লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়৷ এতে হতাহতও হয় প্রচুর লোক৷ এবার সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাতে এগিয়ে এসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী৷ তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন লঞ্চ ট্র্যাকার৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, জিপিএস নির্ভর এই ট্র্যাকারের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে লঞ্চ তথা যে-কোনো নৌযানের অবস্থান জানা যাবে৷ ফলে যে-কোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেয়া সম্ভব হবে এবং প্রাণহানির আশঙ্কা কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন উদ্ভাবকরা৷
উদ্ভাবকদের একজন সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল বলছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরশেনের আওতাধীন নৌযানগুলোর কাঠামো, অবস্থান, গতিপ্রকৃতি এবং দেশের আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে এই ‘ট্র্যাকিং ডিভাইস’ তৈরি করা হয়েছে৷
এর ফলে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানি করলে যে ফল পাওয়া যেত এখন তার চেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
দেশীয় শিক্ষার্থীদের এমন আবিষ্কারে আনন্দিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাগিব হাসান ফেসবুকে খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য দরকার জীবনমুখী প্রযুক্তি, যে প্রযুক্তি বাংলাদেশের দৈনন্দিন নানা সমস্যাকে কম খরচে সমাধান করতে পারে৷…. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের নেতৃত্বে যে প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে সেটা হয়ত কারিগরি দিক থেকে খুব কঠিন কাজ না, কিন্তু এটাকে সেভাবে দেখার কারণও নেই, কারণ এটা হলো প্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগের উদাহরণ৷”
এই খবরের নীচে জার্মানি প্রবাসী ফেসবুক ব্যবহারকারী ‘হাঁটুপানির জলদস্যু’ সচলায়তন ব্লগের একটি লেখা শেয়ার করেছেন৷ এক বছরেরও বেশি আগে পোস্ট করা ঐ ব্লগে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে লিখেছিলেন ‘হিমু’৷ সেখানে তিনি নৌযানে সেন্সর বসানোর প্রস্তাব করেছিলেন৷ কিন্তু সিএনজি মিটারের মতো সেন্সরও অকার্যকর করে রাখা হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তা দমনে কঠোর আইন ও জরিমানার প্রস্তাব করেছিলেন তিনি৷
সৌজন্যে : ডয়েচে ভেলে