, যাদের পুনর্বাসনে তৎপরতা বা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না৷ বানভাসি মানুষের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল, পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে৷

কুড়িগ্রাম প্লাবিত

কুড়িগ্রাম জেলায় শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ে নয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে৷ সেখানকার একজন বাসিন্দা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চুরানব্বই সালের পর এমন বন্যা আর দেখেনননি তিনি৷ স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের ছয় লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি৷

স্কুল বন্ধ

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় দুইশ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যেটা ১৯৮৮ সালের বন্যায় ছিল ১২৫ সে.মি.৷

পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটায়, সেখানকার বন্যার পানি নামতে শুরু করলে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন৷

এগিয়ে আসার আহ্বান

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতের ভেতর থেকে ধেয়ে আসা বানের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভারত উজানের বাঁধ খুলে দিয়ে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির কারণে মানুষের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

 নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের প্রস্তুতির অভাবে পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছায় বন্যাদুর্গত মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। সরকারকে অতিদ্রুত বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রানসামগ্রী পৌছানো ও মানুষের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক পাঠাতে হবে।

বিবৃতিতে মজলিস আমীর ও মহাসচিব দেশের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও বিত্তবানসহ সকলকে বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...