হাকীম সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ ::
Arnoud ভ্যান Doorn এবছর বিশ্ব ইজতেমায় এসেছিলেন
আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্ন হচ্ছেন বিখ্যাত ডাচ রাজনৈতিক, আলোচিত ইসলামবিদ্বেষী ছবি ‘ফিতনা’র পরিবেশক ও ণির্মাতা। এ ছবিটি ২০০৮ সালে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। গোটা মুসলিম দুনিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ইসলামবিরোধী সাবেক ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ডাচ ফ্রিডম পার্টি (PVV) Geert Wilders র. কেন্দ্রীয় নিতিধার্রক, ভ্যান Doorn । ডেনিশ কার্টুন ফ্লিম “ফিতনার ” কথা অনেকের স্মরণ থাকার কথা । আল্লাহ কিভাবে হেদায়ত করেন ভাবতে অভাক লাগে।
‘আর্নোড ভ্যান দুর্ন ‘কে অনেকেই চিনেন না, কিন্তু তার তৈরী ইসলাম বিরোধী/বিদ্বেষী ফিল্ম “FITNA” (ফিতনা) এর ব্যাপারে অনেকেই জানেন (যেটির কারণে সাড়া মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল, পাবলিস করার প্রতিবাদে Youtube পাকিস্তান সহ অনেকদেশে বন্ধ করে দেয়)।
তিনি এখন একজন মুসলিম। তার ফিল্ম “ফিতনা” এর জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং আল্লাহর কাছে ততওবা করেছেন। যেন মহান রব তাকে ক্ষমা করে দেন।২০১৩ সালে ইসলাম গ্রহনের পর তাবলিগে সময় দিয়েছেন হজ্বও করেছেন।
# এক সময়কার ইসলাম বিদ্বেষী এই ডাচ নেতার এখন আফসোস/প্রচেষ্টা “কিভাবে ফিতনা ফিল্মটিকে সম্পূর্ণ উধাও করে দেওয়া যায়”।
# এই নও মুসলিম এখন ইসলামের একনিষ্ট দাঈ। এখন “ইউরোপিয়ান দাওয়া সেন্টারের ” একজন সক্রিয় কর্মি এবং “কানাডিয়ান দাওয়া এসোসিয়েশন” এর অ্যাম্বাসেডর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
.
তিনি বলেন,আগে পড়াশোনা করি, এরপর ইসলামের ব্যাপারে/বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাই !!! কিন্তু আমার ফিল্ম নিয়ে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠল তখন আমার বাল্য বন্ধু ড্যনিসের কাউন্সিলর গোপনে আমাকে দাওয়াত দিয়ে প্রভাবিত করে ফেলে। যেহেতো ইসলাম সম্পর্কে আমি জানতাম তাই আগ্রহটা হঠাৎ করে বেড়ে গেল। নেদ্যারলেন্ড থেকে এক মুসলিম জামাতের সাথে গোপনে কিছু সময় ব্যয় করলাম। দাঈদের প্রভাবে স্রষ্টার সঠিক পরিচয় পেলাম।আমার চোঁখ খুলে গেল। ”
.
নেদারল্যান্ডের এক কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে দশ লক্ষ মুসলমান রয়েছে। তবে তাদের বেশির ভাগই হলেন তুর্কি ও মরক্কোর মুসলিম বংশোদ্ভূত নাগরিক।
গত কয়েক বছরে খাস ডাচ মুসলমানের সংখ্যা ১২ হাজার থেকে বেড়ে প্রায় ১৫ হাজার হয়েছে।
এবছর বাংলাদেশে’র বিশ্ব ইজতেমায়ও এসেছিলেন। একজন পরিপূর্ণ দাঈ হিসাবে তাকে কবুল করুন।
হে দয়াময়, রাব্বে করিম পুরো পৃথিবীতে তুমি হেদায়তকে আম কর দাও।