বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:১৮
Home / নারী-পুরুষ / সুলতান সুলেমানের রাজ্যে যেভাবে এল বাংলা

সুলতান সুলেমানের রাজ্যে যেভাবে এল বাংলা

বিনোদন ডেস্ক : চ্যানেল কর্তৃপক্ষের শুরু থেকেই পরিকল্পনা ছিল দর্শকের পছন্দের তালিকায় নিয়ে যাবেন দীপ্ত টিভি। সেই চেষ্টার অনেকটা সফল হয়েছে এক সুলতান সুলেমান ধারাবাহিক দিয়ে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সম্প্রচারের শুরু থেকেই প্রচারিত হচ্ছে তুর্কি ধারাবাহিক সুলতান সুলেমান। অটোমান সাম্রাজ্যের গল্প নিয়ে নির্মিত এ ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে। দর্শকেরা দেখেন সুলতান সুলেমান, হুররাম সুলতান, হেতিজে বা ইব্রাহিম পাশা শুদ্ধ বাংলায় দারুণ সব সংলাপ বলছে। কিন্তু আসলে কি তা–ই?সুলতান সুলেমানের কণ্ঠ দেন দীপক সুমন
অটোম্যান সাম্রাজ্যে বাংলা
অটোম্যান সাম্রাজ্যের এ গল্প বাংলা ভাষায় কথা বলা কাজটি খুব সহজ ছিল না। দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কাজী উরফী আহমেদ বলেন, ‘এ দেশে ডাবিং শিল্পী খুব বেশি নেই। তাই আমাদের পরিকল্পনা ডাবিংয়ের একটা পূর্ণাঙ্গ দল করার। সেটা অনেকটা সফল হয়েছি। একজন ভয়েস ডিরেক্টরের অধীনে সেই দলটি কাজ শুরু করেছিল এবং এখনো করছে।’
জানালেন, সুলতান সুলেমানের শুরু থেকেই কণ্ঠ দিতেন দীপক সুমন। হুররাম সুলতানের কণ্ঠ দেন মেহবুবা মিনহাজ। ইব্রাহিম পাশার কণ্ঠ দেন মরু ভাস্কর। নিগার গালফার কণ্ঠ দেন জয়শ্রী মজুমদার। এ ছাড়া নাহিদা আখতার দেন বেশ কয়েকজনের কণ্ঠ। সুলতান সুলেমান ধারাবাহিকের রাজ্যে বাংলায় কথা বলা দলে আরও আছেন শফিকুল ইসলাম, তানভীর নাহিদ, রফিকুল ইসলাম, সজিব রায়, মেরিনা মিতু, নাদিয়া ইকবাল, অনন্যা গোস্বামী। প্রত্যেকেই কোনো চরিত্রের কণ্ঠ হয়ে হাজির হন দীপ্ত টিভির পর্দায়।
​দীপ্ত টিভির ডাবিং টিম (বাঁ থেকে) নাহিদ আখতার, জয়শ্রী মজুমদার, শফিকুল ইসলাম, তান​ভীর নাহিদ খান, মরু ভাস্কর, রফিকুল ইসলাম, সজীব রায়, মেরিনা মিতু, নাদিয়া ইকবাল ও অনন্যা গোস্বামীবাংলা কথা বলানোর প্রক্রিয়া
উরফী আহমেদ জানালেন, সুলতান সুলেমানের চিত্রনাট্য তাঁরা হাতে পান ইংরেজিতে। সেখান থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। দর্শকের উপযোগী করতে সেই সংলাপ সম্পাদনা করতে হয়। মেলাতে হয় সুলতান সুলেমান ধারাবাহিকের পাত্রপাত্রীদের ঠোঁট নড়াচড়ার সঙ্গে। এরপর ভিডিও দেখে হয় রেকর্ডিং। তারপরই পুনরায় সম্পাদনা শেষে প্রচারের উপযোগী করা হয়।

দীপ্ত টিভিতে ১১ জনের নিয়মিত ডাবিং শিল্পী আছেন। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্স হিসেবে আছেন কয়েকজন। ডাবিং রেকর্ড করার জন্য আপাতত ছয়টি স্টুডিও করা হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন। কারণটা জানালেন উরফী আহমেদ। ‘আমাদের বেশ কয়েকটি কার্টুন সিরিজসহ আরও দু-তিনটি ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হবে। এ ছাড়া আমরা ডাবিংটাকে পূর্ণাঙ্গ শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

সমকামিতা একটি জাতীয় অভিশাপ!

আবুল হুসাইন আলেগাজী: কওমে লূতের কাজের স্বাস্থ্য/জীবন বিনাশী দিক ব্যাপারটা বুঝা একেবারে সহজ৷ একটি স্বভাবিক #পরিচ্ছন্ন রাস্তা ...