আতিকুর রহমান :: ব্যাংক ডাকাতি তথা বৈদশিক মুদ্রার লুটপাট করা নিয়ে প্রচুর সংখ্যক বন্ধু পোস্ট দিচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্ঠা হচ্ছে খুব ভালো কথা। কিন্তু এমন একটি পোস্টও দেখলাম না যেখানে বলা হয়েছে এই লুটপাটের ফলে একজন সাধারণ নাগরিকের কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
অর্থনীতিবিদগণ এ বিষয়ে চুল-চেরা বিশ্লেষণ করতে পারবেন। আমি অল্প কথায় এই লুটপাটের ক্ষতি তুলে ধরছি-
১. বৈদেশিক মুদ্রার একচেঞ্জ রেট (Exchange Rate) বেড়ে যাবে l
২. ইম্পোর্ট নির্ভর বাংলাদেশে সকল প্রকার পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। ধরুন আপনি যে জামাটা পড়ছেন তার সুতা বা কাঁচা মাল হিসেবে তুলার দাম বেড়ে জাউয়ায় আপনার জামার দামও বেড়ে যাবে।
৩. যারা বিদেশে লেখা-পড়া বা ভ্রমন করেন তাদের অধিক পরিমানে বাংলা টাকা খরচ করতে হবে।
৪. ইনফ্লেশন বা মুদ্রা স্ফীতি বেড়ে যাবে l
৫. ব্যাংকের তারল্য বা ডিপজিট মানির ঘাটতি পরবে।আর এতে ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে যাবে, শিল্প কারখানা স্থাপনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
৬. ভারত নির্ভর বাংলাদেশের, ৫ লক্ষ ভারতীয়র বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন, ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনা, ভারত থেকে রান্না ঘরের চুলা আমদানি থেকে শুরু করে সব কিছুর মুল্য পরিশোধে গুনতে হবে অধিক অর্থ
৭. বৈদেশিক বাজারে প্রতিযোগিতা সামাল দিতে গার্মেন্ট কারখানার মালিকগন কাঁচামালের বাড়তি মুল্য সামাল দিতে শ্রম মুল্য কমাতে চাইবে।
৮. নিন্ম বা মধ্যবিত্তের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে, আইন শৃঙ্গখলার অবস্থার অবনতি হবে।বাড়বে মানুষের মাঝে হতাশা।
এক অজানা কারণে আমাদের অনেকেই বিষয়গুলুকে আমলে নিচ্ছেন না। আল্লাহ বলেন- “আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।” (সূরা আল আ’রাফ:১৭৯)