শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:০৭
Home / অনুসন্ধান / পিপি পদ থেকে ইস্তফা : ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আর থাকবেন না এডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম

পিপি পদ থেকে ইস্তফা : ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আর থাকবেন না এডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম

মাদরাসার-সভাপতি-443x300কমাশিসা ডেস্ক ::

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আর থাকবেন না এডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম। বুধবার বিকালে পাবলিক প্রসিকিউটরের পদ ছাড়ার আগে জেলা জজ কোর্টের নিচে দাঁড়িয়ে কয়েকজন সহকর্মীকে এ কথা বলেন তিনি। ক্ষোভের সঙ্গে সঙ্গে চোখও ছিল অশ্রুসজল। বারবার রুমালে চোখ মুছছিলেন। দ্রুত পদত্যাগ করে চোখ মুছতে মুছতেই আদালত এলাকা ত্যাগ করেন মাসুম।

এডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম ছিলেন জামিয়া ইউনুসিয়া (বড় মাদরাসা)’র সভাপতি।  মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মামা।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি)।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংস ঘটনায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ৩ দিন পর গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় পাবলিক প্রসিকিউটের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের কাছে তিনি তার পদত্যাগপত্র তুলে দেন। এ সময় মাসুমের সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী আজাদ রকিব তুরান, মো. ওসমান গণি, সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউসার, এমদাদুল হক চৌধুরী, নাজমুল হক রিটন, মো. শাহপরান প্রমুখ।

মহিউদ্দিন খান মাসুম তার দায়িত্ব অতিরিক্ত পিপি নূর মোহাম্মদ জামালের কাছে বুঝিয়ে দেন। এ সময় ক্ষোভ ঝড়ে পড়ে তার। বলেন শুধু পিপির পদ থেকেই নয় তিনি সবকিছু থেকেই পদত্যাগ করবেন। পল্লী বিদ্যুতের উপদেষ্টার পদ থেকে আজই (শুক্রবার) পদত্যাগ করবেন। আশুগঞ্জ সারকারখানাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের আইন উপদেষ্টার পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন। উপস্থিতদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর ব্রাহ্মণবাড়িয়াই থাকুম না। আজ বা কাল ঢাকায় চলে যাব।  এরপর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাব।

এর আগে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রতিক ঘটনায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃৃত হন মহিউদ্দিন খান মাসুম। মাসুম জেলার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ঘটনার সময় মাদরাসার পক্ষ নিয়ে উসকাানি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক সভায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সর্বসম্মতভাবে জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কার করা হবে না সেই জবাব চেয়ে নোটিশ দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে ছিলেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

পদত্যাগের পর মিডিয়াকে এডভোকেট মাসুম বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি গন্ডগোলটা থামাতে পেরেছিলাম। এতে আমি সাকসেসফুল হয়েছি। আমি ডিসির হুকুমে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে মাদরাসায় পৌঁছি। সারাদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করি। তা না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেদিন ম্যাছাকার হয়ে যেত। এই আগুন সবাইকে পেত। ঐদিনতো আমাকে ছাড়া আর কাউকে মাদরাসার ভেতর দেখা যায়নি। এত কেউ কষ্ট পেলে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত।

তিনি বলেন,  আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তে আমি মেন্টালি শকড। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিদেয় নিচ্ছি। সেজন্য সবকিছু থেকে পদত্যাগ করছি। ঢাকায় গিয়ে আমার পারিবারিক চিকিৎসককে দেখাবো। তার পরামর্শ নিয়ে বিদেশে যাবো। কি বলবো ভাই আওয়ামী লীগের ফাউন্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন আমার ভাই। শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীতে আমার পরিবারের কথা লিখা আছে। মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান আমার ভাগ্নে। এর চেয়ে বেশি আর কি হতে পারে। S.sb

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...