অনলাইন ডেস্ক :: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, রমযান মাসে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। জিনিসপত্রের দাম ল্যাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। অতীতে সাধারণ মানুষের জন্য টিসিবির ট্রাকে কম মূল্যে জিনিসপত্র সরবরাহ করলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। এতে মানুষ ধারণা করছে, ব্যবসায়ীদের চ্যান্ডিকেটের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় জড়িত। তাই অবিলম্বে জিনিসপত্রের দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
শনিবার মজলিস মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজুল হক বলেন, রমযান মাসেই মানুষের চলার দিক-নির্দেশিকা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। প্রতি বছর রমযান এসে উম্মাহকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তাকওয়াভিত্তিক সমাজ ছাড়া মানুষ মুক্তি পেতে পারে না। প্রতিটি মানুষকে এমাসে তাকওয়া অর্জনে যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান স্যেকুলার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের মাধ্যমে এদেশকে হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এমনিতেই নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে দিন দিন সমাজের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে, হত্যা, সন্ত্রাসসহ নানামুখী অপকর্ম সমাজকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ ও শিরক এবং কুফরীযুক্ত পাঠ্যসূচি বাতিল করে সর্বক্ষেত্রে আল্লাহমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মহানগর সহসভাপতি হাফেজ শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা কোরবান আলী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ডা. সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুহাম্মদ সাবুদ্দীন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ, মুহাম্মদ ফয়জুল গণি, মাওলানা রুহুল আমীন ইউসূফ, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা আতিক উল্লাহ, মাওলানা নুর মোহাম্মদ আজিজী, মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, মাওলানা আসাদুল্লাহ সাদী, রেজওয়ান হোসাইন ও মাওলানা আমানুল্লাহ।