বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১২:৩৫
Home / আন্তর্জাতিক / চলে গেলেন ই-মেইলের জনক রে টমলিনসন

চলে গেলেন ই-মেইলের জনক রে টমলিনসন

4701_emailঅনলাইন ডেস্ক :: আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম ই-মেইলের জনক রে টমলিনসন মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৭৪ বছর। তার কর্মপ্রতিষ্ঠান রেথিওন এই খবর নিশ্চিত করেছে। তবে টমলিনসনের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রেথিওনের মুখপাত্র মাইক ডবলকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, শনিবার সকালেই মৃত্যুবরণ করেন টমলিনসন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি মাইক। তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক খবরে হার্ট অ্যাটাকে টমলিনসনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছে রেথিওন। এক বার্তায় রেথিওনের মুখপাত্র মাইক ডবল বলেন, ‘তিনি ছিলেন প্রযুক্তির প্রকৃত একজন পথিকৃৎ। একদম শুরুর দিকেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তিনি ই-মেইল নিয়ে এসেছিলেন আমাদের মধ্যে। তিনি গোটা বিশ্বের যোগাযোগের ধরনই পালটে দিয়েছিলেন। তার এই অবদানের জন্যই তাকে বিশ্ব কখনই ভুলতে পারবে না।’ মার্কিন প্রকৌশলী ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার রে টমলিনসন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪১ সালের ২৩শে এপ্রিল, নিউ ইয়র্কে। রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৬৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৬৭ সালে তিনি যোগ দেন বোল্ট, বেরানেক অ্যান্ড নিউম্যান কোম্পানিতে। সেখানেই তিনি টেনেক্স অপারেটিং তৈরির প্রকল্পে সহায়তা করেন। এই কোম্পানিতেই নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা কম্পিউটারের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য তিনি উদ্ভাবন করেন আরপানেট নেটওয়ার্ক। আর টমলিনসনের হাত ধরেই আরপানেট নেটওয়ার্কে প্রেরিত হয় বিশ্বের প্রথম ই-মেইল। তবে প্রথম এই ই-মেইলটি সংরক্ষিত নেই বলে জীবিত অবস্থায় জানিয়েছিলেন টমলিনসন। ই-মেইল ঠিকানা লেখার জন্য ‘@’ চিহ্নটিও প্রথম ব্যবহার করেন রে টমলিনসন। এদিকে টমলিনসনের মৃত্যুর খবরে বিশেষ করে প্রযুক্তিবিশ্বে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গুগলের ই-মেইল সেবা জি-মেইলের টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করা হয়েছে, ‘ধন্যবাদ, রে টমলিনসন, ই-মেইল উদ্ভাবনের জন্য এবং ‘@’ চিহ্নটিকে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার জন্য।’ ইন্টারনেটের আরেক পথিকৃৎ ভিনসেন্ট কার্ফ বলেন তার মৃত্যুর খবরকে দুঃখজনক এবং বিশ্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন। ২০১২ সালে ইন্টারনেট হল অব ফেমে স্থান দেওয়া হয় টমলিনসনকে। প্রযুক্তিবিশ্বের নানা পুরস্কারই নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছেন ই-মেইলের এই উদ্ভাবক। কপি।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...