বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৭:৫৬
Home / অনুসন্ধান / ইরানই হলো শিয়া-সুন্নী দ্বন্দ্বের নেপথ্যে ‘কারিগর’- এরদোগান

ইরানই হলো শিয়া-সুন্নী দ্বন্দ্বের নেপথ্যে ‘কারিগর’- এরদোগান

b3ff2cbce80632cc3ec7a3eb2373e36d_XLবিদেশ ডেস্ক :: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ‘সৌদি আরবে একদিনে ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ আইনি ব্যাপার।’ বুধবার আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক বক্তৃতায় তিনি চলমান সৌদি-ইরান বিরোধ নিয়ে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ৪৪ জনই হলো সুন্নি এবং তারা আলকায়েদা ও সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত। বাকি তিনজন হলেন শিয়া নেতা।’ এরদোগান বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ায় এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। সৌদি আরব এটা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের শর্ত হিসেবে ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুদণ্ড রহিত করেছে তুরস্ক। রিয়াদের সাথে সম্পর্ক উষ্ণ করতে গত মাসে সৌদি আরব সফর করেন এরদোগান। তিনি বাদশা সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিরিয়া সঙ্কটে শিয়া প্রধান ইরানের বিপরীতে অভিন্ন অবস্থান নিয়েছে সুন্নী প্রধান সৌদি আরব ও তুরস্ক। এদিকে নভেম্বরে তুর্কি সীমান্তে রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার পর মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র তেহরানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তুরস্ক। শিয়া মুসলিমদের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য সৌদি আরব এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা নাকচ করে দেন এরদোগান। তিনি বলেন, মিশরের ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করার পর হাজার হাজার লোককে হত্যার সময় বিশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখায়নি কেন? এরদোগান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে একজন মহাপরিকল্পনাকারী (মাস্টারমাইন্ড) এসব করাচ্ছেন। আমাদের এটা জানা দরকার। ইস্যুটা হলো-মুসলিম বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সংঘাত লাগিয়ে মুসলিম বিশ্বের ভেতর থেকেই একে লণ্ডভণ্ড করতে চায়।’
এরদোগান বলেন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং লেবাননের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুরুত্বপূর্ণ কারণ কী তা আমরা জানি। তিনি সরাসরি ইরানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘যারা সিরিয়ায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ হত্যায় নীরব থাকে, সিরিয়ায় আগ্রাসনকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সমর্থন করে, অর্থ, অস্ত্র- গোলাবারূদ দিয়ে বাশার আল-আসাদকে সহযোগিতা করে তাদের এই ধরনের আচরণ করা মানায় না।’
এরদোগান বলেন, ‘ইরানে সৌদি দুতাবাসে রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলা, ইরাকের সৌদি দুতাবাস ভস্মীভূত করা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় বেকায়দায় রয়েছে ইরান। বেশ কয়েকটি দেশ ইরান থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সৌদি দুতাবাসে হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সেদেশের বিচার বিভাগকে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: টুডে’স জামান, আলজাজিরা

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...