শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:১৪
Home / প্রতিদিন / ঢাবিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে সমকামী সমাবেশ, পরের বার প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানের ঘোষণা খুশি কবিরের

ঢাবিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে সমকামী সমাবেশ, পরের বার প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানের ঘোষণা খুশি কবিরের

বার্তা ডেস্ক, কমাশিসা:f reza

শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে একদল সমকামী তরুণ-তরুণির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বাংলাদেশে সমকামীতা প্রসারে ‘ধী’ নামে এক সমকামী নারী কমিক চরিত্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত হলেও এই সমাবেশে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী খুশি কবির বলেছেন, “আশা করছি পরের বার এই ধরণের অনুষ্ঠান আমরা প্রকাশ্যেই করব, যেমনভাবে আমরা ঘরের মধ্যে গোপনে আমাদের সমকামী জীবন যাপন করতে চাই না”।

জানা গেছে, বয়েজ অব বাংলাদেশ (বব) নামে সমকামীদের একটি গ্রুপের উদ্যোগে ব্রিটিশ কাউন্সিলে এ অনুষ্ঠানটি হয়।

শনিবার বিকাল ৬টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। এতে উপস্থিত সবার মাঝে ‘ধী’ কমিকটির ফ্রি কপি বিতরণ করা হয়। খাওয়ানো হয় উন্নত মানের নাস্তা। আয়োজন করা হয় বিনোদন অনুষ্ঠানের।

জানা গেছে অনুষ্ঠানে সমকামী নারী চরিত্র “ধী” হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও নাট্য ব্যক্তিত্ব শিমুল ইউসুফের মেয়ে এষা ইউসুফ।

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে “ঘাসফড়িং কয়ার” নামে একটি ব্যান্ড দল। এ বছরের জানুয়ারিত গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির সদস্যদের মধ্যে আছেন আশনা, আরিবা, লামিয়া, সাদিয়া, সামিরা, রাশনাফ, উল্লাস এবং আরমিন।

সমকামীদের সমাবেশে পারফর্ম করায় এষা ও ইউসুফ ও ঘাসফড়িং কয়ারকে সমকামীরা ধন্যবাদও জানিয়েছে।

সমকামী চরিত্র “ধী”র কন্টেন্ট ডেভলপ করেছে চারজন। এর একজন হলেন মেহনাজ খান। তিনি বলছেন, “ধী চরিত্রের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সমকামীতা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে চাই। কারণ আমরা কাকে ভালোবাসব এ ব্যাপারে আমরা স্বাধীনতা চাই।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত হলেও সাংবিধানিকভাবে এ দেশটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

স্বাধীনতার ৪৫ বছরের মধ্যে অবশ্য ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছর বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল না। এ সময়ে সাংবিধানিকভাবে মহান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল।

তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার সংবিধান সংশোধন আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবর্তে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্থাপন করে।

মূলতঃ এরপরই রাজধানী ঢাকার গুলশান, বনানী ও ধানমণ্ডিতে বসবাসকারী ধনিকক শ্রেণীর ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সমকামী হিসেবে প্রকাশ্যে জীবন যাপনের ধারণার বিকশিত হতে শুরু করেছে।

অবশ্য সমকামীদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা, ব্যবসায়ী ও লুটেরাদের সন্তানেরাই সমকামী জীপন যাপন করছে।

তারা বর্তমানেও সমকামী জীবন যাপন করলেও তাদের এই জীবন যাপনকে আইন সম্মত করতে চায় তারা। এ জন্য ধারাবাহিকভাবে কৌশল অবলম্বন করছে তারা।

কয়েকটি বিদেশী দূতাবাস ও এনজিওর সহায়তায় তারা নানা কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে পয়েলা বৈশাখের শোভা যাত্রায় দলবেঁধে সমকামী প্যারেড করে আসছে তারা।

আর গতবছর রূপবান নামে একটি ম্যাগাজিনও প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রিয় মুসলমানরা গরিব। তাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমাজের শাসক শ্রেণী ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ আমল থেকেই আঘাত করে আসছে। কিন্তু আইন ও পুলিশ তাদের অধীনস্থ হওয়ায় তাদের এর জন্য কোনো জবাবদিহি করতে হয় না।

ইসলাম অবমাননা ও জনগণের বিশ্বাসকে আঘাত করার ক্ষেত্রে মাদাসা পড়ুয়া ছাত্ররা মাঝেমধ্যে আন্দোলন করে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তারা বাংলাদেশের শাসক শ্রেণীর প্রতি অনুগত বলে এই আন্দোলন আপসরফায় শেষ হয়ে যায়। সূত্র: এএফপি, বিবিসি বাংলা ও ফেসবুক

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...