কমাশিসা প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে জঙ্গি নির্মুল ও জিম্মিদের উদ্ধারে অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬ পরিচালনা করেছে সোয়াত। আজ সকাল ৬টা ৫ মিনিটে জঙ্গি দমনে অভিজ্ঞ বিশেষ এই বাহিনী অভিযান শুরু করে। এসময় দু’পক্ষে ব্যাপক বন্ধুক যুদ্ধ শুরু হলে সাড়ে ৬টার দিকে আস্তানার ভেতরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এতে ভেতরে থাকা ৪ জঙ্গিই নিহত ও সোয়াতের ২ জন আহত হন। পরে সেখান থেকে জিম্মি হয়ে থাকা মোট ১৯ জন নারী-পূরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আস্তানার ভেতরে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র পড়ে থাকায় এখনো অভিযান শেষ করা যায়নি।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা এলাকায় ‘ছায়া নীড়’ নামক বাড়িটিতে গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জঙ্গি আস্তানার হদিস পাওয়ার পর থেকে সেখানে পুলিশ, র্যাব, ডিবি, বিজিবি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। সেই থেকে তারা ভেতরে অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে জঙ্গিদের পাল্টা গুলি ও ঐ বাড়িটিতে আরো ৭টি পরিবার আটকে থাকায় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে বাড়ির বাইরে থেকে চতুর্দিক ঘিরে রেখে সেখানে অভিযানের জন্য অনেক চেষ্টা করলেও রাতে অভিযান পরিচালনা করা যায়নি। তবে সকাল ৬টার পর সোয়াতের বিশেষ টিম অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬ শুরু করে ঐ বাড়িটিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। এসময় সোয়াত বাহিনীও মহুর্মুহ গুলি ছুঁড়তে থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সাড়ে ৬টার দিকে আস্তানার ভেতর থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। শক্তিশালী ঐ বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। এতে আহত হয় অপারেশনে থাকা সোয়াত বাহিনীর দুই সদস্য। তাদের একজনের পা ভেঙে গেছে। অভিযানকালে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সীতাকু- থানার এক অফিসার এস.আই মোঃ ইকবাল প্রতিবেদককে বলেন, আল্লাহু আকবর স্লগান দিয়ে জঙ্গিরা ঐ বিস্ফোরণ ঘটায়। বিকট ঐ বিস্ফোরণের পর আস্তানার ভেতর থেকে মানুষের মাংস ও রক্ত ছিটকে আসে। এরপর ভেতরের প্রকৃত চিত্র বুঝতে না পারায় দীর্ঘ সময় সেখানে অভিযান থেকে বিরত থাকেন সোয়াত ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। এভাবে কেটে যায় কয়েক ঘণ্টা। সকাল ৯টার দিকে পুনরায় ঐ বাড়িতে প্রবেশ করে সোয়াতসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বাড়িটিতে প্রবেশের জন্য বিকল্প দরজা তৈরি করে সেখানে প্রবেশ করে। কিন্তু এসময় জঙ্গিদের কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এসময় তারা বিভিন্ন কক্ষে আটকে থাকা বাড়ির মালিকের পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের উদ্ধার করতে থাকেন। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত সময়ে অন্তত ১৯ জন নারী-পূরুষ ও শিশুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিম্মিদের উদ্ধারের পর বাড়ির রাস্তায় পড়ে থাকা একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে সোয়াতের সদস্যরা। সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে সোয়াতের অপারেশন অ্যাসল্ট ১৬ পরিচালনাকালে আস্তানার ভেতরের জঙ্গিদের সাথে বন্ধুকযুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে তারা ধরা পড়ার ভয়ে দুই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটালে একই কক্ষে থাকা মোট ৪ জঙ্গি নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন নারী জঙ্গিও আছে। তবে জঙ্গিদের ঐ আস্তানায় বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড ও বিস্ফোরক রয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ধীরে ধীরে কাজ চলছে। সম্পূর্ণ অপারেশন শেষ করতে আর কতসময় লাগবে না নিশ্চিত করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের আমিরাবাদ গ্রামের সাধন বৈদ্যর মালিকানাধীন সাধন কুঠিরে দুই জঙ্গির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং পিস্তল, গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এসময় আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী চৌধুরীপাড়ার ছায়া নীড় নামক বাড়িতে আরো একটি আস্তানার কথা স্বীকার করে। এরপর থেকে সেখানেও অভিযান শুরু হয়।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা এলাকায় ‘ছায়া নীড়’ নামক বাড়িটিতে গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জঙ্গি আস্তানার হদিস পাওয়ার পর থেকে সেখানে পুলিশ, র্যাব, ডিবি, বিজিবি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। সেই থেকে তারা ভেতরে অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে জঙ্গিদের পাল্টা গুলি ও ঐ বাড়িটিতে আরো ৭টি পরিবার আটকে থাকায় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে বাড়ির বাইরে থেকে চতুর্দিক ঘিরে রেখে সেখানে অভিযানের জন্য অনেক চেষ্টা করলেও রাতে অভিযান পরিচালনা করা যায়নি। তবে সকাল ৬টার পর সোয়াতের বিশেষ টিম অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬ শুরু করে ঐ বাড়িটিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। এসময় সোয়াত বাহিনীও মহুর্মুহ গুলি ছুঁড়তে থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সাড়ে ৬টার দিকে আস্তানার ভেতর থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। শক্তিশালী ঐ বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। এতে আহত হয় অপারেশনে থাকা সোয়াত বাহিনীর দুই সদস্য। তাদের একজনের পা ভেঙে গেছে। অভিযানকালে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সীতাকু- থানার এক অফিসার এস.আই মোঃ ইকবাল প্রতিবেদককে বলেন, আল্লাহু আকবর স্লগান দিয়ে জঙ্গিরা ঐ বিস্ফোরণ ঘটায়। বিকট ঐ বিস্ফোরণের পর আস্তানার ভেতর থেকে মানুষের মাংস ও রক্ত ছিটকে আসে। এরপর ভেতরের প্রকৃত চিত্র বুঝতে না পারায় দীর্ঘ সময় সেখানে অভিযান থেকে বিরত থাকেন সোয়াত ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। এভাবে কেটে যায় কয়েক ঘণ্টা। সকাল ৯টার দিকে পুনরায় ঐ বাড়িতে প্রবেশ করে সোয়াতসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বাড়িটিতে প্রবেশের জন্য বিকল্প দরজা তৈরি করে সেখানে প্রবেশ করে। কিন্তু এসময় জঙ্গিদের কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এসময় তারা বিভিন্ন কক্ষে আটকে থাকা বাড়ির মালিকের পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের উদ্ধার করতে থাকেন। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত সময়ে অন্তত ১৯ জন নারী-পূরুষ ও শিশুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিম্মিদের উদ্ধারের পর বাড়ির রাস্তায় পড়ে থাকা একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে সোয়াতের সদস্যরা। সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে সোয়াতের অপারেশন অ্যাসল্ট ১৬ পরিচালনাকালে আস্তানার ভেতরের জঙ্গিদের সাথে বন্ধুকযুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে তারা ধরা পড়ার ভয়ে দুই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটালে একই কক্ষে থাকা মোট ৪ জঙ্গি নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন নারী জঙ্গিও আছে। তবে জঙ্গিদের ঐ আস্তানায় বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড ও বিস্ফোরক রয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ধীরে ধীরে কাজ চলছে। সম্পূর্ণ অপারেশন শেষ করতে আর কতসময় লাগবে না নিশ্চিত করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের আমিরাবাদ গ্রামের সাধন বৈদ্যর মালিকানাধীন সাধন কুঠিরে দুই জঙ্গির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং পিস্তল, গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এসময় আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী চৌধুরীপাড়ার ছায়া নীড় নামক বাড়িতে আরো একটি আস্তানার কথা স্বীকার করে। এরপর থেকে সেখানেও অভিযান শুরু হয়।