পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা নেই৷ এ কথা জানার পর জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডিডব্লউর ফেসবুক পাতায় পাঠকরা এর বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে তাঁদের নানা মত প্রকাশ করেছেন৷
মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য খুশি হয়েছেন শাহনাজ রানু৷ তিনি একটি আবদারও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কাছে৷ লিখেছেন, ‘‘দিদি, ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছেন৷ এবার তিস্তার চুক্তি করে দেখিয়ে দেন যে, আপনিই বাংলাদেশের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী ।’
মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাম্প্রদায়িকতার কোনো ঠাঁই নেই – এ কথা জেনে ওমর ফারুক লিখেছেন, সেজন্যই তিনি মমতার ভক্ত এবং এ কথার জন্য মমতাকে শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি৷
তবে পাঠক তিতান পালের ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকদের বক্তব্য দেয়া মোটেই পছন্দ নয়৷ তাই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘শেখ হাসিনা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্য বেশ মিল রয়েছে৷ একজন খেলে হিন্দুদের নিয়ে আর একজন মুসলমানদের নিয়ে৷”
আর পাঠক অমল পান্ডে তো মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না৷ বরং তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নাকি সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক৷
তবে মো. সাহেব হোসেন সরকারের ‘গরু হোক ছাগল হোক, যার যা ইচ্ছে তাই খাবে’ – এই কথাটি পছন্দ হয়নি৷ তাঁর কথায়, এ সব নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তারা নাকি পাগল৷
অন্যদিকে ফেসবুকে পাঠক রুহুল আমিন তাঁর মন্তব্য জানিয়েছেন বেশ কড়া করেই৷ লিখেছেন, ‘‘ধর্ম নিয়ে হানাহানি-কাটাকাটির মূলেই আছে আমাদের নষ্ট রাজনীতিকরা৷ ওনারাই মানুষকে উসকে দেন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য৷” তাঁর মতে, ভোটের জন্য নাকি মমতা এ সব বলছেন৷
ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে অর্পা মুখার্জির কটাক্ষ করা মন্তব্য এরকম: ‘‘মমতা ব্যানার্জি হিন্দু ছিলেন, এখন পুরোপুরি মুসলমান হয়ে গেছেন৷”
সৌজন্যে : ডয়েচে ভেলে