কমাশিসা অনলাইন ডেস্ক: স্পেন ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। রাজধানীর নাম মাদ্রিদ। মধ্যযুগের প্রথমদিকে এটি জার্মান শাসনাধীনে গেলেও পরবর্তীতে মুসলিমরা দেশটি জয় করে নেন। শুরু হয় মুসলিম শাসন অবসানের জন্য উত্তরের খ্রিস্টান রাজ্যসমূহের এক এলোমেলো এবং অত্যন্ত দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। অবশেষে সফল হয় খ্রিস্টানরা।
১৪৯২ সালে কলম্বাস যখন অজানা দ্বীপ আমেরিকায় পৌঁছেন, তখন মুসলিম শাসনের শেষ চিহ্নটুকু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গ্রানাডা থেকে। নতুন সাম্রাজ্য স্পেনকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করে এবং ষড়বিংশ শতাব্দী থেকে সপ্তবিংশ শতাব্দীর অর্ধভাগ পর্যন্ত স্পেন ছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রধান পরাশক্তি।
৫ লক্ষ ৫ হাজার ৯ শ’ বর্গ কিলোমিটার (১৯৪,৮৯৭ বর্গ মাইল) আয়তন নিয়ে স্পেন আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৫১তম দেশ।
মুসলমানদের আবেগের সঙ্গে মিশে আছে স্পেনের নাম। সেই স্পেনে ধর্মের নামে ভুল পথে থাকা চরমপন্থি ও উগ্রবাদীদের প্রতিরোধ করার জন্য সরকার সেদেশের সরকারি স্কুলে ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সুশিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি, স্পেনের মুসলমানদের ইসলামি পরিচয় জোরদারের উদ্দেশ্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্পেনের সরকারি স্কুলের নির্দেশনার বিষয়টি ইসলামি কমিশনের মাধ্যমে উত্থাপন করা হয় এবং দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তা অনুমোদিত হয়। আইনটি ১৯৭৮ সালের সংবিধানের ২৭.৩ অনুচ্ছেদে রয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী সরকার অভিভাবকদেরকে এ নিশ্চয়তা প্রদান করবে যে, আপনার সন্তানদের ধর্মীয় সুশিক্ষার বিষয়টি আমরা পালন করব।
গেট স্টোনের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি শিক্ষা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
অনুমোদিত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামি আকিদা, ইসলাম সম্পর্কে প্রাথামিক জ্ঞান, নবী পরিচিতি, নামাজ, রোজা ও নৈতিক শিক্ষার মতো বিষয়গুলো পড়ানো হবে।