মাসুম আহমদ:
বিশ্বের জনপ্রিয় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী বাজার ‘ফুডপান্ডা বাংলাদেশ’ বছর দুয়েক হয় সিলেটে কার্যক্রম শুরু করেছে (ঢাকা, চট্টগ্রামেও তাদের কার্যক্রম আছে)। প্রথম থেকে তাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানা থাকলেও কখনো অর্ডার করা হয়নি।
২৩ ফেব্রুয়ারি’১৭ বৃহস্পতিবার> কেউ একজন সুবিদবাজার চিক চিকেন রেস্টুরেন্টের একটি সেট-মেনুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলো। সন্ধ্যাবেলায় চোখে পড়াতে আগামী কোনও একদিন খাওয়া দাওয়া করার উদ্দেশ্যে লাইক দিয়ে রেখেছিলাম।
রাত সাড়ে নয়টায় মনে হলো, আজই কিছু খাওয়া দরকার। কিন্তু ওদিকে বাইরে যাওয়ারও ইচ্ছে করছে না। ভাগনা বাসায় ছিলো। আলোচনা করলাম। দেখলাম, সেও ভালো কিছু খাওয়া দাওয়া করতে আগ্রহী।
আচমকা মনে হলো, আরে! ফুডপান্ডায় অর্ডার করে তো দেখতে পারি। আবার চিন্তা করছিলাম, এতো রাতে কি তাদের অফিস খোলা থাকবে!!! যাক, আইপ্যাড দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে গেলাম। তৎক্ষণাৎ রেজিস্ট্রেশন করে যেটি খাওয়ার চিন্তা করছিলাম, খুঁজে না পেয়ে ‘বারবিকিউ চিকেন রাইস মিল’ অর্ডার করে দিলাম।
অর্ডার কনফার্ম হতেই মেইল ও এসএমএস –এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হলো। এও বলে দেয়া হলো, ৭০ মিনিটের মাঝে খাবার পৌঁছে যাবে। কিছুক্ষণ পর আবারও এসএমএস আসলো; খাবার ডেলিভারি দিতে যে আসছে সে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছে।
আমি চিন্তা করছিলাম, বেচারা বাসা খুঁজে পাবে কিনা! মিনিট দশেকের মাঝে ফোন আসলো। রাস্তা বলে দিলাম। আরও দশ মিনিটের মাঝে মেইন রোডে চলে আসলো। যদিও নিয়ম হচ্ছে, খাবার বাসায় পৌঁছে দেয়া। কিন্তু প্রথমবার বলে আমি একটু এগিয়ে খাবার গ্রহণ করে বিল দিয়ে দিলাম। ডেলিভারি-ম্যান আগামীতে বাসা চিনতে সমস্যা হবে না বলে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম, ৭০ মিনিট বললেও সবমিলিয়ে সময় লেগেছে ৩৫/৪০ মিনিট। মোটর সাইকেলে বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য খরচ দিতে হয়েছে ১৩০ টাকার মতো।
এককথায় বলতে পারি, প্রথমবার অর্ডার করে ফুডপান্ডা’র সার্ভিসে মুগ্ধ। আমাদের মতো অলস প্রকৃতির মানুষ, যাঁদের বেলা অবেলায় কিছু খাওয়ার আগ্রহ জাগে, তাদের জন্য ফুডপান্ডা চমৎকার এক উপহার।
আগ্রহীদের জানিয়ে রাখি, ‘ফুডপান্ডা বাংলাদেশ’ সরাসরি খাবার বিক্রি করে না। তাদের কাজ কেবল নির্ধারিত ঠিকানায় খাবার পৌঁছে দেয়া। খাবারের মূল্য রেস্টুরেন্টের নির্ধারিত মূল্যের অনুরূপ। বাড়তি বলতে কেবল ডেলিভারি খরচ। ফুডপান্ডা’র অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে অর্ডার দেয়া যায়। খাবার হাতে পেয়ে মূল্য দেয়া যায়, আগামও দেয়া যায়। সিলেটের প্রায় ২৯ -টি রেস্টুরেন্ট (যেমন:- পানসী, ভোজন বাড়ী, উন্দাল, ইয়াম্মি হাট, ডাইনিং বাস, নির্ভানা ইন, স্পাইসি রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি) –এর সাথে তাদের চুক্তি রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টের যেকোনো একটিতে অর্ডার করলেই খাবার নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। ধন্যবাদ। হ্যাপি খাওয়া দাওয়া