ডেস্ক রিপোর্ট ::
২০ দলীয় জোটে ইসলামী ঐক্যজোট আর নেই: মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী
এখন থেকে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকা ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত তৃবার্ষিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
‘ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দলে আছে, থাকবে’ —এড. রকিব
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোট অতীতে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ইসলামী ঐক্যজোটের নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আগামী ৩১ মার্চ ইসলামী ঐক্যজোটের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, একইদিন সকালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ‘ইসলামী ঐক্যজোট’ আর নেই বলে ঘোষণা দেন মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী। এর কিছুক্ষণ পরই বিকেলে মাওলানা আব্দুর রকিব সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোটের অপর অংশের সংবাদ সম্মেলন এবং খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নতুন ‘ইসলামী ঐক্যজোট’ গঠন
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের এখন থেকে আর কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই বলে দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী এমন ঘোষণা দিলেও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রকিব বলছেন, আমরা ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেই আছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ দল ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট আব্দুর রকিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আব্দুল লতিফ নেজামী ২০ দল ছেড়েছেন, কিন্তু ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেই আছে।
এদিকে মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপির সঙ্গ ত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ইসলামী ঐক্যজোট গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নতুন এই দল গঠনের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব। অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে অতীতেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ইসলামী ঐক্যজোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বেরিয়ে যাওয়ায় আমরা নতুন করে ইসলামী ঐক্যজোটের নির্বাহী কমিটি গঠন করব।
নবগঠিত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিজের এবং মহাসচিব হিসেবে অধ্যাপক আব্দুল করিম খানের নাম ঘোষণা করেন। রকিব জানান, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের নির্বাহী কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। তিনি আরও জানান, আগামী ৩১ মার্চ নবগঠিত কমিটির জাতীয় কনভেনশন গঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন এই ইসলামী ঐক্যজোট গঠনের মধ্যে দিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ৫ ভাগে বিভক্ত হলো।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান।
ইসলামী ঐক্যজোটের ২০ দলীয় জোট ত্যাগে যা বললেন রুহুল কবির রিজভী
ইসলামী ঐক্যজোটের ২০ দলীয় জোট ত্যাগে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে জোটের প্রধান শরিক বিএনপি। দলটি বলছে, মহাসমুদ্র থেকে দু-এক গ্লাস পানি তুলে নিলে তাতে সমুদ্রের যেমন ক্ষতি হয় না, তেমনি ২০ দলীয় জোট থেকে দু-একটি দল চলে গেলে তাতে জোটের কোনো ক্ষতি হবে না। জোট আছে, থাকবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এসব কথা বলেন।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে বিকেল ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় কনভেনশন থেকে জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে জোট ত্যাগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
এ সময় নেজামী বলেন, ‘আমি ২০ দলীয় জোট থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের বের হয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছি। এখন থেকে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামী ঐক্যজোট এখন থেকে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে চলবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট ৩০০ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০ দলীয় জোট থেকে দু-একটি দল চলে গেলে তাতে জোটের কোনো ক্ষতি হবে না। জোট আছে, থাকবে। আশা করি, ইসলামী ঐক্যজোট তাদের ভুল বুঝতে পারবে এবং পুনরায় জোটে ফিরে আসবে।’
২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র চলছে: হাফিজ
২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফেলানী ও আমাদের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জোট ভাঙ্গার এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার। তিনি সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সরকার জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না। গণতন্ত্র নির্বাসনে, আইনের শাসন নেই। মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত। সে কারণে ফেলানীরা লাশ হয়। কেবল মাত্র ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থে আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে নতজানু হয়ে আছি। ভারত আমাদের বন্ধ, তার অর্থ এই নয় আমরা যুগ যুগ ধরে দিয়েই যাব। গিভ এন্ড টেইক তো থাকতে হবে! তরুণদের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, অনেকেই অপেক্ষায় আছে আওয়ামী লীগের সুমতি হয় কিনা! আওয়ামী লীগের সুমতি হবে না। তরুণদের কাছে বিনীত নিবেদন, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করব। রাজপথে নামতে হবে। বাস্তব পরিবেশ উপলব্ধি করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা এই সরকার একনায়েকতন্ত্রের অবসান হবে না। এর আগে দেশের যত সহিংসতা হয়ে সবই আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সারাদেশের সহিংসতা করে বিএনপির উপর দোষ চাপানো হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারির সমাবেশ প্রমাণ করে এসব সহিংসতা সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। সেদিন (৫ জানুয়ারি ২০১৬) তো কোনো সহিংসতা হয়নি! খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়ার তাগিদ দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যেদেশে গণতন্ত্র নাই, সেদেশে জঙ্গিবাদ জেগে উঠে। কথা বলার, আলাপ-আলোচনার পথ রুদ্ধ হলে বিএনপির মত গণতন্ত্রকামি দলগুলো পেছনে সরে যাবে। জনগণ হতাশ হবে। তখন শক্তির দ্বারা যাদের উদ্ভব, তারা সামনে আসবে। অল কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন, ফেলানীর হত্যার ৫ বছর হয়ে গেল, এতদিনেও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আসলেই আমরা ব্যর্থ। অন্তত এই হত্যাকণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ক ফেলানীর নামে নামকরণ করতে হবে।
আইওজের চেয়ারম্যান পদে আব্দুল লতিফ নেজামী, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ
মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীকে চেয়ারম্যান ও মুফতী ফয়জুল্লাহ মহাসচিব করে ইসলামী ঐক্যজোটের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট মজলিসে শূরা গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ বছরের জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট মজলিসে শুরা এবং ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের ত্রি বার্ষিক জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। জোট চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কনভেনশনে দেশের ৫০ ঊর্ধ্ব জেলার প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। কনভেনশনে ইসলামী ঐক্যজোটের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এবং রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা করে বলা হয়, এহেন পরিস্থিতিতে ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে সকল ইসলামী দল, সংগঠন, উলামায়ে-কেরাম ও ইসলাম মনস্ক লোকদের সমন্বয়ে একটি সংগঠিত, সমন্বিত ও ইসলামী শক্তি গড়ে তোলা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে এবং ইসলামী ঐক্যজোট দেশে বিরাজমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি উত্তরণে ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্যে ইসলামী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের ইসলামী শক্তির প্রতি উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছে। তাই ইসলামী ঐক্যজোট এ দায়িত্ব সম্পাদনের কাজকে ঐতিহাসিক কর্তব্য মনে করে এবং সকল ইসলামী দল, সংগঠন ও উলামায়ে কেরামকে একাজে এগিয়ে আসা উচিৎ। কেননা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধতার অনিবার্যতা দিন দিন ব্যাপক ও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। সেহেতু ইসলামী ঐক্যজোট স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজেদের সাংগঠনিক তৎপরতায় মনযোগী হবে।
কেননা স্বকীয়তার অন্তঃপ্রেরণায় ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্র। তাই এখন থেকে ইসলামী ঐক্যজোট স্বকীয়তা বজায় রেখে জোটের কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাবে এবং ইসলামী ঐক্যজোট ঘোষণা করছে যে, ২০ দলের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং ইসলামী ঐক্যজোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনেই প্রতিদ্বন্ধিতা করার কথা ঘোষণা করছে।
কনভেনশনের সাফল্য কামনা করে বাণী প্রদান করেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রধান উপদেষ্টা ও হেফাজতে ইসলামীর আমীর আল্লামা আহমদ শফী। অনুষ্ঠানে মুনাজাত পরিচালনা করেন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবু নগরী। অতিথি বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস।
সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, অধ্যাপক এহতেশাম সরোয়ার, মুফতী তৈয়্যেব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা লোকমান হোসাইন, মাওলানা মইন উদ্দীন রুহী, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকী, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা ইয়াকুব গাজী, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা ইলিয়াস আতহারী, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, মাওলানা খুরশিদ আলম প্রমুখ। তাছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দের মধ্যে মাওলানা খলিলুর রহমান (ফরিদপুর), মাওলানা মকবুল হাসান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা সাইফুল ইসলাম (নোয়াখালী), মাওলানা জহিরুল ইসলাম (বি-বাড়িয়া), হাফেজ ইদ্রিস, মাওলানা বোরহান, মাওলানা শরীফুর রহমান (মোমেনশাহী), মাওলানা লিয়াকত আলী (ফরিদপুর), মাওলানা জাকারিয়া (সিরাজগঞ্জ), মাওলানা হাসান মামুন (রাজশাহী), মাওলানা আবুল কালাম আযাদ (রাজশাহী), মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন (নেত্রকোনা), ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক (বগুড়া), জনাব আহসান উল্লাহ মাস্টার (চট্টগ্রাম), মাওলানা রফিকুল ইসলাম (নরসিংদী), মাওলানা আবু তাহের খান (মোমেনশাহী), মাওলানা আসলাম রহমানী (সিলেট), মাওলানা মুখলেছুর রহমান (গাজীপুর), মাওলানা শহিদুল্লাহ (টাঙ্গাইল), মাওলানা বুরহান উদ্দীন (হবিগঞ্জ), মাওলানা তামিম হাসান মাহমুদী (বরিশাল) মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আ ন ম আহমদুল হক, মুফতী ফায়জুল হক (সিলেট) মাওলানা আবু সায়েম খান (নেত্রকোনা), মাওলানা শহিদুল ইসলাম ইনসাফী (যশোর) মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ (কিশোরগঞ্জ) বক্তব্য রাখেন।
তথ্য.স