ডব্লিওএইচও’র মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান বলেছেন, জিকা ভাইরাস দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এবং এর প্রভাবটাও অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এর বিরুদ্ধে দ্রুতই কিছু করা প্রয়োজন। ২৩ দেশসহ আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জিকা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান চ্যান। তিনি বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়টি নিয়ে জরুরি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রোগ-বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এ জরুরি কমিটি ভারাইসটি নিয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করবে। জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ১ ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জরুরি কমিটির বৈঠকও ডেকেছেন চ্যান। জিকা ভাইরাসের কারণে নবজাতক শিশুর মধ্যে গুরুতর জন্মগত ত্রুটির কারণেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বেশি।
গত বছর মে মাস থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব শুরু হয়। তার পর থেকে দেশটিতে অপরিণত বা ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এ অবস্থাকে বলা হয়‘মাইক্রোসেফালি’। এতে আক্রান্ত শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই শিশুরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে,শারীরিক বৃদ্ধি বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাঝারি মাত্রার জ্বর, চোখে প্রদাহ ও মাথাব্যাথা হয়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এডিস মশা জিকা ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী। এই মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসও বহন করে।