রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১:০৫
Home / প্রতিদিন / লন্ডনে সংবর্ধিত খালেদা জিয়া: উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ

লন্ডনে সংবর্ধিত খালেদা জিয়া: উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ

khaledaকমাশিসা ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া সাতটার দিকে লন্ডনে পৌঁছেছেন। হিথ্রো বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন।
ব্যক্তিগত চিকিৎসা ও পারিবারিক বলা হলেও বেগম খালেদা জিয়ার এই সফর বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সরকার বিরোধী আন্দোলন, নিজ দলের মধ্যে অস্থিরতা নিরসন এবং সরকারের মামলা-নিপিড়নের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান করণীয় ঠিক করবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চেয়ারপাসরনের সফরে যুক্তরাজ্যের বিএনপিও উজ্জীবিত। প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বুধবার ভোর রাতে হিথ্রো বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক।
বিমানবন্দরের লবি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি। ছেলে তারেক রহমান গাড়ি চালিয়ে মাকে হোটেলে নিয়ে যান। বিমানবন্দরের গেটের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে ফুল ছিটিয়ে, শ্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম প্রমুখ।
ব্যক্তিগত এ সফরে বেগম খালেদা জিয়া দুই সপ্তাহ লন্ডনে থাকবেন। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। আসন্ন ঈদুল আজহাও তিনি এখানে করবেন। এটাই হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে প্রথম ঈদ।
২০১৪ থেকে ২০১৫, মাঝখানে কেটে গেছে এক বছর। তাই বুধবার সকালে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর হয়ে উঠল মিলন মেলা।এ এক অন্য রকম মিলন। তাই ছেলেকে কাছে পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমানও নিজের চাপা কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারেননি। সবার সামনে মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেন তিনি। মা-ছেলের এই আবেগী দৃশ্য উপস্থিতদেরও নাড়া দিতে বাধ্য করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের সময় মা-ছেলের সাক্ষাত হয়। এরপর বিএনপি ও জিয়া পরিবার অনেক কিছু হারাতে হয়েছে। বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া প্রিয় ছোট সন্তানকে হারিয়েছেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে তিন মাসের অধিককাল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করেছে বাংলাদেশের মানুষ। ৯৩ দিন বালুর ট্রাক আর পুলিশী অবরোধে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসেন তারেক রহমান। পাশের সিটে মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এভাবে মাকে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফেরেন তারেক রহমান। পুরো রাস্তায় গোলাপী শাড়ি পরিহিত খালেদা জিয়াকে খুব উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। মা-ছেলে এ সময় গল্প করছিলেন।যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, মাকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালান তারেক রহমান। বাসায় ফিরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সকালের নাস্তা করেন খালেদা জিয়া।সেখানে নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ক্যানারি ওয়ার্ফে রেডিসন হোটেলে উঠবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক জানান, খালেদা জিয়া যতদিন লন্ডন থাকবেন, ততদিন তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহা লন্ডনেই উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এটিই বিদেশের মাটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রথম ঈদ।দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা, দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়া লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে যান। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেশে ফেরার পথে বড় ছেলে তারেক রহমানকে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বছর সাতেক স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
খালেদা জিয়া গত বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গেলে তারেক রহমানও লন্ডন থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। এরপর মালয়েশিয়ায় থাকা খালেদার ছোট ছেলে কোকো মারা যান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যস্ততার ফাকে দলের প্রবাসী নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সফরকালে খালেদার কর্মসূচি হতে পারে। তিনি সফর শেষে আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

সুত্র: আমার দেশ

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...