ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলাম ধর্মানুযায়ী, যেসব হিজড়ার দেহে নারী বা পুরুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের “দৃশ্যমান চিহ্ন” দেখা যাবে তারা তাদের বিপরীত লিঙ্গের কাউকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্ত যাদের শরীরে উভয় লিঙ্গের “দৃশ্যমান চিহ্ন” থাকবে তারা বিয়ে করতে পারবে না। তবে এ শারিরীক লক্ষণ বা চিহ্নগুলো কি তা ফতোয়ায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। ফতোয়ায় আরও বলা হয়, “হিজড়াদের অপমান বা হেয় করার উদ্দেশে করা যে কোনো কাজ বা আচরণ ইসলামে অপরাধ হিসেবে গণ্য।”
তবে ফতোয়াটি মানার ব্যাপারে কোনও আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পাকিস্তানের হিজড়া অধিকার আন্দোলন কর্মীরা এ ফতোয়াকে ‘ভাল পদক্ষেপ’ হিসাবে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, তারা বলছেন, এ বিষয়ে মানুষের মনোভাব এখনও বদলায়নি।
হিজড়া অধিকার কর্মী আলমাস বোড্ডি বিবিসি কে বলেন, কেউ হিজড়াদের নিয়ে বলেছে এতেই তিনি খুশী। শরিয়া আইন অনুযায়ী হিজড়াদের বিয়ের অধিকার এমনিতেই আছে। কিন্তু সমাজে হিজড়াদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভুল ধারণা দূর করার পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এ সম্প্রদায়ের অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
হিজড়াদের নিয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেকেই হিজড়া বিয়েকে সমলিঙ্গের বিয়ে ভেবে এ নিয়ে অভিযোগ তোলে বলে জানান আরেক অধিকারকর্মী। তিনি বলেন, সরকার জনগণকে হিজড়াদের অধিকারের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তুললেই কেবল এ অবস্থার অবসান হতে পারে।
সৌজন্যে : বিডিনিউজ২৪.কম