অনলাইন ডেস্ক :: ফ্রান্সের নারী অধিকার মন্ত্রীর এক বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইছে ইউরোপজুড়ে। তিনি নিকাবধারী মুসলিম নারীদেরকে আফ্রিকার নিগ্রোদের সাথে তুলনা করেছেন, যারা স্বেচ্ছায় দাসবৃত্তিকে মেনে নেয়। লরেন্স রসিগনোল বুধবার স্থানীয় রেডিও ও টিভি সাক্ষাৎকারে বর্ণবিদ্বেষী এই মন্তব্য করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে তার পদত্যাগ চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পিটিশনে ১০,০০০ স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষর প্রদান করেন।
রসিগনোল ঐ টিভি অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফ্যাশন শিল্প বিষয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। পরে তিনি জানিয়েছেন ‘নিগ্রো’ শব্দটি ভুলে উচ্চারিত হয়েছিল। সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকে স্মরণ করিয়েছেন যে রসিগনোল একসময় বর্ণবিদ্বেষবাদী কোয়ালিশন ‘এসওএস রেসিসমি’র সাথে জড়িত ছিলেন।
ইউরোপে সংখ্যালঘু হিসেবে ফ্রান্সেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বসবাস এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর সবচেয়ে বেশি কঠোরতা আরোপকারী দেশ। সেখানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয় ২০১১ সালে।
সাক্ষাৎকারের অন্য অংশে মন্ত্রী এমন ফ্যাশন পোশাক উৎপাদনকারীদের সমালোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, সাতারের পোশাকে শালীনতার জন্য মাথা, হাত ও পা ঢেকে রাখা ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ কাজ।
গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনোমির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুসলিম ভোক্তারা ইসলামি পোশাকে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন যা ২০১৯ সাল নাগাদ ৩২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। এটা যুক্তরাজ্য জার্মানি ও ভারতের পোশাক বাজার থেকেও বড়।
বছরের শুরুতে ইতালীয় পোশাক প্রস্তকারক প্রতিষ্ঠান ‘ডোলস অ্যান্ড গাবানা’ মুসলিম নারীদের বাজার ধরতে কিছু হিজাবি পোশাক বিক্রি শুরু করেছে।
সুত্র: আলজাজিরা/দিগন্ত অনলাইন