আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: লন্ডনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট মহাকাশ গবেষকদের উদ্ধৃত করে বলেছে যে, আগামী ১৩ নভেম্বর সকালে পৃথিবীতে পড়বে এই অজ্ঞাত বস্তুখণ্ডটি। এটির সম্ভাব্য পতন স্থল হলো শ্রীলঙ্কার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৭ ফুট লম্বা এই বস্তুখণ্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে ডাব্লিওটিএফ১১৯০এফ, যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ডাব্লিওটিএফ।
এই বস্তুখণ্ডটি আসলে কী তা এখনও স্পষ্ট না হলেও এটি যে মানবসৃষ্ট কোনো কিছুর অংশবিশেষ সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি সম্ভবত চন্দ্র অভিযানে সংযুক্ত কোনো কিছুর জঞ্জাল হতে পারে। আবার অ্যাপোলো মিশনের কোনো জঞ্জালও হতে পারে এটি।
ওই জঞ্জাল অর্থাৎ ডাব্লিওটিএফের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ হতে পৃথিবীতে পতনশীল যে কোনো বস্তখণ্ডের গতিপথ ও তা পতনের কারণে পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রভাব নিয়ে কাজ করে থাকেন এই গবেষকরা। গবেষকরা বলছেন, ডাব্লিওটিএফকে আমরা বিপজ্জনক মনে করছি না। এর পতনের কারণে বিরূপ কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও আমরা মনে করি না।
কিন্তু এই বস্তুখণ্ডটির পতন কীভাবে ঘটে তা দেখা গবেষকদের জন্য সত্যিই একটি রোমাঞ্চকর বিষয়- এমনই বলেছেন ইএসএ।
উল্লেখ্য, ডাব্লিওটিএফ কীভাবে তৈরি হলো বা কী কারণে এটি পৃথিবীর পানে আসছে- পতনের পর সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আশায় রয়েছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি ডাব্লিওটিএফ সত্যিই পৃথিবীতে আসে, তাহলে এটিই হবে মানবসৃষ্ট প্রথম কোনো বস্তু, যেটি মহাকাশ ঘুরে মানুষের ইচ্ছা ছাড়াই আবার ফিরে আসছে পৃথিবীতে।