আতিকুর রাহমান,
ইসলামে ইলম হাছিলের মর্যাদা অনেক। দৈনন্দিন জীবনে শরীয়তের উপর চলার জন্য প্রয়োজনীয় ইলম অর্জন মুসলমানের জন্য ফরজ। অজ্ঞতা বসত: দুনিয়াতে নিজের হারাম কাজের জন্য হাশরের ময়দানে নিজের অজ্ঞতার অজুহাত আল্লাহর নিকট গ্রহণ যোগ্য হবেনা। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলাকে বলা যাবেনা “আমি জানতাম না তাই এমন করেছি”। এজন্য ইলম অর্জন জরুরি। আসুন ইলম অর্জনের ফায়দা ও আলেমের মর্যাদা নিজের হাদিছ থেকে জেনে নেই।
হযরত আবু দারদা রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাঃ কে ইরশাদ করতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসিল করার উদ্দেশ্যে কোন রাস্তায় চলে আল্লাহ তাআলা এ কারণে তাকে জান্নাতের রাস্তাসমূহ থেকে এক রাস্তায় চালিয়ে দেন। [অর্থাৎ ইলম হাসিল করা তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের কারণ হয়ে যায়] ফেরেশতাগণ তালেবে ইলমের সন্তুষ্টির জন্য আপন পাখা বিছিয়ে দেন। আরামের জন্য আসমান জমিনের সমস্ত মাখলুক এবং মাছ যা পানিতে রয়েছে সকলেই মাগফিরাতের দুআ করে। নিঃসন্দেহে আবেদের উপর আলেমের ফযীলত এরূপ যেরূপ পূর্ণিমার চাঁদের ফযীলত সমস্ত তারকারাজির উপর। নিঃসন্দেহে উলামায়ে কেরাম আম্বিয়া আলাইহিস সালামের উত্তরাধিকারী। আর আম্বিয়াগণ দিনার ও দিরহাম এর উত্তারাধিকারী বানান না। তারাতো ইলমের উত্তরাধিকারী বানান। অতএব যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসিল করল, সে পরিপূর্ণ অংশ লাভ করল।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৬৪১।
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১২৩১।
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৭৪৬।