আহমেদ রাশীদ:
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস গাইছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতার পুংক্তিঃ
গাহি সাম্যের গান,
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই,
নহে কিছু মহীয়ান।
তিনি কবির অপর কবিতার পুংক্তির সারমর্ম বলতে চেয়েছেনঃ
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টির চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিটি বক্তৃতায় গেয়েছেন মিত্রের গানঃ তার বক্তৃতার সারমর্ম হলো,
গাহি ক্ষমতার গান
ক্ষমতার চেয়ে বড় কিছু নাই
নহে কুচ পরোয়ান।
বাংলাদেশে যা কিছু হয়েছে
তা ছিল কেবল বঙ্গবন্ধুর প্লান,
অর্ধেক করেছে জাতির পিতা
বাকি অর্ধেকে আমার স্থান।
বন্ধুরা,ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান নেতা জাতি সংঘের সত্তরতম অধিবেশনে তার প্রায় প্রতিটি বক্তৃতায় আদল-ইনসাফ,মানুষের সুখ-দুঃখ,জীবন-জীবিকা নিয়ে কথা বলেছেন।তিনি আরো বলেছেন,মানুষকে মুক্তি দাও সার্বিক ভাবে,সেই জন্মের সূতিকাগার থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত।তাদের বন্দি করো না অর্থনৈতিক শোষণ বঞ্চনায়,সামাজিক অন্যায়ের নিগড়ে,কিংবা আগুনমুখা অস্ত্রের শক্তিতে। তার মিশন আর ভিশন এর কথা এভাবে বলেছেন,জাতি-বর্ন নির্বিশেষে প্রতিটি আশাহত মানুষের মধ্য আশার সঞ্চার করা,ভুলকে শোধরানো,প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা এবং তার মাধ্যমে ব্যক্তির সাথে জনগণের মঙ্গল নিশ্চিত করা,নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সর্বোপরি পবিত্রতা রক্ষার করার কথাও বলেছেন তিনি।
অপর দিকে দ্বিতীয় মুসলিম হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় দেশের জঙ্গীবাদের উত্থান আর পতন,মৌলবাদের উত্থান এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন,নতুন করে শুরু হওয়া জঙ্গী সমস্যা ও তার ভঙ্গীমূলক প্রতিকারের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।এমডিজি অর্জনে তার সরকারের সফলতা কথা উল্লেখ করে বলেন,আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোন অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব।যেটি তিনি গত নির্বাচনে করেছেন আর আগামী 2021সালের মিশন এবং ভিশন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা হবে।আগাম নির্বাচনের কথা নাকচ করে বলেন,আগাম কোন নির্বাচন দেওয়া হবে না।বাংলাদেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি।প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবনতা,তার দলের লোকদের সাফাই গেয়ে বিরোধীদলের সকল দোষত্রুটি, অপকর্ম তুলে ধরেন বিশ্বের কাছে।বিশেষ করে মৌলবাদী বা ধর্মাদ্ধ শক্তি নারী শিক্ষার অন্তরায় উল্লেখ করে তিনি বলেন,সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশের বন্ধুরা,এখন আপনারা বলুন,তিনি একজন নির্বাচিত বা অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশ নামক মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধান।পোপ ফ্রান্সিস খ্রিষ্টানদের প্রধান হওয়ার পর যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন সেই অনুপাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান কিভাবে বক্তব্য রাখা উচিত ছিল।তিনি কি মিথ্যার আশ্রয় নেন নি ?
আপনারা সরেজমিনে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন,আপনাদের কাছ থেকে মতামত চাই প্লীজ। প্রবাসীরা সত্যের নিরিখে কেহ মতামত দিতে চাইলে আপত্তি নেই।