কমাশিসা : শীর্ষ আলেমদের ঐকমত্য সত্ত্বেও স্বীকৃতি না হওয়ার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম ও সদস্যসচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।
তারা এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বীকৃতির বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার পরও কীসের বাঁধায় আটকে আছে স্বীকৃতি। এটা স্পষ্টভাবে আমাদের জানতে হবে। কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া বিশ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে কেন টালবাহানা করা হচ্ছে।
স্বীকৃতি নিয়ে কারও কারও ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন এই অভিযোগ করে স্বীকৃতি পরিষদের নেতারা বলেন, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই ২০১৭ এর নতুন এক আশা নিয়ে শুরু করেছেন। স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য আর কত সময় দরকার?
স্বীকৃতিবিরোধী চক্রের আস্ফালন ও লোভনীয় কোনো শর্তই বিবেচ্য নয় দাবী করে বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বীকৃতিকে দমিয়ে দিতে, বহুরূপী বাঁধার প্রাচীর যারা সামনে হাজির করার চেষ্টা করছে তাদের ‘ভানুমতি’র খেলায় হারিয়ে যাবেন না।
কওমি মাদরাসার স্বীকৃতিকে একটি ট্রামকার্ড দাবী করে তারা বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি দিলে সরকার জিতবে। এটা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের মাইলফলক হবে। স্বীকৃতি হয়ে গেলে বিরোধিরা বানের পানির মতোই ভেসে যাবে।
আজ ১২ মার্চ ২০১৭ রোববার দুপুরে কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম ও সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এসব কথা বলেন। কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাওলানা মাসউদুল কদির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।