কোনো ইউনিভার্সিটি উগ্রতার শিক্ষা দেয় না, এটা যেমন আমরা জানি, কোনো মাদরাসা কাউকে উগ্র বানায় না, এটা তারাও জানে। কিন্তু অপরিণামদর্শী অথবা অতি-উৎসাহী অথবা আত্মবিকৃত কিছুলোক দেশের কোথাও সন্ত্রাসী কোনো ঘটনা ঘটলে সেটাকে মাদরাসা-কেন্দ্রিক জঙ্গিবাদের তকমা দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে যে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে, সে একই ভুল আজ অন্যরাও করছেন! মাদরাসা পড়ুয়া কেউ কেউ আজ বলবার চেষ্টা করছেন-
”এতদিন তো আমাদের দোষলেন। এখন কী বলবেন? হামলাকারীরা তো ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে। এবার বলুন দেশের ইউনিভার্সিটিগুলোতে জঙ্গির চাষ হয়! বলুন এগুলোও বন্ধ করে দেয়া দরকার!”
আফসোস! ‘তারা অধম হইলেও আমরা উত্তম হইব না কেনো’- এই নীতিটি আমরা জাতিগতভাবে আত্মস্থ করতে শিখলাম না। আমরা কি মাদরাসা ছাত্র/ভার্সিটি ছাত্র হয়েই থাকব? আমরা কি আওয়ামীলীগ-বিএনপি হয়েই ভাবব? বাংলাদেশি হতে পারব না? আমরা কি এখনো শুনতে পাচ্ছি না ঝড়ের সাইরেন? আমরা কি এখনো দেখতে পাচ্ছি না ধ্বংসের দাবানল? আমরা কি তবুও বুঝতে পারছি না সাপ-লুডু খেলার বোর্ডে পরিণত হতে চলেছি আমরা? মই বেয়ে যতই উপরে উঠছি, ঠিকই নিয়ে ফেলা হচ্ছে সাপের মুখে!
দুই
গুলশানের অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর থমকে গেছে সারা দেশ! একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে ওঠেছে বিশ্ব। বিবিসি, সিএনএন যেভাবে নিউজের পর নিউজ, অত:পর ফলোআপ প্রতিবেদন করছে, যারা দেখছেন, কেবল তাঁরাই বুঝতে পারছেন কীভাবে কী বলবার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও যদি আমরা ঘিলুলেস কথাবার্তা বন্ধ করতে না পারি, তাহলে আর কবে করব?
বাংলাদেশের ঘোলাটে পরিস্থিতি এতদিন ছিল রাজনৈতিক। এখন আর তা নেই। যে আকার ধারণ করেছে, তাতে এটা এখন আর সরকার বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। এখন এটা জাতীয় সমস্যা। এটা এখন ষোলকোটি মানুষের সমস্যা। সুতরাং বাঁচাতে হলে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, এর পরেও যদি বিভাজন বিভাজন খেলা চলে, এরপরেও যদি স্বজন-অভাজন কথা চলে, তাহলে সিকিম হতে বেশিদিন লাগবে না।
এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার বক্তব্যটিকে যথেষ্ট ম্যাচিউরড এবং সময়সম্মত মনে হয়েছে আমাদের কাছে। তিনি বলেছেন, “কে ক্ষমতায় থাকবে, কে ক্ষমতায় যাবে, সেটা আজ বড় কথা নয়। আজ আমরা যারা আছি, আগামীতে তারা কেউ হয়তো থাকব না। দেশ থাকবে, জাতি থাকবে। সেই দেশ ও জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন। কোনো অর্জনই টিকবে না যদি আমরা সন্ত্রাস দমন করতে না পারি, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি”। এটাই এখন হওয়া উচিত বাংলাদেশের সকল মানুষের একমাত্র স্লোগান।
তিন
অনেকেই একটি আশংকার কথা বলছেন। এখন কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া কোনো মুসলমান ঘরের ছেলেকে যদি বাবা মা দেখেন নামাজ পড়তে শুরু করেছে, যদি দেখেন কোরআন তেলাওয়াত করছে অথবা খুটিয়ে খুটিয়ে কোরআনের তরজমা পড়ছে, তাঁরা আতংকিত হয়ে যাবেন! ছেলে কি তবে কোনো…! অজানা ভীতিতে ঘুম হারাম হয়ে যাবে তাদের।
আসলেই তো তাই! আসলেও তো তাই। এখন তবে কী হবে? ছেলেরা নামাজ-রোজা করতে পারবে না? করলে তাদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকানো হবে? কী ভয়াবহ ব্যাপার! এই অবস্থার ইতিবাচক উত্তরণ ঘটাতে না পারলে ঈমান-ইসলাম, দেশ-নিরাপত্তা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত কিছুই কি আর নিরাপদ থাকবে?
সবকিছু কি তবে শেষ হয়ে গেছে? আমরা মোটেও তা মনে করি না। আমরা হতাশ, তবে নিরাশ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় এখনো গিয়ে পৌছাইনি। এখনো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। এখনো সম্ভব হাতে হাত রেখে মাটির মোহনায় মিলে যাওয়া। একাত্তরের চেতনার কথা তো মুখে অনেক বলা হল। এখনই সময় চেতনার জানান দেয়ার। দেশের নারী-পুরুষ সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে পাহারা দেয়া; এটাই এখন চেতনার একমাত্র দাবি। আমরা কি মাটির দাবি মেটাতে এগিয়ে আসব?
চার
ব্রেইনওয়াশের কথা বলাহচ্ছে। বলাহচ্ছে, বাচ্চা ছেলেগুলোর ব্রেইনওয়াশ করে তাদেরকে কূপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কথাটিকে আমি অন্যভাবে বলতে চাই। পেন্টের জিপার থেকে এখনো পেশাবের গন্ধ না যাওয়া কিশোর ছেলেগুলোকে যারা এই পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে, সেটা ব্রেইনওয়াশ নয়। ‘ব্রেইন’ ওয়াশ করা হলে এক রতি ঘিলুও যদি অবশিষ্ট থাকত, তারা ওপথে পা বাড়াত না। তারা বুঝত, এটা ইসলামের নামে জীবন দেয়ার জান্নাতি পথ নয়। মানুষ মেরে জান্নাতে যাওয়া যায় না। এটা জাহান্নামের টিকেট কনফার্ম করার পথ।
এ জন্য আমি ব্রেইনওয়াশ শব্দটির স্থলে ‘ব্রেইন ডেমেজ’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই। যে কোনোভাবেই হোক, ছেলেগুলোর ব্রেইনের সার্কিট থেকে মানবিক সুস্থতার তারগুলো সব বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে। ফলে তাদের ব্রেইনের সিস্টেম পুরাই ডেমেজ হয়ে পড়ছে। তারা হয়ে যাচ্ছে এক ধরণের উন্মাদ। ভালমন্দ বিশ্লেষণ করবার ক্ষমতা আর থাকছে না তাদের। তা নাহলে ইসলামের কথাবলে তাদেরকে যদি বিভ্রান্ত করা হতে থাকে, তাহলে তারা একবার হলেও চিন্তা করত, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ আলেম-উলামার কোনো একজনও কি কোথাও বলেছেন, এসব কর্মকাণ্ড ইসলামের অংশ? কেউ বলেছেন এসব সওয়াবের কাজ? বরং উল্টোটাই কি বলছেন না? এসব কর্মকাণ্ডের সাথে ইসলামের দূরবর্তী কোনো সম্পর্কও নেই; এটাই কি বলা হচ্ছে না? তাহলে!
পাঁচ
‘যদি তাদেরকে ইসলামের কথা বলে বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে’! ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করলাম। এই যদি’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ‘যদি’র সাথে ‘কিন্তু’ এবং ‘সুতরাং’ও আছে। অনেকগুলো দৃশ্যমান কারণে ‘যদি’টি অদৃশ্য। আর সেটিই হল আসল কথা। এই লাইনটি যারা বুঝতে পারলেন, তারা তো পারলেনই। যারা পারলেন না, তাদের আর বোঝার দরকার নাই।
ইসলাম কখনো মানুষ মারার পারমিশান দেয় না। ইসলাম পরিষ্কার জানিয়ে রেখেছে, ‘কেউ যদি একজন মানুষ হত্যা করে, সে যেনো গোটা মানবতাকেই হত্যা করল’। যারা নামাজ-রোজা ছেড়ে দিয়ে মানুষ মারায় মত্ত হল, তারা তো ইসলামী সংজ্ঞায় মুসলমানের ক্যাটাগরিতেই পড়ে না। তাহলে আমি কী করে বিশ্বাস করব এরা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত হয়েছে! তারা যদি ইসলামের নামেই প্রতারিত হয়ে এ পথে পা বাড়িয়ে থাকত, তাহলে তাদের নিজেদের জীবনে তো প্রথমে ইসলাম থাকত। কিন্তু বাস্তবতা তো তা বলে না।
তাহলে আসলেই এরা কারা? কারা মূল ক্রিড়নক? মুসলিম এরা হতেই পারে না। তবে তারা কারা? কাদের সৃষ্টি? কারা বেনিফিশিয়ারি? বিশেষত আজ মসজিদে নববির পাশে সংঘটিত ঘটনার পর প্রশ্নটি আরো জোরালো হয়েই সামনে আসে। এই প্রশ্নের জবাব শুধু মুসলিম বিশ্বকে নয়, তামাম বিশ্বকেই খুঁজে বের করতে হবে। যদি একটি নিরাপদ বিশ্ব চাওয়া হয়।
ছয়
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নামের আগে আজ বিরাট একটা প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড়ানো। চেষ্টা চলছে চিহ্নটির স্থলে বিশেষ বিশেষণটি লাগিয়ে দেয়ার। আমরা যদি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করি, আমরা যদি এখনো মাটিয়তার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে ধ্বংস হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। জাতীয়তা না বলে মাটিয়তা বললাম। জাতীয়তা নিয়ে ভিভক্তিকর ভাবনা থাকতে পারে, মাটিয়তা নিয়ে কোনো বিভক্তি নেই।
এতবড় একটি দুর্ঘটনার পরেও উপর থেকে নিচ, আবাল প্রজাতির কিছু মানুষ তাদের গান্ধা মগজের দুর্গন্ধযুক্ত সেই চিরাচরিত ফাইজলামী স্টাইলের কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। সন্দেহ করবার যথেষ্ট সুযোগ আছে এগুলো আসলেই বাংলাদেশি মাল কিনা? নাকি নাড়ি অন্য কোথাও পোথিত? ভিন্ন দেশের জারজ আগাছা?
সন্ত্রাসীরা কারা? ‘এরা জেএমবি! হরকতুল জিহাদ! প্রশিক্ষিত শিবির! আইএস! জামাত-বিএনপি! আওয়ামীলীগের ঘরের লোক…’ এগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে সাপ্লাই দেয়া কথা। বিশ্ব চাইছে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর জঙ্গি রাষ্ট্র হিশেবে ঘোষণা করতে। দেশের ভেতর থেকেই যদি, এই শ্রেনির মাথামোটা লোকদের জবান থেকেই যদি এই ভাষার কথা বেরোয়, তাহলে প্রথমে অনুসন্ধান করে বের করা দরকার এরা কোন দেশের দালালি করছে? নাড়ী তাদের কোথায়? তাদেরকে তাদের ঠিকানায় পুশইন করা দরকার। বাংলাদেশের আলো-বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে দেশের কলিজায় এভাবে ছিদ্র করার কোনো অধিকারই তাদের নেই।
সাত
কয়েকটি ছেলে আত্মঘাতী হামলা করেছিল গুলশানে। এরা বাংলাদেশের হাই সোসাইটির বাবা-মায়ের সন্তান। যে কারণে এখন আর সেই ভাঙা রেকর্ড বাজানোর সুযোগ রইল না ‘মধ্যবিত্ত গরীব ঘরের মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেদের আর্থিক প্রলোভন দিয়ে লাইনচ্চুত করা হচ্ছে’। এখন এই সত্যই প্রতিষ্ঠিত, সন্ত্রাসী আর উগ্রবাদীদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড কোনো বিষয় নয়। সন্ত্রাসীর পরিচয় সে সন্ত্রাসী। এবং সে সন্ত্রাসী। অত:পর সে শুধু সন্ত্রাসীই। ব্যাকগ্রাউন্ড-ফ্রন্টগ্রাউন্ড বলে কিছু নেই।
সরকারি সূত্রকেই আমরা সঠিক ধরে নিচ্ছি। সন্ত্রাসীরা সবাই মারা পড়েছে, একজন ছাড়া। এখন নিশ্চ’ই এটা ভেবে বসে থাকা ঠিক হবে না যে, সারাদেশে এই সাতজনকেই তৈরি করা হয়েছিল, যাদের সবাইকে সাইজ করে ফেলা গেছে! অতি সঙ্গত বাস্তব চিন্তা থেকেই অনুমান করা দরকার এই ভাইরাস আরো কতজনের শরীরে ছড়িয়ে দেয়া হয়ে থাকতে পারে? তারা কারা হতে পারে? তারা কোথায় থাকতে পারে? কীভাবে তাদেরকে সনাক্ত করা যেতে পারে।
এই প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব সঠিকভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। অবশ্যই নষ্ট রাজনীতির উর্ধে উঠে করতে হবে। অবশ্যই মাইন্ডসেট ধারনাকে পেছনে ফেলে কাজ করতে হবে। বিশেষ কোনো ব্যক্তি, শ্রেনি বা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা যাবে না আবার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চি মাটি এবং এভরি সিঙ্গেল ওয়ান নাগরিকের কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা যাবে না। একদম প্রধামনন্ত্রী থেকে শুরু করে, আলেম-উলামা, পির ফকির থেকে নিয়ে রাস্তার ঝাড়ুদার পর্যন্ত, সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে। অবশ্য যারা কথায়-কথায়, যথায়-তথায় দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি দেখে আসছে, তাদের প্রতি নজরটা একটু বেশি দেয়া যেতে পারে। প্রয়োজন হলে তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষ বাহিনির মাধ্যমে বিশেষভাবে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে, ‘বল তোরা কী জানিস! যা যা জানিস বল। কোথায় কোথায় জঙ্গি আছে প্রমাণভিত্তিক বলেদে। ঝেড়ে কাশ। তোরা তোদের পেটের ভেতর জঙ্গিদের এত খবর নিয়ে বসে আছিস আর দেশের আজ এই অবস্থা’!
তারা যদি সত্যি সত্যি উইথ ডকুমেন্ট কোনো তথ্য দিতে পারে, তাহলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর যদি ‘হে হে’ করে, ‘হতে পারে, মনে হচ্ছে, ধারণা করছি’ টাইপ গাঁজাখুরি কথাবার্তা বলে, তাহলে এই ধারণার বাচ্চাদের আঙুল আর জিহবা কেটে দিয়ে ছেড়ে দেয়া দরকার। যাতে এর পরে আর ফালতু বকওয়াস করে বা লিখে দেশটাকে আরো বেশি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে পাঠানোর সুযোগ না পায়।
আট
মূল দায়িত্বটা এখন ষোলকোটি মানুষকেই নিতে হবে। সরকার, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধির নষ্টজীবি, মিডিয়া, কারো উপরেই আর ভরসা করে বসে থাকা যাবে না। প্রত্যেক নাগরিককে এক-একজন পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। দেশের সব মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে সচেতন হয়ে যায়, তাহলে গুটি কতেক নষ্ট এর পরে আর কিছুই করার সুযোগ তৈরি করতে পারবে না। কারণ তারা দেখবে তাদের একেকজনের ছায়ার সাথে হাজার লোকের নজরদারি। কিছুই করার ক্ষমতা থাকবে না তাদের।
নয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
মাননীয় খালেদা জিয়া!
মাননীয় রাজনীতিবিদগণ!
মাননীয় বুদ্ধিজীবি সুশীলগণ!
মাননীয় উলামা-পির-মাশায়েখ!
মাননীয় মিডিয়াকর্মী ও সাংবাদিকগণ!
প্লিজ নিচের দিকে তাকান। মাটির গন্ধ শুকুন। রক্তের গন্ধ পাবেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ রক্ত দিয়ে এ মাটি অবমুক্ত করে দিয়ে গেছে। রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভুলে যান সব। আল্লাহর ওয়াস্তে ভুলে যান পারষ্পরিক জেদ-ক্লেদ। ভুলে যান পক্ষ-বিপক্ষ-প্রতিপক্ষ। মাটি বাঁচান। দেশ বাঁচান। দেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। ঝগড়া-ঝাটি পরেও করা যাবে।
ভুলে যাবেন না, ঘরে আগুন যেই লাগাক, পুড়ে মরতে হয় ভেতরে থাকা সবাইকে। বাংলাদেশের গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘ফু’ দেয়ার চেষ্টাটা দয়া করে আর করবেন না। আগুন যদি লেগেই যায়, কে লাগিয়েছে সেটা কোনো কথা হবে না। পুড়ে বাঁচতে হবে পুরো দেশকে। যে বাঁচা হবে মরার চেয়েও কঠিন!