দাবা খেলাকে হারাম বলে ফতোয়া জারি করেছেন সৌদি আরবের প্রধান মুফতি শায়েখ আবদুল আজিজ বিন-আব্দুল্লাহ আল-শায়েখ।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্থের অপচয় করে এবং শত্রুতা ও ঘৃণার’ জন্ম দেয় মন্তব্য করে একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তরে এই ফতোয়া দেন। আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দাবাখেলা সময় এবং অর্থের অপচয় করে এবং তা খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতা তৈরি করে।’
পবিত্র আল কোরআনের একটি আয়াতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘মাদক, জুয়া, পৌত্তলিকতা এবং ভাগ্য গণনা হারাম’। ইসলাম পূর্ব যুগে আরবি ভাষায় ‘মাইসির’ এর সঙ্গে তোলনা করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দাবাকে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ না হলেও প্রধান মুফতির ফতোয়া জারি এখন নতুন করে এক বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
সৌদি চেস অ্যাসোসিয়েশনের ল কমিটির সভাপতি মুসা বিন থাইলি বলেন, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মক্কায় দাবা টুর্নামেন্ট শুরু হবে। ‘দাবাকে জনপ্রিয় করে তুলতে সৌদি চেস অ্যাসোসিয়শন অনেক কাজ করেছে এবং যদি শক্তি প্রয়োগ করা না হয় তাহলে সব জায়গায় দাবা খেলার আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।’ তবে ধারণা করা হচ্ছে, দাবা খেলাকে নিষিদ্ধ করবে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। একে গান শোনার মত ছোট স্খলন হিসেবে দেখা হতে পারে।
এর আগে ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া নেতা গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানি ‘সব ধরনের’ দাবা খেলা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া দিয়েছিলেন। তা বাস্তবে বোর্ড ও ঘুটিতে বা কম্পিউটারে যেখানেই খেলা হোক না কেন এবং খেলা নিয়ে কোনো বাজি না থাকলেও।
বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় খেলা দাবা বুদ্ধির খেলা হিসেবে পরিচিত। গত শতাব্দীতে দাবা খেলায় কম্পিউটারের ব্যবহার একে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে।