কমাশিসা ডেস্ক: স্মরণশক্তি আল্লাহতায়ালার অপরিসীম দান। তবে প্রত্যেক মানুষের স্মরণশক্তি সমান নয়। স্মরণশক্তির কমবেশ মহান আল্লাহতায়ালার কুদরতের রহস্য বিশেষ।
স্মরণশক্তির জোড়ে মুখস্থ করার মতো অস্বাভাবিক নানা ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। যা স্বাভাবিকভাবে বেশ কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ। এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে সাতক্ষীরার মো. হাসানুর রহমান। মাত্র ২ মাস ২৬ দিনে পুরো কোরআনে কারিম মুখস্থ করেছে সে।
১৪ বছর বয়সী হাসানুরের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন রহমতপুর গ্রামে। হাসানুর রহমানের বাবার নাম মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বোরিং মিস্ত্রির কাজ করেন। ২ ভাই, ১ বোনের সংসারে হাসানুর মেজো।
অবাক করার কথা হলো, তার শিক্ষকরা তার চাহিদামতো পড়া শুনলে সে আরও অাগেই কোরআন মুখস্থ করে শেষ করার সুযোগ পেত। এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মঈন জানান, সে যে এমন মেধাবী তা আমরা বুঝতে পারিনি। হাসানুর পড়ালেখায় খুব মনোযোগী ছিলো না। কিন্তু তার উস্তাদ হাফেজ আলাউদ্দিনকে সবক শোনানোর সময় প্রায় ১০ পৃষ্ঠা করে সবক শোনাত। একদিন তো সে পুরো এক পারা মুখস্থ শোনায়। এভাবেই সে ২ মাস ২৬ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত জেলার ছেলে হাসানুর রহমানের এমন কৃতিত্বে তার পরিবার ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেশ খুশি।
হাসানুর সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসা দারুল উলুমের ছাত্র। মাদ্রাসাটি সাতক্ষীরা পৌরসভার অন্তর্গত বাঙালের মোড় এলাকায় ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) ওই মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে হাসানুরকে তার কৃতিত্বের জন্য সম্মাননাসূচক পাগড়ি প্রদান করা হয়। তাকে পাগড়ি পরিয়ে দেন খুলনার বিশিষ্ট আলেম হজরত মাওলানা মুফতি রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ এমএ জলিল, আলহাজ ডা. আবুল কালাম বাবলা, মাওলানা আবদুর রহমান ও ছড়াকার নামজুল হাসানসহ অনেকেই।
সুত্র: বাংলানিউজ