আবুল মোহাম্মদ ::
অন্তরে তাঁর মহান আল্লাহ তায়ালার অমোঘবাণী। সুললিত কণ্ঠে যেন মন্ত্রমুগ্ধ যাদুর মূর্ছনা। মোহনীয় তেলাওয়াতে হৃদয়ে জাগে প্রশান্তির স্পন্দন। সেই বিস্ময় বালক অন্ধ হাফিজ কলিম উদ্দিন আবারো বিশ্বের বিস্ময় হয়ে নিজেকে জানান দিলেন। যার কণ্ঠে ভরা মাধুর্য্যরে পবিত্র আবেশে দেশে বিদেশের অসংখ্য মানুষ অভিভূত আর পরিতৃপ্ত হয়ে যান। সিলেটের সেই কৃতি সন্তান জামিয়া মাছুমিয়া ইসলামিয়া মাছিমপুর মাদরাসার কৃতি ছাত্র হাফিজ কলিম সিদ্দিকী।
২৮ অক্টোবর আবারো নিজের দ্যুতি ছড়ালেন। ঐদিন ঢাকার গুলশানে সৌদি দূতাবাস আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে আগত ক্ষুদে হাফিজদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন জন্মন্ধ হাফিজ কলিম সিদ্দিকী। দেশ সেরার মুকুট মাথায় নিয়ে আরো গবির্ত মাছিমপুর জামিয়া মাছুমিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। তাদের সাথে আনন্দিত সিলেটবাসী। হাফিজ কলিম সিদ্দিকীর পাক কালাম তেলাওয়াত শুনে বিমুগ্ধ হয়ে যান সৌদ আরবের রাষ্ট্রদূত। তিনি দূতাবাসে হাফিজ কলিম সিদ্দিকী ও তার ওস্তাদদের আমন্ত্রণ জানান। সেখানে হাফিজ কলিম সিদ্দিকীর কণ্ঠে মর্মস্পর্শী ও হৃদয়গ্রাহী কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে ৫শ ডলার পুরস্কার প্রদান করেন। সে সময় দূতাবাসে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার সহকারী পরিচালক হযরত মাওলানা হাফিজ শহীদ আহমদ, মাওলানা শিব্বির আহমদ ও হাফিজ কাওছার আহমদ।
ইতোপূর্বে কলিম সিদ্দিকী চঐচ কুরআনের আলো হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতাসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা সমুহে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। কলিম সিদ্দিকী তার মাদরাসা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি সকলের স্নেহ ভালবাসা আর দোয়া নিয়ে জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিতে চান। তিনি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চান। আরো অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য আরো বড় সম্মান বয়ে আনতে চান। আল্লাহ তায়ালা দৃষ্টিশক্তি দেননি তাকে তবে অন্তরকে করে দিয়েছেন উদ্ভাসিত ও পবিত্র। যে অন্তর দৃষ্টি দিয়ে কলিম সিদ্দিকী আজ সবার হৃদয়ে। অসাধারণ মেধাবী কলিম সিদ্দিকী একদিন বিশ্বের সেরা সম্মান অর্জন করবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।
লেখক : বার্তাসম্পাদক, দৈনিক শ্যামল সিলেট