বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৭:৩৪
Home / ইতিহাস ঐতিহ্য / সমুদ্র ঈগল ২১

সমুদ্র ঈগল ২১

কুতায়বা আহসান

– এক সন্ধ্যায় খাইরুদ্দীন বারবারুসা নির্মানাধীন নৌবহরের কাজ তদারকি করছিলেন। একসময় সেখানে এসে হলেন তাঁর বহুদিনের পূরনো ও একনিষ্ঠ সাথী সালেহ। বারবারুসা আন্দাজ করতে পারলেন তিনি কিছু বলতে চাইছেন। হেসে বললেন: সালেহ! কিছু বলতে চাও!
– জ্বি আমীরে মুহতারাম। আপনি যে যুবকদের হাসান ক্রুসুর মা বোনের খুঁজে পাঠিয়েছিলেন তাঁদের দু’জন গতকাল আমাকে এসে জানিয়ে গেছে এখনও কোথাও তারা ওদেরকে খুঁজে পায়নি। তবে তারা একটা ধারণা পেয়েছে— গ্রানাডা পতনের পরপর কিছু লোক সালোনিক (স্লানিক) দ্বীপে গিয়ে আবাদ হয়েছে। খুব সম্ভব হাসান ক্রুসুর মা ও বোন সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন।
– খাইরুদ্দীন বারবারুসা কিছুটা ভেবে নিয়ে বললেন: খবরদার! এ বিষয়ে হাসান ক্রুসুর সাথে কোনো আলাপ করো না। সে যদি জানতে পারে ওখানে তাঁর মা বোনকে পাওয়া যেতে পারে, আর পরবর্তীকালে পাওয়া না যায় তাহলে মানসিকভাবে আহত হবে। তাঁর মনটা ভেঙে যাবে। আমি চাই না তাঁর মা বোনকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো জায়গায় পাওয়া যাবে এমন ধারণা দিয়ে তাকে আশায় আশায় রাখতে।
– এ ছাড়া দ্বীপটির ব্যাপারে আমি যতটুকু জানি তাহলো ওখানে সাধারণত ইহুদিরাই এসে বসতি গেড়েছে। (স্পেন সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রচুর সংখ্যক ইহুদি সালতানাতে উসমানিয়ার অধীন এ দ্বীপে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বাহ্যত এরা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয়ে জাহির করলেও অন্তরে অন্তরে ছিল কট্টর ইহুদি। )
– প্রথমদিকে এরা নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিয়ে শক্তি সংগ্রহে মনোনিবেশ করে। কিছু দিন পর যখন তারা সংঘবদ্ধ একটা শক্তি হয়ে উঠে তখন তাদের গা থেকে মুসলিম পরিচিতির চাদর খুলে ইহুদিয়াতের চাদর পরে নেয়। এরপর তারা সালতানাতের অধিপতি সুলতান আব্দুল হামীদের উপর এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে যে, তিনি যেন ফিলিস্তিনের কিছুটা জায়গা তাদের আবাস হিসেবে স্থায়ীভাবে বরাদ্ধ দেন।
– এভাবে আরজি জানানোর কারণ এটাই ছিল— সুলতান আব্দুল হামীদ তাঁর এক ফরমানে তাঁর সালতানাতের অধীন ফিলিস্তিনে ইহুদিদের সম্মিলত হিজরত নিষিদ্ধ করে রেখেছিলেন। সেই ফরমানে এ নির্দেশও ছিল কোনো ইহুদি পর্যটক একনাগাড়ে তিন মাসের অধিক আরযে মুকাদ্দাসায় বসবাস করতে পারবে না।
– এ ফরমানের পর সালোনিকের ইহুদিরা বিভিন্ন কৌশলে সুলতানকে তাদের কব্জায় নিয়ে আসার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠে।
– সালোনিকে ইহুদিদের একজন ধর্মগুরু বসবাস করতো। সে আরিফ বেগ জনৈক তুর্ক নেতার মাধ্যমে সুলতানের দরবারে হাজির হয়। সে নিজেকে ইহুদি কমিউনিটির প্রতিনিধি হিসেবে জাহির করত: বলে— মহামান্য সুলতান আমার জাতি আমাকে আপনার দরবারে এই আবেদন পৌঁছে দেয়ার জন্য পাঠিয়েছে যে, আমাদেরকে ‘ইয়াকির’ , ‘গাজা’ এবং মৃতসাগরের মধ্যবর্তি ছোট্ট এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি প্রদান করা হোক! বিনিময়ে আমার কওম উসমানী সালতানাতের রাজকোষে পঞ্চাশ লক্ষ সোনালি পাউন্ড দান করবে। এতদ্ব্যতীত ইহুদি কমিউনিটির পক্ষ থেকে তুর্ক সরকারকে বিশ লক্ষ পাউন্ড সুদহীন ঋণ প্রদান করবে। আর সে ঋণ আদায়ের মেয়াদটাও তুর্কি সরকারের ইচ্ছাধীন সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে।
– ইহুদিদের এ প্রস্তাব শুনে সুলতান আব্দুল হামীদ রাগে অগ্নিমূর্তি ধারণ করত তাকে গলাধাক্কা দিয়ে দরবার থেকে তাড়িয়ে দেন।
– এরপর আরেক দফা হার্টজল নামক জনৈক ইহুদি নেতা একই প্রস্তাব নিয়ে একটা প্রতিনিধিদল সহ সুলতানের দরবারে হাজির হয়। মহান সুলতান আব্দুল হামীদ তখন ইহুদিদের যে জবাব দিয়েছিলেন তা চিরকালের মুসলিম বিশ্বের মেরুদণ্ডহীন শাসকদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকার মতো।
– সুলতান বলেছিলেন: হার্টজলকে জানিয়ে দেয়া হোক, এ ব্যাপারে সে যেন আর এক কদমও আগাবার দুঃসাহস না দেখায়। আমরা আরযে মুকাদ্দাসার এক ইঞ্চি জায়গাও হস্তান্তর করার জন্য রাজি নই। ফিলিস্তিন আমার ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ নয়। এটা কওমের আমানত। আমার জাতি বছরের পর বছর জিহাদ করে রক্তের চড়ামূল্যে এ ভূমি ফিরে পেয়েছে।
– ইহুদিদের টাকা তাদের ঘাঁটেই থাক। ফিলিস্তিনের মাটি এমন কোনো সওদা নয় যা অর্থমূল্য বিক্রিত হবে। তবে হ্যাঁ, কোনো দিন যদি আমার সালতানাত টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আমাদের মধ্যে প্রতিরোধের কোনো কুওত না থাকে, সেদিন অর্থমূল্য ছাড়াই এ ভূমির উপর দখল প্রতিষ্টা করা যাবে। ফিলিস্তিনের এক টুকরো মাটির জন্য আমার শরীরটা শত টুকরো করতে রাজি। ফিলিস্তিন আমাদের প্রাণের নিঃশ্বাস। আমাদের আত্মার অংশ। আমরা আমাদের আত্মা নিয়ে কারো সাথে সওদাবাজি করতে পারি না।
– সুলতানের জবাব শুনে ইহুদিরা সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু চক্রান্তপ্রিয় এ জাতি বসে থাকার পাত্র ছিল না। তারা তখন থেকে একটি গোপন দল গঠনে তৎপর হয়ে উঠে। ঐ দলের সদস্যদেরকে ‘দূগা’ বলা হতো। দূগাদের বেশিরভাগই ছিল স্পেন থেকে চলে আসা ইহুদি। এ ছাড়া তুর্কিতে জেগে ওঠা বিপ্লব “আঞ্জুমানে ইত্তেহাদে তুর্ক”-এর কতিপয় সদস্যও দূগাদের সাথে জড়িয়ে পড়েছিল। কালক্রমে ইহুদিরা তুর্কসমাজে এমন এক মজবুত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়ে ওঠে যারা সুলতান আব্দুল হামীদকে সালতানাতের আসন থেকে পদচ্যুৎ করে ফেলতে সমর্থ হয়ে যায়। যে দলটি সুলতান আব্দুল হামীদের কাছে তাঁর পদচ্যুতির বার্তা পাঠিয়েছিল তারা বার্তাবাহক হিসেবে সে-ই লোকটিকেই নির্বাচন করেছিল যাকে একসময় ফিলিস্তিন প্রশ্নে সুলতান তাঁর দরবার থেকে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ইহুদিরা বড় নির্মমভাবেই সুলতানের উপর প্রতিশোধ নিয়েছিল।
– সালোনিক দ্বীপের ইহুদিরা গোপন সংগঠন গড়ে তুলার মাধ্যমে তুর্কিদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। তুর্ক মুসলিম সমাজে এমন একটি দল ঢুকে পড়েছিল, যারা বাহ্যত মুসলমান হলেও মূলত ছিল ইহুদি ও দূগা। এরা পরিকল্পতভাবেই মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। এরা যেমন তুর্কিদের আঞ্জুমানে ইত্তেহাদে তুর্কিতে ঢুকে পড়েছিল তেমনি সেনাবাহিনীর উঁচু পদগুলোতেও ঝেঁকে বসেছিল। শুধু তা-ই নয়, তুর্কি সালতাানের শেষ দিকে দেখা যায়— প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের সংখ্যাটাই ছিল ভারী।
– সালোনিকের এই ইহুদি তানযীমের মূল উদ্দেশ্য ছিল তুর্কির অধীন তিনটি প্রদেশ দখল করে তুর্ক সালতানাতের অভ্যন্তরেই নিজেদের জন্য পৃথক একটা রাষ্ট্রগঠন। তারা এগুলোকে “ওলায়েতে সালাসা” নামে স্মরণ করতো। প্রদেশ তিনটি হচ্ছে— ১. সালোনিক দ্বীপ। ২. মাফাস্ত্রা। ৩. কাসূদ।
– তুর্কদের মধ্যে অভিশপ্ত ভৌগলিক জাতীয়তাবাদের বীজ বপনের জিম্মাদারও এই অভিশপ্ত ইহুদি জাতি। স্পেন থেকে আগত ইহুদিরা যদিও নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিত তথাপি তুর্করা ছিল ওদের ঈমানের ব্যাপারে সন্দিহান। তাই তারা ওদেরকে দূগা নামে ডাকতো।
– পরবর্তীতে স্লানিকের ইহুদিদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসলে তুর্করা তাদেরকে মুরতাদ নামে ডাকতে শুরু করে। জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে তুর্ক আর আরবদের মধ্যে বৈরিতার দেয়াল নির্মাণের কারিগরও ছিল স্লানিকের এই ইহুদি সম্প্রদায়। সিরিয়া আর লেবাননে আরবদের উপর বর্বর নীপীড়ন চালানোর হোতাও ছিল এই দূগারা। এরা তুর্কি সেনাবাহিনীতে ঢুকে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আরবদেরকে তুর্কদের উপর ক্ষেপিয়ে তুলার চেষ্টা করছিল। আরবদের অন্তরে জাতীয়তাবাদের হিংসা জাগিয়ে তুলে তুর্কী সালতানাতের ইত্তেহাদ ভেঙে ফেলতে চাইছিল।
– সিরিয়াস্ত সালতানাতে উসমানিয়ার শেষ গভর্ণর জামাল পাশা ছিল এই দূগার সদস্য। সে তুর্ক সরকারের বিরোধিতার অজুহাত তুলে শীর্ষস্থানীয় আরব নেতৃত্বকে ফাঁসিতে ঝুলাতে শুরু করছিল। এ সবের পেছনে তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল— আরবরা যেন ক্ষেপে উঠে তুর্কদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তুর্ক সালতানাত যেন গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
– স্লানিকের মলউন ইহুদিরা শুধু আরব-তুর্ক বৈরিতার মধ্যেই সীমীত থাকেনি বরং তুর্কি-আরবি ভাষার মধ্যেও বৈরিতার বীজ বপন করে দেয়। তুর্কদেরকে আরবী বর্ণমালা পরিত্যাগ করে ল্যাটিন ও রোমান বর্ণমালা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে থাকে। এসব কাণ্ডকারখানার মাধ্যমে সজাগ মস্তিস্কের অধিকারী ইহুদিদের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে উঠেন। কারো নামের সাথে দূগার সদস্য জানতে পারলে তাঁদের কান খাড়া হয়ে যেত। কিন্তু তাঁদের এ সংখ্যাটা ছিল খুবই কম। বেশিরভাগ তুর্কিরা ততক্ষণে ইহুদিদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছিল।
– বিশ্বমানবতার শত্রু এই ইহুদি জাতি কেবল তুর্কিদের রাজনৈতিক শক্তি বিনষ্টেই সীমীত থাকেনি, বরং তারা তুর্কিদের উন্নত চরিত্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিল। হিস্পানিয়া থেকে গলাধাক্কা খেয়ে আসা চরিত্রহীন এ দূগারা গোল্ডেনহর্ন উপসাগরের উপকুলে ২০টির মতো স্নানাগার এবং আমোদস্ফুতির কেন্দ্র বানিয়ে তুলেছিল। এতে পর্যটনের নামে চরিত্রধ্বংসের যাবতীয় উপকরণ থাকতো। সারা বৎসর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা এখানে আসা যাওয়া করতো। এ ছাড়া উপকুলের সমান্তরালে সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় পঞ্চাশেরও অধিক ক্লাব গড়ে তুলেছিল। এর মাধ্যমে বাইরুত এবং ইস্কান্দারিয়ার আখলাকি তাহযিব ধ্বংসের মতো ইস্তাম্বুলেও একই খেল খেলছিল।
– ইস্তাম্বুলে বিয়োগ্লু এলাকাটি ছিল বিশ্বের সুন্দরতম এলাকার একটি। ইহুদিরা প্রচুর পুঁজি খরচ করে ওখানে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। এসব বিনোদন কেন্দ্রে সুন্দরী ললনাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হতো। ইহুদিরা তুর্কি নারী সমাজে মিনিস্কার্ট সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তুরস্কে শীতকালে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ বইতো। শৈত্যপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে শুমার করা হতো। কিন্তু মিনিস্কার্টের দুর্যোগ সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রবল শীতে পুরুষরা যখন আপাদ মস্তক মোটা পশমের কাপড়ে ঢেকে রাখতো তখন ঠকঠক করে কাঁপলেও নারীরা মিনিস্কার্ট পরিত্যাগ করতে পারছিল না। মিনিস্কার্ট পরিধানের ক্ষেত্রে তুর্কি নারীরা পশ্চিমা নারী সমাজকেও অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছিল। এ অবস্থা দেখে তুর্কির জনৈক কবি বড় অসহায় কন্ঠে বলে উঠেছিলেন:
– “পুরুষরা নারীদেরকে সুন্দর সুন্দর বলে তাদের বিবেক কেড়ে নিয়েছে”!
– মোটকথা খাইরুদ্দীন বারবারুসা তাঁর প্রিয় সাথী সালেহকে জোর দিয়ে বললেন: এই মুহূর্তে হাসান ক্রুসুকে বলা না হোক— গ্রানাডার যে এলাকায় তাঁদের বসবাস ছিল সে এলাকার বেশিরভাগ লোক সালোনিকের দিকে হিজরত করেছে। খাইরুদ্দীন বারবারুসা এটা চাইছিলেন না, যতক্ষণ অবধি তাঁর মা বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ কোনো জায়গায় তাঁদেরকে পাওয়া যাবে হাসান ক্রুসুকে কেউ আশ্বস্ত করুক। কারণ তিনি মনে করছিলেন এতে হাসান আশান্বিত হবে, পরে যখন সেটা ভুল প্রমাণিত হবে তখন সে মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পাবে।
– দীর্ঘ এ আলোচনার পর খাইরুদ্দীন সালেহকে সাথে নিয়ে পুনরায় নির্মানাধীন কাজ তদারকিতে মনোযোগী হয়ে উঠেন। চলবে

আরও পড়ুন : সমুদ্র ঈগল ২০ (খ)

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...