বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:১০
Home / প্রতিষ্ঠান / জামেয়া ইসলামিয়া জুড়ী, মৌলভীবাজার : একটি আদর্শ কওমি মাদরাসা

জামেয়া ইসলামিয়া জুড়ী, মৌলভীবাজার : একটি আদর্শ কওমি মাদরাসা

শামছুল হক ::

গত অক্টোবরে ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও আঞ্জুমানে তালীমুল কুরআন বাংলাদেশের মুহতারাম সভাপতি,বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শায়খ মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের আগমন হয়েছিলো মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তঘেঁষা জুড়ি উপজেলার একটি কওমী মাদরাসায়। মাদরাসার নাম জামেয়া ইসলামিয়া জুড়ি।

হজরত আসলেন, দেখলেন, নসিহত করলেন। একপর্যায়ে মন্তব্য করলেন- “গাজীপুর কাপাসিয়ার দেওনাস্থ একটি মাদরাসা দেখে ভেবেছিলাম হয়তো সর্বদিক থেকে কাপাসিয়ার ঐ মাদরাসিটিই একটি আদর্শ মাদরাসা। কিন্তু আপনাদের জুড়িতে এসে দেখলাম, এটিও অন্যান্য কওমী মাদরাসার জন্য আদর্শ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।”

গত রমজানের পূর্বে ইসলাহী নসিহতের জন্য আমন্ত্রিত হলেন ঢালকানগরী পীর সাহেবের অন্যতম খলিফা বরেণ্য আলেমেদ্বীন শায়খ মাওলানা নূরুল ইসলাম সিলেটী। যাবার আগে বললেন, “এই মাদরাসাটি একটি সম্ভাবনাময় কওমী মাদরাসা, এটি অদূর ভবিষ্যতে শুধু জুড়িবাসীরই নয়; বরং সমগ্র দেশবাসীর ধর্মীয় তালীম তারবিয়াতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।”
জামেয়া ইসলামিয়া জুড়ি, অসংখ্য অগনিত আলেম উলামার পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এ জামেয়া। এখানে এসেছেন আওলাদে রাসূল আল্লামা আসজাদ মাদানী, আল্লামা সালমান মনসুরপুরী, আল্লামা আব্দুল বাসিত কাসেমীসহ সরেতাজ উলামায়ে কিরাম।

জামেয়ার ছাত্র-শিক্ষকদের আমল আখলাক ক্বাসিম নানুতবির চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পদ্ধতি আর শৃংখলা স্বচ্ছ থেকে স্বচ্ছতর হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অবশ্যই অনুকরনী বললেও অত্যুক্তি হবেনা।

জামেয়ার তালীম-তারবিয়াত আর নেজামে পরিচালনা পর্ষদ ও শুভানুধ্যায়ী সকলেই যারপরনাই আনন্দিত। এমনকি নিজেদেরকে সম্পৃক্ততার কারনে গৌরবান্বিত মনে করেন।

এতোসবের মধ্যেও রয়েছে অপ্রাপ্তির হিসাব। চলতি শিক্ষাবর্ষেও কোটা পূর্ণতা ও আবাসন ব্যবস্থার অভাবে অনেক ছাত্রকে ভর্তির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। অবশ্য কর্তৃপক্ষ এটাকেও সাফল্যের খাতায় তুলে রাখতে চায়।কারণ, হালযামানায় কওমী অঙ্গনে ছাত্রসংকট দিনদিন বাড়তে থাকলেও গুণগত মান কতোটুকু ঈর্ষনীয় পর্যায়ে থাকলে ছাত্র ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নূরানী,কিতাব বিভাগ ও হিফজ বিভাগে সমানতালে চলছে লেখাপড়া।  ছাত্ররা প্রতিবছর ফাইনাল পরীক্ষায় আশাতীত ফলাফল লাভে সুনাম কুড়িয়ে আনছে প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির। 

ফুলের সুভাস ছড়িয়ে দেওয়া লাগেনা।অমনিতেই মাতিয়ে তুলে আশপাশ। জামিয়ার কৃতিত্ব ঠিক তেমনিভাবে মোহিত করেছে চারপাশের জ্ঞানপিপাসু ছাত্র অভিভাবকগণকে। আর তাই জ্ঞান আহরণে প্রতিনিয়ত ভীড় বাড়ছে জামেয়ার আঙ্গিনায়।

দোয়াকরি, জামেয়ার সুনাম সুখ্যাতি সফলতা অটুট থাকুক কেয়ামত পর্যন্ত। দেশ ও জাতির ধর্মীয় চাহিদা মেটাতে পালন করুক অগ্রণী ভূমিকা। আর আইডল হয়ে থাকুক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

হে বন্ধু! আপনি হতে পারেন ছাত্র,শিক্ষক, অভিভাবক কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালক;তবে অনুরোধ রইলো, একবার ঘুরে আসুন জামেয়া ইসলামিয়া জুড়িতে।
আশাকরি,আপনার চক্ষু শীতল হবে,অভিজ্ঞতা শাণিত হবে, চিন্তা পরিশুদ্ধ হবে, মেধা ও মনন পেয়ে যাবে তার প্রকৃত খোরাক,পেয়ে যাবেন আপনার কাংখিত ঠিকানা। #কওমিকণ্ঠ

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

চলতি সংসদ অধিবেশনে কওমি সনদ পাশের সম্ভাবনা!

আবদুল্লাহ তামিম: ‘কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর ...