হাফিয মাওলানা ফখরুযযামান : যুগ চাহিদার কি কোন মূল্য নেই?
ইসলামি শরিয়তে কি যুগ চাহিদার কোনো মূল্য নেই? সব সময় কি প্রাচীনকে আঁকড়িয়ে ধরতে হবে?তা যদি হয়, তাহলে মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীন নামে দু’দলের সৃষ্টি কেন? আর ইসতেসহাবে হাল বলে উসূলে ফেকাহ- এ একটি বিষয় কেন রাখা হল? সাহাবায়ে কেরাম প্রথম থেকেই কেন হাদিসকে লিখিতভাবে সংরক্ষণ করতে গেলেন না। পরবর্তীতে তাবীরা কেন এ জিনিসটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আপন মেধা ও শ্রম এতে ব্যয় করলেন? ফুকাহায়ে কেরাম ও মুজতাহিদগণ কেন মাসাইলকে বাব ও ফাসল আকারে বিন্যস্ত করলেন? ইমাম গাযালি-রাযিরা কেন যুক্তিবিদ্যা ও গ্রীক দর্শন আয়ত্ব করলেন?তাফতাযানী ও নূরুদ্দীন বুখারিরা আকাঈদের কিতাবাদিকে কেন গ্রীক দর্শনের আলোকে প্রণয়ন করলেন? এসব ব্যতিরেকে আমাদের নিকট অতীতের আকাবিরগণ কি নিজ নিজ সময়ের সামাজিক চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসেননি? শাহ ওলিউল্লাহ ও থানবি কেন ইবাদতসমূহের দর্শন নিয়ে মাতামাতি করলেন?
মোটকথা, কোনো জাতি বা গোষ্ঠী নিজেকে জীবন্ত করে রাখতে হলে যুগ সচেতন থেকে সময়ের চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের মন-মেযাজের সাথে সঙ্গতি রেখে দ্বীনকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এবং ওই আলোকে নিজেকে দ্বীনের প্রতিটি শাখা-প্রশাখার যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলে সমাজের সার্বিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। আর এর জন্যে প্রয়োজন আকাবিরদের ন্যায় সময়ের চাহিদানুযায়ী বাস্তবতার আলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এর বাস্তবায়ন।