বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৯:২০
Home / পরামর্শ / আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচন : উলামাদের করণীয়, আমাদের ভাবনা

আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচন : উলামাদের করণীয়, আমাদের ভাবনা

নির্বাচন কমিশনসমঝোতার মাধ্যমে সুরাহা করে প্রতিটা ইউনিয়নে একজন আলেম চেয়ারম্যান প্রার্থী চাই !

সাইফ রাহমান :: ইউনিয়ন নির্বাচনের হাওয়া লাগছে। পথে-ঘাটে, অনলাইন-অফলাইনে প্রায় সব জায়গায়ই নির্বাচনের আভাস! সবাই এখন প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। উন্নয়নমূলক এবং সময়োপযোগী লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পেশ করে জনগণের মন কাড়ছেন।

এদিকে ইসলামি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বা আমাদের কওমি ওলামারাও পিছিয়ে নেই। ইসলামি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতীক ব্যবহার করে নিজের নাম, ইউনিয়নের নাম দিয়ে ফলাও করে প্রচার করছেন। আলহামদুলিল্লাহ! শুনে এবং দেখে অনেক খুশি হলাম।

বিগত উপজেলা নির্বাচনের আগের নির্বাচনে সারাদেশের মধ্যে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় একমাত্র আহমেদ বেলাল ইসলামিক দলের হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে বিজয়ের মুকুট পরেছিলেন আমাদের মাওলানা আহমেদ বেলাল সাহেব।

তাঁরই ধারাবাহিকতায় গত নির্বাচনে দেখা গিয়েছিলো প্রায় বিভিন্ন এলাকার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। কয়েকজন বিজয়ীও হয়েছেন। তবে আলেম যারা প্রার্থী হয়েছিলেন, সবাই বিজয়ী হওয়ার কথা; কিন্তু এই আমাদের কারণেই বিপর্যয় ঘটেছে!

কারণ হলো, এক জায়গায় ইসলামি দু’দলের প্রার্থী! খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অথবা জমিয়ত। দেখা গেছে যে কোনো তিন দলের দু’জন এক এলাকায়। সমাজের চোখে যেটাকে কামড়া-কামড়ি বলে। অন্যান্য দলে এরকম কামড়া-কামড়ি থাকতে পারে; কিন্তু ইসলামিক দলে কামড়া-কামড়ি মেনে নেয়া যায় না। জনগণ কাকে রেখে কাকে ভোট দিবে। ভোট দেয়ার জন্য কাকে নির্বাচন করবে? অথচ দেখা যাচ্ছে দু’জনই আলেম!

গত নির্বাচনে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় দেখা গেছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খেলাফতের একজন, জমিয়তের একজন। ফলাফল- খেলাফত আট হাজার কত ভোট, জমিয়তও সেইম আটহাজার কত ভোট! পূর্ণাঙ্গ ফলাফল- আমরা দু’দলই ফেল। মধ্যখানে আরেকজন বিজয়ী!

মূলত উপরোক্ত কারণেই কিছু কিছু এলাকায় আমাদের বিপর্যয় ঘটেছে।

তাই সুপ্রিয় ইসলামিক বন্ধুরা! এবার আমরা সতর্ক হই। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি। প্রথমেই আমরা অর্থাৎ প্রার্থীতা প্রত্যাশী ইসলামি দলের সবাইকে নিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক গোলটেবিলে বসি। ইউনিয়ন ভাগাভাগি করে নেই। এক ইউনিয়নে সম্মিলিতভাবে যে কোনো দলের একজন প্রার্থী ঘোষণা করি। আশাকরি এতেই আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। ইসলামি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বগণ একটু বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখি। নাসরুম্মিনাল্লাহ…

লেখক : অনলাইন এক্টিভিস্ট

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...