শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ২:০৪
Home / অনুসন্ধান / প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান’কে নিয়ে পশ্চিমা-জায়নিষ্ট ও অভিশপ্ত শীয়া গোষ্ঠীর চক্রান্ত শুরু !

প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান’কে নিয়ে পশ্চিমা-জায়নিষ্ট ও অভিশপ্ত শীয়া গোষ্ঠীর চক্রান্ত শুরু !

কমাশিসা ডেস্ক::

The most dangerous man in the world?

বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক একজন মানুষ ?

Prince Muhammad bin Salmanসৌদী-আরবের বিরুদ্ধে শুরু হলো এবার আসল খেলা। গতকাল বৃটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় বড় আকারে প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে উপরোল্লিখিত শিরোণামে লম্বা একটি আর্টিক্যাল ছেপেছে। প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান বিপদজনক হলেন কিভাবে তা আমরা একটু খতিয়ে দেখতে চা্‌ই। তার আগে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির উপর সামান্য আলোকপাত।

দীর্ঘ বিশবছর যাবত আমেরিকা আফগানিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে বোমা ঢেলেছে। ৯/১১ এর মিথ্যা অজুহাতে পুরা ১টি দেশকে তারা করেছে গোরস্থান। প্রায় ৮ লক্ষ আফগানী নারী শিশু পুরুষকে তারা হত্যা করেছে।  পংগু করেছে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে।আফগানিস্তানের পুরো অপারেশনে শীয়া ইরানের ছিলো আমেরিকার সাথে গোপন আতাঁত। তবু আমেরিকা ইরান বিশ্বের জন্য বিপদ জনক নয়?

আমেরিকা বৃটেনকে নিয়ে মিথ্যা মারণাস্ত্রের কথা বলে ইরাকের উপর শুরু করে ইতিহাসের জঘণ্য পাশবিকতা। আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ শেষে পরে চালায় স্থল হামলা। এখানেও তারা পুরো দশ বছর ব্যাপী খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রায় বিশ লক্ষ ইরাকী সুন্নীদের গণহারে হত্যা করেছে। নারী শিশু যুবক বৃদ্ধ কেউ বাদ যায়নি। শীয়াদের সাথে আতাঁত করে পুরো ইরাক থেকে তারা সুন্নী মুসলমানদের নির্মুল করে। পালিয়ে আত্বগোপন করে জীবীতরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। ইরাকের মরু ভুমিতে হাজার হাজার সুন্নীদের খানি পানি ছাড়া বন্দী করে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। আবুগারিব কারাগারের লোমহর্ষক নির্যাতনের কাহিনী কে না জানে? তবু আমেরিকা ও ইরাকী শীয়ারা বিশ্বের জন্য বিপদজনক নয়?

শান্তিময় লিবিয়াকে আমেরিকা কি করেছে ? একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তারা হত্যা করলো। পুরো লিবিয়া এখন হাবিয়া দোজখের মতো জ্বলছে। তাহলে এর জন্য কে দায়ী?

মিশরের কসাই সিসি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে রাষ্ট্র দখল করে প্রতিবাদী জনগণকে রাস্তায় পীষে মারে ! কই কেউতো তাকে বিপদজনক বললো না তার কারণ কি?

সারা পৃথিবীর মানুষ কাদঁছে কসাই বাশার আল-আসাদের নির্মমতায় ! সিরিয়ার জনগণকে সে ভাতে পানিতে বোমায় গুলীতে বিষা্ক্ত গ্যাস দিয়ে মেরেছে মারতেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০লক্ষ সিরিয় মুসলমানদের বাশার হত্যা করেছে। কই কেউ তো তাকে বিপদ জনক বলে মনে করেনা ? আইসিস আমেরিকা ও ইসরাইলের সৃষ্টি। যাতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সুন্নী মুসলমানদের নাম নিশানা না থেকে সেজন্য আইসিস গেইম। আইসিস খতমের নামে সিরিয়া ও ইরাকের সুন্নীদের উপর সবাই মিলে বোমা ফেলছে। রাশিয়া সারা বিশ্বকে অবাক করেদিয়ে কাউকে কিছু না বলে ইরাক ও সিরিয়াতে এসে হাজার হাজার টন বোমা ফেলতে শুরু করলো। নারী শিশু বৃ্দ্ধ অসহায় লোকগুলো প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। আইসিস বিরুধী যারা লড়ছে বাশারের বিরুদ্ধে তাদেরকেও রাশিয়া সমানতরাল ভাবে হত্যা করছে। লক্ষ লক্ষ মানব হত্যাকারী খুনী বাশারের জন্য রাশিয়া আমেরিকা ইরান ইরাক হিজবুল্লাহর এতো মায়া কেন?

সিরিয়ার জনগণ যখন এক ডিক্টেটর থেকে মু্ক্তি চাইছিলো তখন কথিত ইসলামের ধজাধারী ইরান কেন অস্ত্র সৈন্য জান মাল দিয়ে তাকে টিকিয়ে রাখতে চায়? সিরিয়ার জনগন ওরা কি মানুষ নয়? এতোদিন শুনলাম হিজবুল্লাহ মুসলমানের বন্ধু। ইসলামের জন্য ফিলি্স্তিনের জন্য তারা জেহাদ করছে। এখন তাহলে হিজবুল্লাহ কি করছে? সুন্নী মুসলমানদের হত্যা করে তারা তাদের আসল ইসলাম ও জেহাদ কায়েম করছে।

ইয়েমেনের গাদ্দার শীয়া আলী আব্দাল্লাহ সালেহ। এই জানুয়ার হাজার হাজার মুসলমানদের খুন করে। সুন্নী মুসলমানদের আল-ক্বায়দা বানিয়ে বিমান হামলা করে তাদের হত্যা করেছে। সে ইরানের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে তা সৌদি আগে টের পায়নি। কিন্তু যখন হুতী শীয়া গাদ্দাররা ইরানের সহায়তায় সুন্নী প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে রাজধানী দখল করে নেয় তখন সৌদির টনক নড়ে।

প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান তড়িত ব্যবস্থা নিয়ে হুতিদের অগ্রযাত্রা রুখে দেন। সেই থেকে জায়নিষ্ট ও শীয়ারা তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। পশ্চিমা বিশ্ব ও ইহুদী শীয়া এখন এক বিন্দুতে। সৌদিআরবের দুতাবাস ইরাক ও ইরানের কাফির শীয়ারা জ্বালিয়ে দেয়। তখন বিশ্ব মিডিয়া নীরব। প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ক’দিন আগে সারা বিশ্বের সুন্নী মুসলমানদের নিয়ে একটি সামরিক ঐক্যের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়টা যেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষীদের অন্তরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে শীয়া ঘরানা এবং তার বন্ধু জায়নিষ্ট ও আমেরিকা লবি এখন সেই প্লান বিনষ্ট করতে মরিয়া। ইরাক সিরিয়া লিবিয়া মিশর ইয়ামেন আফগানিস্তানের মতো প্রতিটি মুসলিম জনপদকে তারা আবার অধিগ্রহন করতে চায়। সেই ভয়াল থাবা থেকে মুসলিম বিশ্বকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। কিন্তু শুরুতেই ষড়যন্ত্র। ইরান তার গোপন বন্ধুদের নিয়ে এখন বদনাম প্রুফাগান্ডা চালাচ্ছে।

প্রিন্স মুহাম্মদকে তারা শেষ করতে চায় । তাই তার বিরুদ্ধে বিষোদগার। আরো নাটক বাকি আছে অপেক্ষা করুন। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের বলবো যাই করুন বুদ্ধি খাটিয়ে করুন্। ইরান ও পশ্চিমাদের পাতা ফাঁদে পা দিবেন না। নিজস্ব মিডিয়া তৈরী করুন। মিডিয়ার বিকল্প নেই।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...