মুনীর আহমদ ::
অনন্ত জলিল দ্বীনের পথে নিজেকে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছেন। তাঁকে তো সময় দিতে হবে। তিনি আগে যে পরিবেশে ও যে চিন্তায় ছিলেন, সেখান থেকে তাঁর ধীরে ধীরে ফিরে আসাটাও তো আমাদের জন্য কম প্রাপ্তি নয়। অনন্ত জলীল তো আর আপনার মতো বড় মাওলানা, আল্লামা বা কোন ধর্মবোদ্ধা নন যে, তাঁর আমল-আখলাক সব রাতারাতি আপনার মতো পাক্কা হয়ে যাবে। তাঁর কোন ভুল আপনার চোখে ধরা পড়লে জনসমক্ষে/ফেসবুকে না বলে তাকে সহনীয় ও আদরণীয় ভদ্র ভাষায় মোলায়েম কণ্ঠে তো বলা যায়। রাতারাতিই নায়ক অনন্ত জলীলকে আল্লামা অনন্ত জলীল (হাফিজাহুল্লাহ)এর রূপে দেখতে চাওয়া তো অযৌক্তিক চাওয়া। তবে রাতারাতিও বদলে যাওয়ার মতো মানুষ জগতে আছে। কিন্তু সেটা তো আল্লাহর বিশেষ দান। সবাইকে তো সেই বিশিষ্ট বরকত প্রাপ্তদের কাতারে নিয়ে মূল্যায়ন করতে যাওয়া সুবিচার না।
যেভাবে অনন্ত জলিলের নড়াচড়ার উপর আপনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে মূল্যায়ন শুরু করেছেন, ধর্মীয় বিচারে তাঁর কোন ভুল চোখে পড়লেই আপনি তাঁর বিরুদ্ধে হামলে পড়ছেন। তাঁকে ভন্ড, প্রতারক, ধর্মের বেশধারী শয়তান (নাউযুবিল্লাহ) বলতেও ছাড়ছেন না। আচ্ছা একটু বলবেন কী, অনন্তঃ জলীলের বিষয়ে আপনার এমন অসহিষ্ণু আচরণ ও গালাগালি ইসলামের কোন উপকারটা করছে? অন্তত জলীল দ্বীনের পথে পরিপূর্ণ ফিরে আসার বিষয়ে আপনার এমন জঘন্য আচরণ কতটা সহায়ক হচ্ছে! আমি তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আপনি ইসলামের উপকার নয়, বরং ক্ষতিটাই করে যাচ্ছেন বেশী।
আমার তো মনে হয়, দ্বীনি কথার আবরণে বরং আপনিই অনন্ত জলীলের মতো আরো অনেকের দ্বীনের পথে ফিরে আসার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
শুনুন! এতটা অসংযত না হয়ে ভদ্র ও সামাজিক হয়ে ওঠুন। এবং কাজ ও কথা বলার সময় বুদ্ধিশুদ্ধির প্রয়োগ ও সহনশীল হওয়ার চেষ্টা করুন। অনন্ত জলীলদের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদেরকে; যারা দ্বীনের পথে ফিরে আসতে আগ্রহী; তাদেরকে দু’চারটা কটূ উক্তি ও গালাগালি করে হয়তো আপনি নিজে নিজেই আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন। কিন্তু বাস্তবিকই এর আড়ালে যে অন্য সবার কাছে আপনার চরম অভদ্রতা, অসভ্যতা ও অসহিষ্ণু আচরণ প্রকাশ হয়ে পড়ছে, সেটাও মাথায় রাখুন।
আল্লাহ সকলকে হিদায়াত দান করুন। এবং আমিও আল্লাহর সাহায্য কামনা করছি সকল কাজে।।