শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১০:৪৩
Home / প্রতিদিন / কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি কোন পথে

কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি কোন পথে

rokonরোকন রাইয়ান : দেশের প্রচলিত তিন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার একটি কওমি মাদরাসা। এক সময় এর পরিসর ছোট হলেও এখন এর গ-ি বেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে ছাত্র সংখ্যা। অপেক্ষাকৃত কম খরচের কারণে গরিব-এতিম ছাত্র-ছাত্রীরা সুবিধা নিতে পারছে এর থেকে। তাই বড় করে সামনে আসছে এ শিক্ষার ভবিষ্যৎ। উচ্চকিত হচ্ছে স্বীকৃতির আওয়াজ। তাদের কথাÑ এখন আর এ শিক্ষাকে উপেক্ষার সুযোগ নেই। এখান থেকে প্রতিবছর হাজারো ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা নিয়ে বের হচ্ছেন। রাষ্ট্রের কোনো রকম সহযোগিতা ছাড়াই স্বউদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন পেশায়। দেশে সম্মানজনক পেশায় যারা যুক্ত হতে পারছেন না তারা চলে যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে। দেশের রেমিটেন্সে একটি বড় অবদান রয়েছে এই মাদরাসা শিক্ষিতদের। দেশের লাখ লাখ মসজিদ এবং মক্তব মাদরাসাই হল তাদের প্রধান কর্মক্ষেত্র। সনদের সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় তারা তাদের মেধা-যোগ্যতাকে সর্বত্র কাজে লাগাতে পারছে না। অনেকের মধ্যে বলিষ্ঠ নৈতিকতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যুক্ত হতে পারছে না দেশের উন্নয়নের মূল শ্রুতধারায়। দেশ বঞ্ছিত হচ্ছে একটি বিশাল নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষিত জনশক্তির সেবা থেকে।

কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসের তথ্য অনুযায়ী দেশে ২০ হাজার কওমি মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসা থেকে প্রতিবছর শিক্ষা শেষ করে বেরুচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। এদের রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন, কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই ওঠেছে এ শিক্ষার স্বীকৃতি। জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বোর্ড কাজ করছে কওমি শিক্ষা নিয়ে। তবে কে কবে সর্ব প্রথম স্বীকৃতির দাবি জানায় এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। সিলেটের এদারায়ে তালিম সর্ব প্রথম স্বীকৃতির দাবি জানানোর কথা বললেও ঢাকার বেফাকুল মাদারিস দাবি করে তারাই সর্ব প্রথম এ দাবি তুলে সরকারের কাছে। তবে সব বোর্ড এখন এ কথার ওপর একমত যে কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি প্রয়োজন।

মূলত ৯০ দশকের শুরুতে স্বীকৃতির আলোচনা শুরু হলেও সবার সম্মিলিত দাবি ওঠে গত চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার আমলে। এ দাবি প্রথমে ব্যক্তি বা মাদরাসাকেন্দ্রিক হলেও পরে তা সর্বস্তরের আলেম ও ছাত্র-শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে। ধীরে ধীরে আন্দোলন গতিশীল হতে থাকে। এক সময় কওমি মাদরাসার সবচেয়ে বৃহৎ বোর্ড বেফাকুল মাদারিস এ লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি ও বিবৃতি দিতে থাকে। পাশাপাশি চলতে থাকে আলেম-ওলামা, ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত সমাবেশ-সেমিনার। এসব সমাবেশ সেমিনার থেকে উদ্দেশ্য লক্ষ্যগুলোও তুলে ধারা হয় স্পষ্টভাবে। যে কারণে সরকারও এদিকে নজর দিতে বাধ্য হয়। গত চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার আমলে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তবে সেটা বেশি দূর এগোয়নি। সেই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে সবশেষে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মহাজোট সরকার ১৫ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে। অবশ্য পরে বেফাকের দাবির মুখে আরো দুজন সদস্য বৃদ্ধি করে ১৭ জনে নেয়া হয়। এই কমিশন গঠনের আগে সরকার শীর্ষ আলেমদের নিয়ে কয়েকটি বৈঠকও করে। যেখানে দেশের সব কওমি বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১৭ সদস্যের এই কমিশন নিয়ে দেশের কওমি ছাত্রসমাজ বেশ আশান্বিত হয়েছিলেন।

৯ এপ্রিল গঠিত কওমি কমিশনে সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী (চেয়ারম্যান)। গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রুহুল আমীন (সদস্য সচিব) ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ (কমিশনের কো-চেয়ারম্যান)।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন- চট্টগ্রামের জামিয়া দারুল মাআরিফের মহাপরিচালক মাওলানা সুলতান যওক নদভী, চট্টগ্রামের পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বোখারি। কুমিল্লার জামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা আশরাফ আলী, কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ার শাহ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার দীর্ঘদিনের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার, সিলেটের হোসাইনিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল বাসেত বরকতপুরী, ঢাকার মিরপুরের মারকাযুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়ার শিক্ষাসচিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক, ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার প্রিন্সিপাল মুফতি মাহফুজুল হক, বসুন্ধরার ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষাসচিব মুফতি এনামুল হক, হবিগঞ্জের মাদরাসা নূরে মদিনার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া আলী অ্যান্ড নূর রিয়েল এস্টেটের প্রিন্সিপাল মাওলানা হিফজুর রহমান। বগুড়ার জামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল হক হক্কানি এবং খুলনার জামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার হাফেজ মাওলানা মোশতাক আহমাদ।

কমিশন গঠনের পর বিষয়টি সর্বমহলে বেশ আলোচনায় আসে। কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় সদস্যদের। এর অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হয় আশকোনা হজক্যাম্পের দ্বিতীয় তলার একটি রুম। সরকারের পক্ষ থেকে একটি গাড়িও বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রথম দিকে কাজের অগ্রগতি দেখা গেলেও সমস্যা দেখা দেয় কিছুদিন পরেই। সমস্যা মূলত বেফাককে নিয়ে। তারা কমিশনের অধিকাংশ বিষয়ে একমত হতে পারেনি। মাঝখানে কমিশনের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফীর অনুপস্থিতিতে তার সাইন নকল করে বিবৃতি প্রচারের কথাও ফলাও হয় পত্রিকায় এবং অধিকাংশ সিদ্ধান্ত আল্লামা আহমদ শফী ও বেফাক মহাসচিব আবদুল জব্বারের মতামত না নিয়েই গৃহীত হয়। যা তাদের ভাষায় তাদের মত পরিপন্থী। এসব কারণে প্রথমে ১০ এপ্রিল এই কমিশনকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করে বেফাক। পরে ৭ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। তারা সেটাকে মেনে নিয়ে বেফাকুল মাদারিস থেকে দুইজনকে সদস্য করেন। তবে সেটাও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সদস্যদের সাধারণ সভায় তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দেয়া, মুফতি নোমান আহমদ কর্তৃক ‘কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে জাতীয় ওলামা সম্মেলনে তাদের দাওয়াত না করে পোস্টারে নাম ছাপানোসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগে গত ২০ ডিসেম্বর মিরপুর আরজাবাদ মাদরাসায় এক সম্মেলনে কমিশনের পদ প্রত্যাখ্যান করে। এখন পর্যন্ত তারা এই সিদ্ধান্তের ওপরই অটল রয়েছেন। অবশ্য এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি কওমি কমিশন। কারণ এর পরের কাজগুলো ঠিক একই কায়দায় এগিয়ে নিয়েছেন তারা। কমিটিতে চেয়ারম্যানের পদে এখনো আল্লামা আহমদ শফির নাম শোভা পেলেও পুরো কাজগুলো মূলত কমিশনের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ও মুফতি রুহুল আমিনের মাধ্যমেই চালিত হচ্ছে। এর মধ্যে এই কমিশন কর্তৃক কওমি শিক্ষার একটি খসড়া নীতিও তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর পহেলা ফেব্রুয়ারি ১৩ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ১৩ পর্যন্ত ওপেন মতামতও চাওয়া হয় এই কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান ওপেন এই মতামতে বেশ সাড়া পাওয়া যায়। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ মতামত দিয়েছেন বোদ্ধা অনেকেই। এসব যাচাই করে খসড়া নীতিটি চূড়ান্ত করা হবে জানান কমিশন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ১৭ সদস্যের গঠিত এই কমিশন ও খসড়া শিক্ষানীতি নিয়ে এখনো নাখোশ রয়েছে বেফাকুল মাদারিস। বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার একান্ত আলাপে জানান, এই কমিশনে আমাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। সরকার এখন যেভাবে চাচ্ছে তাতে কওমি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগুলো কী? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কওমি মাদরাসা আকাবির-আসলাফদের একটি ঐতিহ্য, এর সিলেবাসে আত্মশুদ্ধি ও চারিত্রিক বিষয়াদি প্রাধান্য। এসব বিষয়ে কওমি মাদরাসা আর নিজের অবস্থানে থাকতে পারবে না। সরকারি হস্তক্ষেপে কওমি মাদরাসা স্কুলের মতোই হয়ে যাবে। সেটা আমাদের কাম্য নয়।

এ বিষয়ে কওমি কমিশনের সদস্য সচিব মুফতি রুহুল আমিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মাওলানা আবদুল জব্বার সাহেব কি করে এমন কথা বললেন আমি জানি না। তবে আমরা শিক্ষানীতিতে স্বীকৃতির ব্যাপারে সবকিছু উল্লেখ করেছি। এখানে ছয়টি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। যার বাইরে আমরা স্বীকৃতির দাবি করব না, নেব না এবং ভবিষ্যতেও চাইবো না।

শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেফাকসহ যারা স্বীকৃতিতে কওমির স্বকীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের জবাব রয়েছে শিক্ষানীতির ১৬ নং পৃষ্ঠার ‘স্বীকৃতির জন্য কিছু শর্ত’ শিরোনামে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে স্বীকৃতির জন্য কওমির সিলেবাসে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ না করা, আকিদা ঠিক রাখা ইত্যাদির মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো।

শর্তগুলো নিম্নরূপ :
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ও অসুস্থ রাজনীতির কবলে পড়ে ভবিষ্যতে যেন কওমি মাদরাসা তার স্বকীয়তা না হারায় সেজন্য কিছু শর্ত যোগ করা  হলো। উল্লেখ্য যে, এসব শর্ত কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে পেশ করা হলোÑ
১. কওমি মাদরাসার নেসাব ও নেযামে তালিমে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করা চলবে না।
২. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা সম্পূণভাবে অক্ষুণœ রাখতে হবে।
৩. মাদরাসার পরিচালনা পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করা চলবে না।
৪. কওমি মাদরাসা কখনও এমপিওভুক্ত হবে না।
৫. কোনো মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৬. প্রচলিত কওমি মাদরাসা বোর্ডগুলো তাদের স্ব-স্ব বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

কওমি কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশমালাগুলো নিম্নরূপ :
১. কওমি মাদরাসার মারহালাতুত তাকমিল (দাওরা-ই-হাদিস-স্নাতকোত্তর) স্তরকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতি প্রদানের সুপারিশ করছে।
২. উচ্চ শিক্ষার যথাযথ মান বজায় থাকে এটা নিশ্চিত করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কাজ বিদ্যমান ও চালু আছে, তাদের কার্যক্রম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনে আলাদা একটি দিক নির্দেশনামূলক কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে।
৪. দেশের উল্লেখযোগ্য কওমি শিক্ষা বোর্ডগুলো এবং কওমি মাদরাসার শীর্ষ উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা যেতে পারে। এ কর্তৃপক্ষ কওমি মাদরাসার মারহালাতুত তাকমিল (দাওরা-ই-হাদিস-স্নাতকোত্তর) সনদ প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত হবে এবং মারহালাতুত তাকমিল (দাওরা-ই-হাদিস-স্নাতকোত্তর) এর সমাপনী পরীক্ষা এই কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হবে। স্বতন্ত্র কওমি মাদরাসা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ কার্যকর থাকবে। সে হিসেবে কমিশন ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠনের সুপারিশ করছে।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...