কমাশিসা ডেস্ক :: 125800_1-150x150শুধু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এসব নির্বাচনে প্রার্থী মনোয়ন দিতে পারবে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

রোববার দশম জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিল তিনটি কন্ঠভোটে পাস হয়। বিলগুলো হলো, স্থানীয় সরকার (সিটি কপোরেশন) সংশোধন আইন ২০১৫, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন ২০১৫, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) সংশোধন আইন ২০১৫।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন পৃথকভাবে তিনটি বিল পাস করার প্রস্তাব করেন।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর শুধু মেয়র পদে নির্বাচনের বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন ২০১৫’ পাস হয়। এ ছাড়া সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৬ নভেম্বর কার্যপ্রণালী বিধির ৯৩ বিধি অনুযায়ী সংসদ থেকে জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫ বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতির তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ হতে সরাসরি অংশগ্রহণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে। জনগণের গণতান্ত্রিক এই প্রত্যাশার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে রাজনৈতিক দলসমুহের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে প্রার্থীদের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং যথাযথভাবে রাজনৈতিক অঙ্গকার পালনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার আইনে নির্বাচনে প্রার্থীতার জন্য রাজনৈতিক দল কতৃক প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ নেই। এজন্য রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার বিধান সংযোজন প্রয়োজন। এজন্য আইনের দ্বিতীয় ধারায় রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিধি প্রণয়ণের প্রয়োজন।

দলীয়ভাবে সিটি কপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান যুক্ত করতে স্থানীয় সরকার (সিটি কপোরেশন) আইন ২০০৯, সিটি কপোরেশন সংশোধন আইন ২০১১ও ২০১২, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ ও সংশোধন আইন ২০১০, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন ১৯৯৮ ও সংশোধন আইন, ২০১১ আইনের ধারা ২ সংশোধন করাসহ আইনের অপরাপর ধারায় প্রয়োজনীয় অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করা হয়।