গত ১১ জানুয়ারী সোমবার রাত ৫ ঘণ্টব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও তাপস চক্রবর্তীর বর্বর হামলা ভাংচুর ও নির্মম ভাবে শহীদ মাসুদুর রহমানের হত্যার পর আজ ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদরাসায় আগমণ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। হযরতের সফর সঙ্গী ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রাত ৯.৩০ মিনিটের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়ায় আসেন। মুফতী আব্দুর রহিম কাসেমী, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হক মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ মাদরাসার শিক্ষকবৃন্দ হযরতকে অভর্থণা জানান।
হযরত মাদরাসার শিক্ষকদের থেকে শহীদ মাসুদুর রহমানের হত্যার বিবরণ, মাদরাসায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্থের অবস্থা শুনে অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েন। হযরত নিহতের পরিবার এবং আহতদের খুঁজ খবর নেন। হযরতের আগমণের সংবাদ আগ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিকরা হযরতের আগমণের পূর্বেই মাদরাসায় অবস্থান নেন। মাদরাসার শিক্ষকদের থেকে সব বিষয়ে অবগত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। হযরত বলেন কার অনুমতি ক্রমে পুলিশ এবং সন্ত্রাসবাহীনি মাদরাসায় প্রবেশ করে। কি অপরাধ ছিল কিশোর মাসুদের। সে তো হাফেজে কুরআন। একজন হাফেজে কুরআনের বুকে গুলি করা মানে কুরআনে গুলি করা। একজন হাফেজে কুরআনকে লাথি মারা মানে কুরআনকে লাথি মারা। তিনি বলেন কত বড় নিমর্ম হত্যাজ্ঞ নিরাপরাধ একজন হাফেজে কুরআনকে চার তলার উপর থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া। এই হত্যার বিচার চাই। মাসুদের হত্যাকারীদের বিচারের জোড় দাবী জানাই। তিনি মসজিদ মাদরাসা হামলার তিব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন সকল কওমী মাদরাসর ছাত্র এক আমি হাটহাজারীর ছাত্রদের যেমন ভালবাসি এখন ছাত্রদের ও তেমনি ভালবাসি। আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামবাদী, মুফতী আব্দুর কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হক, মাও আহমদুল্লাহ, মুফতী এনামুর হক, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ।
১১ জানুয়ারী এই নির্মম ঘটনার পর গত ১৬ জানুয়ারী হেফাজতে ইসলামের লাল দিঘীর সম্মেলনে হযরত দীপ্ত কন্ঠে বলেছেন সরকার যদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলেম উলামা মাদরাস তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করে তাহলে সাড়া বাংলাদেশকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিণত করা হবে।