ময়মনসিংহ: মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, কওমি মাদরাসার ওলামায়ে কেরামরা যদি ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত না করত, তাহলে ওরা চোর আর ডাকাত হত। বিশৃঙ্খলা আরো বেশি হত। কওমি মাদরাসার মাধ্যমে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বলা হলে ১৬ কোটি জনতা তাদের চক্ষু তুলে ফেলবে।
গতকাল শনিবার রাতে ময়মনসিংহে ইত্তেফাকুল ওলামার উদ্যোগে দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবদুর রহমান হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মুফতি মহিবুল্লাহ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সা’দী, বড় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবদুল হক, শায়খুল হাদীস মাওলানা এমদাদুল হক, সংগঠনের ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি মুফতি ফজলুল হক, মুফতি আহমদ আলী, মাওলানা হাফেজ তফাজ্জল হক, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ আনসারী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন, মাওলানা ড. শামছুল হক সিদ্দীক, মাওলানা মাসউদুল করিম, মাওলানা শরীফ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা আসজাদ মাদানী (ভারত), মাওলানা শায়েখ মুফতি সৈয়দ নাসির বিল্লাহ মক্কী, ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী, মেয়র ইকরামুল হক টিটু প্রমুখ।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট কিছু, ইনডাইরেক্ট কিছু বড় বড় চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বর্তমান নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর নামে একটা মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এটার আসল উদ্দেশ্য হলো এ দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ইমান-আকিদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করা। মূর্তিপূজক রাষ্ট্র ভারত। এর পরও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কোনো মূর্তি নাই। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে এই মূর্তি কেন? জবাব চাই।’
‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে যদি মূর্তি অপসারণ করা না হয়, ১৬ কোটি তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ভূমিকা নাই। কঠিন ভূমিকা আছে নাস্তিক-মুরতাদের বিরুদ্ধে। আমি দাবি করব, যারা নবীর শত্রু, যারা নবীর দুশমন, যারা নবীর সঙ্গে বেয়াদবি করে, নবীকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলে, তাদের মাথা তাদের ধরের সঙ্গে থাকতে পারে না। আমরা আইন হাতে তুলে নেব না। সেটা থাকবে প্রশাসনের হাতে। তবে নবীর প্রতি কটাক্ষকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে বিল পাস করতে হবে।’