সাংবাদিক সব সময় সমাজের যত অসংগতি তুলে ধরেন। কিন্তু সাংবাদিকের এ কেমন আচরণ! হাঙ্গেরিতে শিশুসহ দুই শরণার্থীকে লাথি মেরেছে হাঙ্গেরিয়ান এক নারী ফটোসাংবাদিক।
মঙ্গলবার হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় হুড়োহুড়িরত শরণার্থীদের লাথি মারেন ওই টিভি সাংবাদিক।
সার্বিয়া সীমান্ত সংলগ্ন রোসজকি গ্রামে শরণার্থীদের নিবন্ধন শিবিরের কাছে মঙ্গলবার খবর কভার করতে যান সাংবাদিকরা। এর মধ্যে হাঙ্গেরির এন ১ টিভি’র ক্যামেরাপারসন পেত্রা লাসজলো ছিলেন।
পুলিশের নির্ধারিত লাইনে এক পর্যায়ে শরণার্থীরা হুড়োহুড়ি শুরু করে। এ সময় এক শিশুকে কোলে নিয়ে দৌড়ানোরত এক ব্যক্তিকে লাথি মেরে ফেলে দেন পেত্রা। কিছুক্ষণ পর দৌড়ানোরত অপর এক শিশুকে লাথি মারেন তিনি।
ঘটনাটি উপস্থিত অন্যান্য টেলিভিশন সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর পরই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে পেত্রাকে চাকরিচ্যুত করে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
এন ১ টিভি’র প্রধান সম্পাদক জাবোলকস কিসবার্ক বলেছেন, আমাদের এক সহকর্মী রোসজকি’র ত্রাণ সংগ্রহ পয়েন্টে শরণার্থীদের সাথে অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ওই নারী ফটোসাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুধু এই নয়, সম্প্রতি শরণার্থীদের প্রতি রূঢ় আচরণ করছে হাঙ্গেরি সরকার। তারা দেশটির মধ্য দিয়ে শরণার্থীদের যাতায়াতেও বাধা দেয়। অবশেষে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া শরণার্থীদের নিতে রাজি হলে সড়কপথ ব্যবহার করতে দিচ্ছে হাঙ্গেরি প্রশাসন।
এটাও পড়তে পারেন
কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ
খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...