রিয়াজ উদ্দিন বাবুল :: চৈতের খরার জন্য আগে কৃষক, কৃষাণীরা নৈলা গান, বদনা বিয়ে, শিরনী দিত আর আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায় দে, তুমি আল্লাহ বলে চিৎকার করত। কিন্তু বর্তমানে যে তার ব্যতিক্রম খরায় আষাঢ় মাসের পাহাড় ভাঙ্গা বৃষ্টি সাথে চারিদিকে পানিতে পানিতে ছয়লাফের গাঁ ঝাড়ানো সাধা মাটা সমান্তরাল বন্যাও। মোষল ধারে ঝরছে টিপ-টিব বৃষ্টি। করবে কী? এখন কি বলবে? আল্লাহ সবই পারেন।
বর্জ্য গর্জন একই তালে, কম্পিত আকাশ-পাতাল, বৃক্ষ-তরু লতা পাতা। ভয়ে কাতর দুধের বাঁচ্ছা থেকে শিশু কিশোর। হয়তো বা নিক্ষিপ্তও হয়েছে।দোর্ষসংবাদ ও কি আগামীকাল পেপার পত্রিকায় আসতে পারে।সব মিলে ভয়ানক পরিস্তিতির স্বীকার।
বিরতিহীন বৃষ্টিতে আগামীর কর্ণধার ভবিষৎ প্রজন্ম শিক্ষার্থী ভাইদের এইচ এস সি সমমানের পরীক্ষায় ব্যয়াঘাত। রাস্তায় পানি জমে পুকুর। কাঁচা রাস্তায় কাঁদার ছড়া ছড়ি। গর্ত সবই সমান। যানবাহন সমতল ভেবে এগুলে যেতে না যেতে অর্ধ পানির গহিনে। এমন কি বিকলও হয়। এতে করে আমাদের তথা পরীক্ষার্থী ভাই বোনদের মারাত্তক সমস্যার স্বীকার। বিশেষ করে আমাদের গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, সালুটিকর, ধোপাগুলের রাস্তা। যাই হোক খরা, বৃষ্টি সবই আল্লাহর মনসা।কিন্তু কৃত্তিম ভাবে যেমন রাস্তার বেহহাল দশার! দরুণ এহেন পরিস্তিতি দায় নেবে কে?তাই বলে তো শেষ নয়।১ঘন্টার রাস্তা মেভি ৩ঘন্টা লাগবে। রোগি হলে তো আর শেষ, এখানেই রোগ ছেড়ে যাবে। ডেলিবারীরত মহিলাকে যদি নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যালে তাহলে রাস্তায় সন্তান হয়ে যাবে। আর এমন তো হয়েছে অনেক। বিশ্বাস না হলে একপল দেখে যান। বলতে কষ্ট লাগে আমাদের এ সিলেট থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব নে, কিন্তু কি করে এসব দিয়ে? আমাদের এ রাস্তাগুলি করে দিতে পারেনা? নাকি হিংষা।
বিশ্বের ভিবিন্ন দেশ থেকে আমাদের গোয়াইনঘাট, জাফলং বিছনাকান্দি, ফতেপুরের রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টে পর্যটকরা আছে। তারা রাস্তার বেহাল দশা দেখে বলে এলাকায় কি কোন এমপি, মন্ত্রি নেই? এতো সব টাকা নিয়ে করে কি?
জাফলং বিছনাকান্দির পাথর দ্বারা সারা দেশের ব্রিজ কালবাট, রাস্তা ঘাট হয় কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে এসব মেটেরিয়ালস যাতায়াত করে সে রাস্তা কি হাল? পরিবর্তন কি হবে না? আমরা সেই গাধা বার আর হাতির মোটা শরিরের বহনী থেকে গেলাম।
থাক! আসলে এসব বলে লাভ নেই। যদি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি পড়ে তাহলে আমাদের এ রাস্তার পরিবর্তন হবে। এ আশায় থাকলাম।