এম এন হাসান ::
২০১১ সালে বিপ্লবের পর শায়খ রশিদ ঘানুসির ইসলামী আন্দোলন এননাহাদা ভোটে ক্ষমতায় যায়।নতুন রাষ্ট্রকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়া সংবিধান দিতে কত সেক্রিফাইস,কত কম্প্রোমাইজ তারা করেছে তার ঠিক নাই।এরপর ঐ সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হয়।ইসলামপন্থি ছাড়া বাকী সকল স্যাকুলার-বাম-শ্রমিক ইউনিয়ন সবাই মিলে জোট করে এননাহাদা’র বিরুদ্ধে নির্বাচন করে এবং জয়ী হয়।কিন্তু কেঊই সংখ্যাগরিষ্ঠ না পাওয়ায় একটি জাতীয় সরকার গঠিত হয় যেখানে সব দলেরই লোক রয়েছে।
সব ঠিকমতই চলছিলো কিন্তু স্যাকুলার বাবুদের যা হয় আর কি….একা একাই খাইতে চায়।মুল সরকারী দল “নিদা তিউনিস” জোটের প্রধান বেজি সাইদ ঈসাভসি যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় তখন সে দলের পদ ছেড়ে দেয়।মজার ব্যাপার হচ্ছে এননাহাদা থেকে কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ই দেয়া হয়নি! কেন? শায়খ রাশিদ ঘানুশি বলেন; আমরা মিসরের ঘটনা এড়াতে চেয়েছি (উনি মুরসি ও ইখয়ানের কথা বুঝিয়েছেন)।
যাই হউক, নিদা তিউনিস দলের মধ্যে এখন লাগছে মারামারি, মারামারি মানে পুরাই স্যাকুলার মারামারি মানে অ-ছাত্র লীগের মত চেয়ার খেলা! প্রেসিডেন্টের ছেলে চাইতেছে তার ছেড়ে আসা পদ দখল করতে কিন্তু সেক্রেটারি (বাম নেতা) বলতেছে প্রেসিডেন্ট দেশে আবার পরিবারতন্ত্র শুরু করতে চাইতেছে, এটা নিয়াই পার্টির সমাবেশে লাগছে…
প্রেসিডেন্টের ছেলের গ্রুপ একদিকে দলের সেক্রেটারির গ্রুপ আরেক দিকে।সেক্রেটারি গ্রুপ দলের বিশাল সংখ্যক এম্পি গিয়ে আলাদা দল গঠন করবে।যদি ঘটনা ঐদিকে আগায় তাহলে এননাহাদা হয়ে যায় এম্পি’র দিক থেকে বড় দল সরকারী জোটে! এমবস্তায় মিডিয়া কেবল কাতুকুতো দিচ্ছে এননাহাদাকে আপনারা কি ক্ষমতা দখল করবেন?
শায়খ ঘানুসি খুব প্রজ্ঞার সাথে উত্তর দিলেন “দেশের স্থিতিশীলতার জন্য আমরা চাই তারা মিলে যাক”। দেখুন ছোট্ট ভিডিওটা।
কবে মিলবে আমাদের দেশে এমন একজন নেতার?
ইয়াহহুর নিউজটাও পড়ে নিতে পারেন
https://uk.news.yahoo.com/islamists-stand-gain-ruling-party-split-looms-tunisia-135436583–business.html